চৌগাছায় কৃত্রিম সঙ্কটে ভর্তুকির সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ

যশোরের চৌগাছায় কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের সার ক্রয়ে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলছেন উপজেলায় সারের কোন সঙ্কট নেই এবং বেশি মূল্যে সার বিক্রির সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ তারা পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে কৃষি অফিসেরই একটি সূত্র জানিয়েছে সার উত্তোলন না করার অভিযোগে চৌগাছা শহরের ডিলার মেসার্স শয়ন ট্রেডার্সের বিক্রয় কেন্দ্র চারদিন বন্ধ করে দেয় কৃষি অফিস। সূত্রমতে সারের নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম ও কৃত্রিম সার সংকট ঠেকাতে গত ১২ আগস্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সারের বাজার মনিটরিং করার জন্য জোর তাগিদ দিয়ে একটি পত্র দেয়া হয়। এরপরই কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মনিটরিং জোরদার করেছেন।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে টিএসপি সার নির্ধারিত ২২ টাকা মূল্যে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে। একইভাবে ডিএপি ১৬ টাকার স্থলে ২০ থেকে ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকার স্থলে ১৮ থেকে ২০ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকার স্থলে ১৮ থেকে ২০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে তাদের। সরেজমিনে উপজেলার চৌগাছা, সলুয়া, সিংহঝুলি, পুড়াপাড়া, মাশিলা, হাকিমপুর, পাশাপোল, নারায়ণপুর, চাঁদপাড়াসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বেশি দামে সার বিক্রির সত্যতা মিলেছে। এ সময় ডিলাররা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা।

উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম জানান তিনি গত সপ্তাহে গ্রামের বাজার থেকে নিজের মাছের ঘেরের জন্য ১ বস্তা টিএসপি সার ক্রয় করেন। বিক্রেতা তাকে জানান বাকিতে নিলে ১৫শ ৪০ টাকা বস্তা, আর নগদে নিলে ১৫শ টাকা বস্তা। পরে তিনি বাকিতে ১৫শ ৪০ টাকায় একবস্তা সার ক্রয়ে বাধ্য হন।

জানা গেছে, ডিলাররা সার না এনে কাগজ বিক্রি করে দেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন সার না এনেও ডিলাররা কিভাবে অ্যারাইভাল (আগমনি বার্তা) জমা দিয়ে, কেউ আবার না দিয়েও পার পেয়ে যান?

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিসিআইসি ডিলারের সহোদর ও খুচরা বিক্রেতা জানান এ বছর সার বিক্রিতে বেশ লাভ হচ্ছে। তিনি জানান টিএসপি ২৭-২৮ টাকা, ডিএপি ১৮-২০, ইউরিয়া ১৮-২০ এমওপি ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনিসহ অন্য খুচরা বিক্রেতারা। সার সঙ্কট কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন জুলাই-আগস্ট মাসে সারের বরাদ্দ নেই। তাই বাইরের সার কিনে এনে বিক্রি করায় দাম বেশি। তাকে জানানো হয় জুলাই মাসে ১৫০ মেট্রিকটন টিএসপি এবং ৪০০ মেট্রিকটন ডিএপি চৌগাছার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। তখন তিনি বলেন ডিলাররা চট্রগ্রাম থেকে সার তুলে সেখানেই ১২০/১৩০ টাকা বস্তাপ্রতি বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে আসেন।

বাজারে সার সঙ্কট কেন জানতে চাইলে উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স দিপু এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী শাহাবুদ্দিন চুন্নু বড় মিয়া প্রথমে বলেন এই দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মাসে সারের বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ নেই? প্রশ্ন ফের করলে তিনি বলেন অল্প কিছু সার বরাদ্দ আছে। যা আনতে খরচ অনেক বেশি হবে বলে সার উত্তোলন করা হয়নি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামও প্রথমে বলেন সারের বরাদ্দ না থাকায় সার সঙ্কট হয়েছে। পরে জুলাই ও আগস্ট মাসের সার বরাদ্দ তালিকা দেখালে তিনি স্বীকার করেন বরাদ্দ আছে। তবে খরচ বেশি হওয়ায় ডিলাররা সার আনেন নি। তিনি বলেন আশেপাশের উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলায় জুলাই/২০২০ মাসে সারের চাহিদা ছিল ইউরিয়া ১৪শ মেট্রিকটন, টিএসপি ২২৫, ডিএপি ৬শ, এমওপি ১১শ, জিপসাম ৬শ ও বোরন ৮ মেট্রিকটন। এর বিপরীতে ইউরিয়া বরাদ্দ ছিল ৯৬০ মেট্রিকটন। ভর্তুকির আওতাভুক্ত হিসেবে টিএসপি বিসিআইসি থেকে ৫৯ এবং বিএডিসি থেকে ৯১ মোট ১৫০ মেট্রিকটন, বিএডিসি থেকে ডিএপি ৪শ মেট্রিকটন এবং এমওপি ৩০০ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিয়ম রয়েছে যে মাসের সার বরাদ্দ হবে ওই মাসসহ দুই মাসের মধ্যে সেই সার সংশ্লিষ্ট উপজেলার ডিলারদের নির্ধারিত গুদামে সার তুলে উপজেলা কৃষি অফিসে অ্যারাইভাল রিপোর্ট (আগমনি বার্তা, অ্যারাইভাল রিপোর্টকেই সার উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় আনার প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়) জমা দিতে হবে। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসার বা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নিজে গিয়ে সার গুণে দেখে বিক্রয়ের অনুমতি দেবেন। তবে বরাদ্দের দুইমাস ৬ দিন পার হলেও সোমবার পর্যন্ত বিএডিসির বরাদ্দ ৯১ মেট্রিকটন টিএসপির বিপরীতে ৩৭ জন ডিলারের মধ্যে ১৩ জন ৩৯.৪৫ মেট্রিক টনের অ্যারাইভাল (আগমনী বার্তা) জমা দিয়েছেন। বিসিআইসি’র বরাদ্দ ৫৯ মেট্রিকটন টিএসপির বিপরীতে ১৬ ডিলারের ১৪ ডিলার ৫৫.৩৫ মেট্রিকটনের অ্যারাইভাল (আগমনী বার্তা) জমা দিয়েছেন। তবে বিসিআইসি ডিলাররা এসব আগমনি বার্তা জমা দিলেও সার এলাকায় আনেননি বলে খুচরা বিক্রেতা ও কৃষকদের অভিযোগ।

