চসিকে অর্থ আত্মসাৎকারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে চাকরিচ্যুত হয়ে পলাতক ছিলেন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে এসব কর্মকর্তারা চাকরি হারালেও পরবর্তীতে তারা বিএনপির মেয়র মঞ্জুর আলমের আমলে ফের চাকরিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বদলি হলেও পদোন্নতি লাভ করায় চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ সঞ্চার হচ্ছে।

জানা গেছে, লাইসেন্সের ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩শ’ উনানব্বই টাকা আত্মসাৎ করেন কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সালাউদ্দিন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাজস্ব বিভাগ লাইসেন্স শাখায় অনুমতিপত্র পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে লাইসেন্সের টাকা জমা না করে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। যার ফলে সালাউদ্দিনসহ অন্যদের প্র্রথমে সাময়িক বরখাস্ত পরবর্তীতে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসর ও ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর আগে ২০০৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একেএম সালাউদ্দিনকে এক চিঠিতে (স্মারক নং- ১৩২) টাকা আত্মসাতের বিভাগীয় মামলার (নং-২২/২০০১) অফিস আদেশ দেয়া হয়। আদেশে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। এরপর পলাতক থাকা অবস্থায় সালাউদ্দিনসহ অন্যান্যরা সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলমের কাছে সুকৌশলে মুসলেকা দিয়ে ৭ বছর পর পুনরায় শর্ত সাপেক্ষে পরিচ্ছন্ন বিভাগে যোগদান করেন। এ সময় চাকরিতে পুনর্বহালের শর্ত ছিল রাজস্ব শাখার চাকরি না করার। কিন্তু পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে রাজস্ব বিভাগের ৫নং সার্কেলে বদলি হয়ে প্রথমে ক্রোকী অফিসার আবার উপকর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), ভারপ্রাপ্ত থেকে আবার কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে বদলি হয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে, সুকৌশলে শিল্প এলাকা, আবাসিক এলাকা, ভি.আইপি এলাকায় দায়িত্ব পালন করে থাকে এরা। এ বিষয়ে গতকাল বিকেল ৪টা ১১ মিনিটে চসিকের সচিব আবু সাহেদের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সালাউদ্দিন ছাড়া আরও কয়েকজন কর্মকর্তা একই সময়ে অর্থ আত্মসাৎ করে চাকরি হারিয়েছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একেএম সালাউদ্দিন রাজস্ব সর্কেল-৫ এ কর্মরতবস্থায় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩শ’ ৮৯ টাকা, একই সময়ে নাসির উদ্দিন চৌধুরী সার্কেল -৪ কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্বপালনকারী সময়ে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩২ টাকা , একই সময়ে এয়ার মো. শাহীন চৌধুরী রাজস্ব সার্কেল-৫ এ দায়িত্বপালনকারী সময়ে ২৫ হাজার ৩শ’ ১৭ টাকা, একই সময়ে মঞ্জুর উদ্দিন ৪৬ হাজার ৬শ’ ৪৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

চসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, একে এম সালাউদ্দিন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী একাধিকবার পদোন্নতি লাভ করেন। এরমধ্যে গত ৩০ জুলাই পদোন্নতি, ১২ আগস্ট বদলি, ১৯ আগস্ট ডবল পদোন্নতি (উপ-কর কর্মকর্তা থেকে কর কর্মকর্তা) লাভ করে করেছেন।

আরও খবর
সামরিক অভিধান থেকে ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দিন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আজ জিসিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করবেন
আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
দক্ষিণে ইলিশের মোকামে বরফ ও জ্বালানি সংকট
বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে : ইউজিসি
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
চার্জশিটের ৭ বছর পর মামলা পুনঃতদন্তের আবেদন
খাদ্য কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ঢাকা ওয়াসার দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ
চাকরির নামে প্রতারণা : ৫ জন গ্রেফতার
সিলেটে শ্রমিক নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
তীর পুনর্দখল উচ্ছেদ

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

চসিকে অর্থ আত্মসাৎকারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে চাকরিচ্যুত হয়ে পলাতক ছিলেন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে এসব কর্মকর্তারা চাকরি হারালেও পরবর্তীতে তারা বিএনপির মেয়র মঞ্জুর আলমের আমলে ফের চাকরিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বদলি হলেও পদোন্নতি লাভ করায় চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ সঞ্চার হচ্ছে।

জানা গেছে, লাইসেন্সের ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩শ’ উনানব্বই টাকা আত্মসাৎ করেন কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সালাউদ্দিন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাজস্ব বিভাগ লাইসেন্স শাখায় অনুমতিপত্র পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে লাইসেন্সের টাকা জমা না করে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। যার ফলে সালাউদ্দিনসহ অন্যদের প্র্রথমে সাময়িক বরখাস্ত পরবর্তীতে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসর ও ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর আগে ২০০৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একেএম সালাউদ্দিনকে এক চিঠিতে (স্মারক নং- ১৩২) টাকা আত্মসাতের বিভাগীয় মামলার (নং-২২/২০০১) অফিস আদেশ দেয়া হয়। আদেশে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। এরপর পলাতক থাকা অবস্থায় সালাউদ্দিনসহ অন্যান্যরা সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলমের কাছে সুকৌশলে মুসলেকা দিয়ে ৭ বছর পর পুনরায় শর্ত সাপেক্ষে পরিচ্ছন্ন বিভাগে যোগদান করেন। এ সময় চাকরিতে পুনর্বহালের শর্ত ছিল রাজস্ব শাখার চাকরি না করার। কিন্তু পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে রাজস্ব বিভাগের ৫নং সার্কেলে বদলি হয়ে প্রথমে ক্রোকী অফিসার আবার উপকর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), ভারপ্রাপ্ত থেকে আবার কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে বদলি হয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে, সুকৌশলে শিল্প এলাকা, আবাসিক এলাকা, ভি.আইপি এলাকায় দায়িত্ব পালন করে থাকে এরা। এ বিষয়ে গতকাল বিকেল ৪টা ১১ মিনিটে চসিকের সচিব আবু সাহেদের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সালাউদ্দিন ছাড়া আরও কয়েকজন কর্মকর্তা একই সময়ে অর্থ আত্মসাৎ করে চাকরি হারিয়েছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একেএম সালাউদ্দিন রাজস্ব সর্কেল-৫ এ কর্মরতবস্থায় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩শ’ ৮৯ টাকা, একই সময়ে নাসির উদ্দিন চৌধুরী সার্কেল -৪ কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্বপালনকারী সময়ে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩২ টাকা , একই সময়ে এয়ার মো. শাহীন চৌধুরী রাজস্ব সার্কেল-৫ এ দায়িত্বপালনকারী সময়ে ২৫ হাজার ৩শ’ ১৭ টাকা, একই সময়ে মঞ্জুর উদ্দিন ৪৬ হাজার ৬শ’ ৪৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

চসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, একে এম সালাউদ্দিন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী একাধিকবার পদোন্নতি লাভ করেন। এরমধ্যে গত ৩০ জুলাই পদোন্নতি, ১২ আগস্ট বদলি, ১৯ আগস্ট ডবল পদোন্নতি (উপ-কর কর্মকর্তা থেকে কর কর্মকর্তা) লাভ করে করেছেন।