সাশ্রয়ী মূল্যে পিয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পিয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পিয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুল্কহার পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে ভারতে পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির খবরে দেশে বাজারেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র তিন দিনে কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।

গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগের দিন সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় পর্যালোচনা করা হয়। পিয়াজের মজুত, আমদানি ও সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। দেশে পর্যাপ্ত পিয়াজ মজুত রয়েছে, আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পিয়াজের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোন সঙ্গত কারণ নেই। পিয়াজের অবৈধ মজুত বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করছে। পিয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি অবিলম্বে খোলাবাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পিয়াজ বিক্রয় শুরু করবে, নতুন পিয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখবে।

এছাড়া পিয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুল্কহার পুনর্নির্ধারণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এবং বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা।

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

সাশ্রয়ী মূল্যে পিয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

image

পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পিয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পিয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুল্কহার পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে ভারতে পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির খবরে দেশে বাজারেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র তিন দিনে কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।

গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগের দিন সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় পর্যালোচনা করা হয়। পিয়াজের মজুত, আমদানি ও সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। দেশে পর্যাপ্ত পিয়াজ মজুত রয়েছে, আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পিয়াজের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোন সঙ্গত কারণ নেই। পিয়াজের অবৈধ মজুত বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করছে। পিয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি অবিলম্বে খোলাবাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পিয়াজ বিক্রয় শুরু করবে, নতুন পিয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখবে।

এছাড়া পিয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুল্কহার পুনর্নির্ধারণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এবং বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা।