গভীর সাগরে ৪-৫ দিন ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ নিয়ে শত শত ট্রলার আসছে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার মোকামে। হঠাৎ ইলিশের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দরপতনের পাশাপাশি তীব্র বরফ ও জ্বালানি সংকটে পড়েছেন আড়তদার ও জেলেরা। ইলিশ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনের অর্ধেক বরফও পাওয়া যাচ্ছে না। আবার প্রতি ক্যান ১২০ টাকা দামের বরফ এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়।
অন্যদিকে ডিজেলের সরবরাহ কম হওয়ায় সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলোর মোকামে মাছ রেখে পুনরায় ইলিশ শিকারের জন্য সাগরে যেতে পারছে না ডিজেল সংকটের কারণে। পটুয়াখালী, মহিপুর এবং বরগুনার পাথরঘাটায় তীব্র ডিজেল সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। রোববার দুপুরে পাথরঘাটার জ্বালানি ব্যবসায়ী এনামুল হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে ডিজেল নেই। তাই শতাধিক ট্রলার যেতে পারেননি সাগরে।
বরিশাল ইলিশ মোকামের অন্যতম আড়তদার সিকদার ফিসের স্বত্বাধিকারী জহির সিকদার বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বরিশালে বরফ সংকট শুরু হয়েছে। তাই দামও বেড়েছে। ইলিশের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার আগে প্রতি ক্যান বরফের দাম ছিল ১৫০ টাকা। সে বরফ এখন ৩৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। জহির সিকদার বলেন, বরিশালে প্রতিদিন ৭ হাজার ক্যান বরফের প্রয়োজন। কিন্ত তার অর্ধেকও এখানে উৎপাদন হয় না। তাই খুলনা থেকে বরফ থেকে আনতে হয় বেশি দামে।
বরিশাল বরফ কল মালিক সমিতির সদস্য ফারুক সিকদার বলেন, বরিশালে এখন মাত্র ৮টি বরফ কল উৎপাদনে আছে। কিন্ত ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বরফের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই বরফের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বরিশাল ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ- ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমূল্য ভুষণ সরকার বলেন, সরবরাহ লাইনে ত্রুটির কারণে মাঝে মাঝে লোডশেডিং দিতে হয়। তবে তাতে বরফ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা না। বরগুনার প্রধান ইলিশ মোকাম পাথরঘাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মারুফ খন্দকার বলেন, বরফ সংকটে স্থানীয় আড়তদাররা দিশেহারা। অন্যদিকে, ডিজেল না থাকার কারণে ট্রলারগুলো যথাসময়ে সাগরে যেতে পারছে না।
পাথরঘাটা বরফকল মালিক সমিতির সদস্য মিহির কান্তি বলেন, এক ক্যান বরফ সলিড (টেকসই) হতে ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা দরকার। কিন্ত পাথরঘাটায় গত ১৫ দিন ধরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত লো ভোল্টেজ বিদ্যুৎ থাকে। সেজন্য বরফকল চালু করা যায় না। তাছাড়া লোডশেডিংয়ের উৎপাততো আছেই। ফলে উৎপাদনে থাকা পাথরঘাটার ১৭টি বরফকলের একটিতেও পরিপূর্ণ বরফ উৎপাদন সম্ভব হয়না। মিহির কান্তি বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আমদানি হচ্ছে প্রতিদিন। তাই বরফের চাহিদাও বেশি। কিন্ত অর্ধেক চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইলিশ আড়তদার সগীর হোসেন বলেন, খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে বরফ এনে ইলিশ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। সেজন্য প্রতি ক্যান ১২০ টাকার বরফ এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। তাছাড়া খুলনা-পাথরঘাটা মহাসড়কের মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক বেহাল হওয়ায় বরফ আনা ও মাছ পরিবহনে দুর্ভোগ হচ্ছে। বাড়তি পরিবহন ব্যয় হচ্ছে আড়তদারদের।