এছাড়া বিএডিসি থেকে বরাদ্দ ৪শ মেট্রিকটন ডিএপি সারের বিপরীতে উপজেলার ৩৭ জন ডিলারের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ২৩ জন ডিলার মোট ২৯৩.৫৫ মেট্রিকটন ডিএপি সারের অ্যারাইভাল (আগমনি বার্তা) জমা দিয়েছেন। অর্থাৎ বরাদ্দের এক চতুর্থাংশ সার উপজেলায় আসেনি। অথচ সার সঙ্কট, বাইরে থেকে সার আনতে হচ্ছে বলে চাষিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে।

আরও খবর
সময়-অর্থ-শ্রম সাশ্রয়ী রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে আগ্রহ বাড়ছে চাষির
বদরগঞ্জের কলা এখন রাজধানীর বাজারে
বগুড়ায় বজ্রাঘাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু
ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ
জগন্নাথপুরে দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত ৫
মহেশপুরে ফেনসিডিল গ্রেফতার একজন
বশেমুরবিপ্রবি’র কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
ভাণ্ডারিয়ায় ইয়াবা গ্রেফতার এক
গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় শ্মশানের জমি উদ্ধার
বাঁশখালীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল ২শ’বর্ষী মন্দিরের পূজিত বটগাছ
নানা অভিযোগে কুষ্টিয়া যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত
বগুড়ায় ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
তাড়াশ-বারুহাস বাইপাস সড়কে বড় বড় গর্ত ! নিত্য দুর্ঘটনা
শহীদ সুরেন্দ্র মোহন’র ভাঙা স্মৃতিফলক দুই মাসেও সংস্কার হয়নি

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

চৌগাছায় কৃত্রিম সঙ্কটে ভর্তুকির সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ

প্রতিনিধি, চৌগাছা (যশোর)

যশোরের চৌগাছায় কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের সার ক্রয়ে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলছেন উপজেলায় সারের কোন সঙ্কট নেই এবং বেশি মূল্যে সার বিক্রির সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ তারা পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে কৃষি অফিসেরই একটি সূত্র জানিয়েছে সার উত্তোলন না করার অভিযোগে চৌগাছা শহরের ডিলার মেসার্স শয়ন ট্রেডার্সের বিক্রয় কেন্দ্র চারদিন বন্ধ করে দেয় কৃষি অফিস। সূত্রমতে সারের নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম ও কৃত্রিম সার সংকট ঠেকাতে গত ১২ আগস্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সারের বাজার মনিটরিং করার জন্য জোর তাগিদ দিয়ে একটি পত্র দেয়া হয়। এরপরই কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মনিটরিং জোরদার করেছেন।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে টিএসপি সার নির্ধারিত ২২ টাকা মূল্যে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে। একইভাবে ডিএপি ১৬ টাকার স্থলে ২০ থেকে ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকার স্থলে ১৮ থেকে ২০ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকার স্থলে ১৮ থেকে ২০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে তাদের। সরেজমিনে উপজেলার চৌগাছা, সলুয়া, সিংহঝুলি, পুড়াপাড়া, মাশিলা, হাকিমপুর, পাশাপোল, নারায়ণপুর, চাঁদপাড়াসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বেশি দামে সার বিক্রির সত্যতা মিলেছে। এ সময় ডিলাররা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা।

উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম জানান তিনি গত সপ্তাহে গ্রামের বাজার থেকে নিজের মাছের ঘেরের জন্য ১ বস্তা টিএসপি সার ক্রয় করেন। বিক্রেতা তাকে জানান বাকিতে নিলে ১৫শ ৪০ টাকা বস্তা, আর নগদে নিলে ১৫শ টাকা বস্তা। পরে তিনি বাকিতে ১৫শ ৪০ টাকায় একবস্তা সার ক্রয়ে বাধ্য হন।

জানা গেছে, ডিলাররা সার না এনে কাগজ বিক্রি করে দেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন সার না এনেও ডিলাররা কিভাবে অ্যারাইভাল (আগমনি বার্তা) জমা দিয়ে, কেউ আবার না দিয়েও পার পেয়ে যান?

