আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

আন্তজার্তিক সাক্ষরতা দিবস আজ। এবার এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’। এবার করোনা পরিস্থিতিতে দিবসটি পালন হচ্ছে। দিবসটি উদযাপনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বেলা ১১টায় ঢাকার তেজগাঁও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বুরে‌্যা মিলনায়তনে সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন। এছাড়াও মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এটি বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবছর দেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গত রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো এ দিবস উপযাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতি বছর আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে আসছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সাক্ষরতা দিবসের সব আয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে করা হবে। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় এ সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প’ কর্মসূচির মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পার্যায়ে ১৩৫টি উপজেলা শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে।

সরকার এসডিজি এবং জাতীয় অঙ্গীকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের চতুর্থ লক্ষ্যে সাক্ষরতা বিস্তার, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ্য সৃষ্টির জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

জাকির হোসেন জানা, ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসছে না। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জনা পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জসহ ছয় জেলায় এক লাখ শিশুকে পাইলটিং শুরু করা হয়েছে।

আরও খবর
সামরিক অভিধান থেকে ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দিন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আজ জিসিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করবেন
চসিকে অর্থ আত্মসাৎকারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি
দক্ষিণে ইলিশের মোকামে বরফ ও জ্বালানি সংকট
বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে : ইউজিসি
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
চার্জশিটের ৭ বছর পর মামলা পুনঃতদন্তের আবেদন
খাদ্য কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ঢাকা ওয়াসার দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ
চাকরির নামে প্রতারণা : ৫ জন গ্রেফতার
সিলেটে শ্রমিক নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
তীর পুনর্দখল উচ্ছেদ

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আন্তজার্তিক সাক্ষরতা দিবস আজ। এবার এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’। এবার করোনা পরিস্থিতিতে দিবসটি পালন হচ্ছে। দিবসটি উদযাপনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বেলা ১১টায় ঢাকার তেজগাঁও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বুরে‌্যা মিলনায়তনে সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন। এছাড়াও মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এটি বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবছর দেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গত রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো এ দিবস উপযাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতি বছর আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে আসছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সাক্ষরতা দিবসের সব আয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে করা হবে। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় এ সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প’ কর্মসূচির মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পার্যায়ে ১৩৫টি উপজেলা শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে।

সরকার এসডিজি এবং জাতীয় অঙ্গীকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের চতুর্থ লক্ষ্যে সাক্ষরতা বিস্তার, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ্য সৃষ্টির জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

জাকির হোসেন জানা, ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসছে না। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জনা পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জসহ ছয় জেলায় এক লাখ শিশুকে পাইলটিং শুরু করা হয়েছে।