পাথরঘাটার জ্বালানি ব্যবসায়ী এনামুল হোসেন রোববার দুপুরে বলেন, পাথরঘাটায় কোন ডিজেল ফিলিং স্টেশন নেই। ঝালকাঠী থেকে ট্যাংকারে করে তারা দু’জন ব্যবসায়ী ডিজেল এনে ট্রলারে ডিজেল সরবরাহ করেন। বর্তমানে পাথরঘাটায় প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্ত এক লিটার ডিজেলও ছিলনা রোববার। ফলে দুই শতাধিক ট্রলার সাগরে যেতে পারেনি। ঝালকাঠী থেকে ট্যাংকার না আসা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের বরফ কল মালিক মজনু গাজী বলেন, মহিপুরে ২৫টি বরফ কলের একটিও শতভাগ উৎপাদন করতে পারছে না বিদ্যুৎ সংকটে কারনে। দুইদিন ধরে ৭-৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এজন্য বরফ সলিড হচ্ছে না। তাই খুলনা থেকে তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে বরফ আনতে হচ্ছে। শনিবার খুলনা থেকে ২৫ ট্রাক বরফ আনা হয়েছে মহিপুরে। তিনি বলেন, যদি ইলিশের সরবরাহ অব্যাহত থাকে এবং বরফ সংকটের সমাধান না হয় তাহলে জেলে ও আড়তদাররা এ মৌসুমে লাভের মুখ দেখতে পারবেন না।
মহিপুরের রাজা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী রাজু আহমেদ হাওলাদার বলেন, মহিপুরের দুটি ফিলিং স্টেশন থেকে সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলারে চাহিদামতো ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারন হঠাৎ ইলিশ ধরা পড়ায় সাগরে ট্রলার যাওয়া বেড়ে গেছে। আর ডিজেলের চাহিদাও বেড়েছে ২/৩ গুণ। শনিবার রাতে মহিপুরের কোন ট্রলারে ডিজেল দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রায়শই মহিপুরে তিব্র ডিজেল সংকট দেখা দেয়। এতে শত শত ট্রলার সাগরে যেতে পারে না।
পাথরঘাটায় বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ পাথরঘাটায় সরবরাহ করা হয়। জাতীয় গ্রিডে ভোল্টেজ কম থাকলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু করার থাকে না। পাথরঘাটায় লো ভোল্টেজের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। হঠাৎ করেই এরকম সমস্যা হচ্ছে। তবে সমাধানেরও চেষ্টা চলছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া আঞ্চলিক অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, হাজীপুর সাব স্টেশনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় মহিপুরে দু’দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। তবে এখন কোন সমস্যা নেই।
মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
গভীর সাগরে ৪-৫ দিন ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ নিয়ে শত শত ট্রলার আসছে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার মোকামে। হঠাৎ ইলিশের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দরপতনের পাশাপাশি তীব্র বরফ ও জ্বালানি সংকটে পড়েছেন আড়তদার ও জেলেরা। ইলিশ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনের অর্ধেক বরফও পাওয়া যাচ্ছে না। আবার প্রতি ক্যান ১২০ টাকা দামের বরফ এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়।
অন্যদিকে ডিজেলের সরবরাহ কম হওয়ায় সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলোর মোকামে মাছ রেখে পুনরায় ইলিশ শিকারের জন্য সাগরে যেতে পারছে না ডিজেল সংকটের কারণে। পটুয়াখালী, মহিপুর এবং বরগুনার পাথরঘাটায় তীব্র ডিজেল সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। রোববার দুপুরে পাথরঘাটার জ্বালানি ব্যবসায়ী এনামুল হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে ডিজেল নেই। তাই শতাধিক ট্রলার যেতে পারেননি সাগরে।
বরিশাল ইলিশ মোকামের অন্যতম আড়তদার সিকদার ফিসের স্বত্বাধিকারী জহির সিকদার বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বরিশালে বরফ সংকট শুরু হয়েছে। তাই দামও বেড়েছে। ইলিশের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার আগে প্রতি ক্যান বরফের দাম ছিল ১৫০ টাকা। সে বরফ এখন ৩৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। জহির সিকদার বলেন, বরিশালে প্রতিদিন ৭ হাজার ক্যান বরফের প্রয়োজন। কিন্ত তার অর্ধেকও এখানে উৎপাদন হয় না। তাই খুলনা থেকে বরফ থেকে আনতে হয় বেশি দামে।
