সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সূচকের উত্থান, লেনদেনে পতন

আগের দিনের মতো এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ গতকালও উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন ডিএসইতে ডিএসইএক্স ১০.৬১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৫৯.১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৭.০৭ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ৪.১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৪২.৬৮, ১৭২৩.৯১ ও ১০০৬.৯৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭৬ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৪৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির বা ৩৬.৪১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৮২টির বা ৫০.৯৮ শতাংশের এবং ৪৫টি বা ১২.৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫২.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৬৫.৬৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর। গতকাল সিএসইতে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৩টি শেয়ার ৯২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৯ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবি ব্যাংকের।

এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, সী পার্লের ২৮ লাখ ১৪ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫৭ লাখ টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২০ লাখ টাকার, ওয়াইম্যাক্সের ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৬০ লাখ ২৮ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৯৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার এবং আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সূচকের উত্থান, লেনদেনে পতন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

আগের দিনের মতো এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ গতকালও উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন ডিএসইতে ডিএসইএক্স ১০.৬১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৫৯.১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৭.০৭ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ৪.১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৪২.৬৮, ১৭২৩.৯১ ও ১০০৬.৯৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭৬ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৪৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির বা ৩৬.৪১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৮২টির বা ৫০.৯৮ শতাংশের এবং ৪৫টি বা ১২.৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫২.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৬৫.৬৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর। গতকাল সিএসইতে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৩টি শেয়ার ৯২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৯ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবি ব্যাংকের।

এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, সী পার্লের ২৮ লাখ ১৪ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫৭ লাখ টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২০ লাখ টাকার, ওয়াইম্যাক্সের ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৬০ লাখ ২৮ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৯৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার এবং আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।