জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর জীবনাবসান

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্য ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী সংবাদকে জানান, গতকাল বিকেলে তারিক আলীর মরদেহ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখানে জাদুঘরের ট্রাস্টি ও জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ আসর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের শিল্পীদের যে গানের দল বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গণসংগীত পরিবেশন করেছে সেই দলের সদস্য ছিলেন তারিক আলী। নিভৃতচারী এই মানুষটি সারাজীবন আত্মপ্রচার থেকে দূরে ছিলেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে উঠেছে তাদের একজন তারিক আলী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবনেরও সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তার সারাজীবনের লড়াই। জিয়াউদ্দিন তারিক আলী রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলিন পরিষদ ও ছায়ানটের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারেক আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। স্পিকার জিয়াউদ্দিন তারেক আলীর রূহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রমুখ। আরও শোক প্রকাশ করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, ঐক্য ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি

জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর জীবনাবসান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্য ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী সংবাদকে জানান, গতকাল বিকেলে তারিক আলীর মরদেহ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখানে জাদুঘরের ট্রাস্টি ও জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ আসর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের শিল্পীদের যে গানের দল বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গণসংগীত পরিবেশন করেছে সেই দলের সদস্য ছিলেন তারিক আলী। নিভৃতচারী এই মানুষটি সারাজীবন আত্মপ্রচার থেকে দূরে ছিলেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে উঠেছে তাদের একজন তারিক আলী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবনেরও সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তার সারাজীবনের লড়াই। জিয়াউদ্দিন তারিক আলী রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলিন পরিষদ ও ছায়ানটের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারেক আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। স্পিকার জিয়াউদ্দিন তারেক আলীর রূহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রমুখ। আরও শোক প্রকাশ করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, ঐক্য ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।