বরিশাল বরফ কল মালিক সমিতির সদস্য ফারুক সিকদার বলেন, বরিশালে এখন মাত্র ৮টি বরফ কল উৎপাদনে আছে। কিন্ত ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বরফের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই বরফের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বরিশাল ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ- ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমূল্য ভুষণ সরকার বলেন, সরবরাহ লাইনে ত্রুটির কারণে মাঝে মাঝে লোডশেডিং দিতে হয়। তবে তাতে বরফ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা না। বরগুনার প্রধান ইলিশ মোকাম পাথরঘাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মারুফ খন্দকার বলেন, বরফ সংকটে স্থানীয় আড়তদাররা দিশেহারা। অন্যদিকে, ডিজেল না থাকার কারণে ট্রলারগুলো যথাসময়ে সাগরে যেতে পারছে না।
পাথরঘাটা বরফকল মালিক সমিতির সদস্য মিহির কান্তি বলেন, এক ক্যান বরফ সলিড (টেকসই) হতে ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা দরকার। কিন্ত পাথরঘাটায় গত ১৫ দিন ধরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত লো ভোল্টেজ বিদ্যুৎ থাকে। সেজন্য বরফকল চালু করা যায় না। তাছাড়া লোডশেডিংয়ের উৎপাততো আছেই। ফলে উৎপাদনে থাকা পাথরঘাটার ১৭টি বরফকলের একটিতেও পরিপূর্ণ বরফ উৎপাদন সম্ভব হয়না। মিহির কান্তি বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আমদানি হচ্ছে প্রতিদিন। তাই বরফের চাহিদাও বেশি। কিন্ত অর্ধেক চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইলিশ আড়তদার সগীর হোসেন বলেন, খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে বরফ এনে ইলিশ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। সেজন্য প্রতি ক্যান ১২০ টাকার বরফ এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। তাছাড়া খুলনা-পাথরঘাটা মহাসড়কের মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক বেহাল হওয়ায় বরফ আনা ও মাছ পরিবহনে দুর্ভোগ হচ্ছে। বাড়তি পরিবহন ব্যয় হচ্ছে আড়তদারদের।
পাথরঘাটার জ্বালানি ব্যবসায়ী এনামুল হোসেন রোববার দুপুরে বলেন, পাথরঘাটায় কোন ডিজেল ফিলিং স্টেশন নেই। ঝালকাঠী থেকে ট্যাংকারে করে তারা দু’জন ব্যবসায়ী ডিজেল এনে ট্রলারে ডিজেল সরবরাহ করেন। বর্তমানে পাথরঘাটায় প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্ত এক লিটার ডিজেলও ছিলনা রোববার। ফলে দুই শতাধিক ট্রলার সাগরে যেতে পারেনি। ঝালকাঠী থেকে ট্যাংকার না আসা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের বরফ কল মালিক মজনু গাজী বলেন, মহিপুরে ২৫টি বরফ কলের একটিও শতভাগ উৎপাদন করতে পারছে না বিদ্যুৎ সংকটে কারনে। দুইদিন ধরে ৭-৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এজন্য বরফ সলিড হচ্ছে না। তাই খুলনা থেকে তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে বরফ আনতে হচ্ছে। শনিবার খুলনা থেকে ২৫ ট্রাক বরফ আনা হয়েছে মহিপুরে। তিনি বলেন, যদি ইলিশের সরবরাহ অব্যাহত থাকে এবং বরফ সংকটের সমাধান না হয় তাহলে জেলে ও আড়তদাররা এ মৌসুমে লাভের মুখ দেখতে পারবেন না।
মহিপুরের রাজা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী রাজু আহমেদ হাওলাদার বলেন, মহিপুরের দুটি ফিলিং স্টেশন থেকে সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলারে চাহিদামতো ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারন হঠাৎ ইলিশ ধরা পড়ায় সাগরে ট্রলার যাওয়া বেড়ে গেছে। আর ডিজেলের চাহিদাও বেড়েছে ২/৩ গুণ। শনিবার রাতে মহিপুরের কোন ট্রলারে ডিজেল দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রায়শই মহিপুরে তিব্র ডিজেল সংকট দেখা দেয়। এতে শত শত ট্রলার সাগরে যেতে পারে না।
পাথরঘাটায় বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ পাথরঘাটায় সরবরাহ করা হয়। জাতীয় গ্রিডে ভোল্টেজ কম থাকলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু করার থাকে না। পাথরঘাটায় লো ভোল্টেজের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। হঠাৎ করেই এরকম সমস্যা হচ্ছে। তবে সমাধানেরও চেষ্টা চলছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া আঞ্চলিক অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, হাজীপুর সাব স্টেশনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় মহিপুরে দু’দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। তবে এখন কোন সমস্যা নেই।