তিন আসামিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা মামলার ৩ আসামিকে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। দিনাজপুর ডিবি অফিসে গত রোববার মধ্যরাত থেকে আসামিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জের ধরে ইউএনও’র গৃহকর্মীসহ চার জনকে আটক করা হলেও পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।

এর আগে শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু’র আদালতে দুই আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রংমিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম ও একই গ্রামের মৃত খোকা রাম দাসের ছেলে সান্টু চন্দ্র দাসকে এবং গত রোববার বিকেলে মামলার অন্যতম আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার বাগরপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকারের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দিনাজপুর পুলিশ অফিস চত্বরে ডিবি অফিসে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ অফিস চত্বরে গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বসাধারণের প্রবেশে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউএনও’র ওপরে হামলার ঘটনা চুরি, ডাকাতি, না নেপথ্যে অন্য কোন কারণ রয়েছে, সেসব বিষয় মাথায় রেখেই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তদন্তের গতি সেদিকেই যাবে। কখনো ৩ জন কে একসঙ্গে আবার কখনও পৃথক পৃথকভাবে আসামিদের জিজ্ঞাসা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মক্তিযোদ্ধা মো. ওমর আলী শেখের হামলা চালিয়ে সরকারি বাসভবন রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

ইউএনও’র ওপর হামলা

তিন আসামিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশ, দিনাজপুর

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা মামলার ৩ আসামিকে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। দিনাজপুর ডিবি অফিসে গত রোববার মধ্যরাত থেকে আসামিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জের ধরে ইউএনও’র গৃহকর্মীসহ চার জনকে আটক করা হলেও পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।

এর আগে শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু’র আদালতে দুই আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রংমিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম ও একই গ্রামের মৃত খোকা রাম দাসের ছেলে সান্টু চন্দ্র দাসকে এবং গত রোববার বিকেলে মামলার অন্যতম আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার বাগরপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকারের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দিনাজপুর পুলিশ অফিস চত্বরে ডিবি অফিসে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ অফিস চত্বরে গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বসাধারণের প্রবেশে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউএনও’র ওপরে হামলার ঘটনা চুরি, ডাকাতি, না নেপথ্যে অন্য কোন কারণ রয়েছে, সেসব বিষয় মাথায় রেখেই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তদন্তের গতি সেদিকেই যাবে। কখনো ৩ জন কে একসঙ্গে আবার কখনও পৃথক পৃথকভাবে আসামিদের জিজ্ঞাসা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মক্তিযোদ্ধা মো. ওমর আলী শেখের হামলা চালিয়ে সরকারি বাসভবন রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।