দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরীর স্মরণে নামকরণ করা হয় পৌর শহরের মনোহর পট্টি থেকে ভূমি অফিস সড়কটি। সড়কের দুই প্রান্তে বসানো হয় নামফলক। কিন্তু গত দুই মাস ধরে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে তার নাম ফলকটি। তবে স্মৃতিফলকটি কীভাবে ভাঙ্গলো, কারা ভেঙ্গেছে এ বিষয়েও কোন অনুসন্ধান করেনি কর্তৃপক্ষ।
কলাপাড়ার প্রবীন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী। ২০১৩ সালে কলাপাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী ও শওকত হোসেনের নামে দুটি সড়কের নামকরণ করে তৎকালীন পৌর মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান দুটি সড়কে নামফলক বসান। নতুন প্রজন্মের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী , সৌরভ, নম্র্রতা মুন ও তমাল জানায়, এ সড়কের নামফলক নির্মাণ না হলে শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরীকে আমরা জানতেও পারতাম না । আমরা শুধু বিভিন্ন দিবস এলেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মান করি।
কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বদিউর রহমান বন্টিন বলেন, নামফলকটি এভাবে ভেঙ্গে পড়া দেখে কষ্ট হচ্ছে।
প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, নতুন প্রজন্মের শিশুদের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিত করতে তৎকালীন সময়ে দুটি সড়ক দুই শহীদ মুত্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করেছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরীর ভেঙ্গে পড়ে থাকা নামফলকটি দেখে কষ্ট হচ্ছে।
কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ভেঙ্গে পড়া নামফলকটি তিনি দেখেছেন। ফলকটি দ্রুতই নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, নামফলক ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। জরুরী ভিত্তিতে ভেঙ্গে পড়া ফলকটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরীর স্মরণে নামকরণ করা হয় পৌর শহরের মনোহর পট্টি থেকে ভূমি অফিস সড়কটি। সড়কের দুই প্রান্তে বসানো হয় নামফলক। কিন্তু গত দুই মাস ধরে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে তার নাম ফলকটি। তবে স্মৃতিফলকটি কীভাবে ভাঙ্গলো, কারা ভেঙ্গেছে এ বিষয়েও কোন অনুসন্ধান করেনি কর্তৃপক্ষ।
কলাপাড়ার প্রবীন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী। ২০১৩ সালে কলাপাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী ও শওকত হোসেনের নামে দুটি সড়কের নামকরণ করে তৎকালীন পৌর মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান দুটি সড়কে নামফলক বসান। নতুন প্রজন্মের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী , সৌরভ, নম্র্রতা মুন ও তমাল জানায়, এ সড়কের নামফলক নির্মাণ না হলে শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরীকে আমরা জানতেও পারতাম না । আমরা শুধু বিভিন্ন দিবস এলেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মান করি।
কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বদিউর রহমান বন্টিন বলেন, নামফলকটি এভাবে ভেঙ্গে পড়া দেখে কষ্ট হচ্ছে।
প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, নতুন প্রজন্মের শিশুদের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিত করতে তৎকালীন সময়ে দুটি সড়ক দুই শহীদ মুত্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করেছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরীর ভেঙ্গে পড়ে থাকা নামফলকটি দেখে কষ্ট হচ্ছে।
কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ভেঙ্গে পড়া নামফলকটি তিনি দেখেছেন। ফলকটি দ্রুতই নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, নামফলক ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। জরুরী ভিত্তিতে ভেঙ্গে পড়া ফলকটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।