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিসিআইসি ডিলারের সহোদর ও খুচরা বিক্রেতা জানান এ বছর সার বিক্রিতে বেশ লাভ হচ্ছে। তিনি জানান টিএসপি ২৭-২৮ টাকা, ডিএপি ১৮-২০, ইউরিয়া ১৮-২০ এমওপি ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনিসহ অন্য খুচরা বিক্রেতারা। সার সঙ্কট কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন জুলাই-আগস্ট মাসে সারের বরাদ্দ নেই। তাই বাইরের সার কিনে এনে বিক্রি করায় দাম বেশি। তাকে জানানো হয় জুলাই মাসে ১৫০ মেট্রিকটন টিএসপি এবং ৪০০ মেট্রিকটন ডিএপি চৌগাছার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। তখন তিনি বলেন ডিলাররা চট্রগ্রাম থেকে সার তুলে সেখানেই ১২০/১৩০ টাকা বস্তাপ্রতি বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে আসেন।

বাজারে সার সঙ্কট কেন জানতে চাইলে উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স দিপু এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী শাহাবুদ্দিন চুন্নু বড় মিয়া প্রথমে বলেন এই দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মাসে সারের বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ নেই? প্রশ্ন ফের করলে তিনি বলেন অল্প কিছু সার বরাদ্দ আছে। যা আনতে খরচ অনেক বেশি হবে বলে সার উত্তোলন করা হয়নি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামও প্রথমে বলেন সারের বরাদ্দ না থাকায় সার সঙ্কট হয়েছে। পরে জুলাই ও আগস্ট মাসের সার বরাদ্দ তালিকা দেখালে তিনি স্বীকার করেন বরাদ্দ আছে। তবে খরচ বেশি হওয়ায় ডিলাররা সার আনেন নি। তিনি বলেন আশেপাশের উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলায় জুলাই/২০২০ মাসে সারের চাহিদা ছিল ইউরিয়া ১৪শ মেট্রিকটন, টিএসপি ২২৫, ডিএপি ৬শ, এমওপি ১১শ, জিপসাম ৬শ ও বোরন ৮ মেট্রিকটন। এর বিপরীতে ইউরিয়া বরাদ্দ ছিল ৯৬০ মেট্রিকটন। ভর্তুকির আওতাভুক্ত হিসেবে টিএসপি বিসিআইসি থেকে ৫৯ এবং বিএডিসি থেকে ৯১ মোট ১৫০ মেট্রিকটন, বিএডিসি থেকে ডিএপি ৪শ মেট্রিকটন এবং এমওপি ৩০০ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিয়ম রয়েছে যে মাসের সার বরাদ্দ হবে ওই মাসসহ দুই মাসের মধ্যে সেই সার সংশ্লিষ্ট উপজেলার ডিলারদের নির্ধারিত গুদামে সার তুলে উপজেলা কৃষি অফিসে অ্যারাইভাল রিপোর্ট (আগমনি বার্তা, অ্যারাইভাল রিপোর্টকেই সার উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় আনার প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়) জমা দিতে হবে। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসার বা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নিজে গিয়ে সার গুণে দেখে বিক্রয়ের অনুমতি দেবেন। তবে বরাদ্দের দুইমাস ৬ দিন পার হলেও সোমবার পর্যন্ত বিএডিসির বরাদ্দ ৯১ মেট্রিকটন টিএসপির বিপরীতে ৩৭ জন ডিলারের মধ্যে ১৩ জন ৩৯.৪৫ মেট্রিক টনের অ্যারাইভাল (আগমনী বার্তা) জমা দিয়েছেন। বিসিআইসি’র বরাদ্দ ৫৯ মেট্রিকটন টিএসপির বিপরীতে ১৬ ডিলারের ১৪ ডিলার ৫৫.৩৫ মেট্রিকটনের অ্যারাইভাল (আগমনী বার্তা) জমা দিয়েছেন। তবে বিসিআইসি ডিলাররা এসব আগমনি বার্তা জমা দিলেও সার এলাকায় আনেননি বলে খুচরা বিক্রেতা ও কৃষকদের অভিযোগ।

এছাড়া বিএডিসি থেকে বরাদ্দ ৪শ মেট্রিকটন ডিএপি সারের বিপরীতে উপজেলার ৩৭ জন ডিলারের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ২৩ জন ডিলার মোট ২৯৩.৫৫ মেট্রিকটন ডিএপি সারের অ্যারাইভাল (আগমনি বার্তা) জমা দিয়েছেন। অর্থাৎ বরাদ্দের এক চতুর্থাংশ সার উপজেলায় আসেনি। অথচ সার সঙ্কট, বাইরে থেকে সার আনতে হচ্ছে বলে চাষিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে।