পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০.৪৪২ মে. টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কুতুবদিয়া বড়ঘোপ খাদ্য গুদামের খ-কালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী মো. শাহজাহান মিন্টু, নিরাপত্তা প্রহরী নিজাম উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরের স্প্রেম্যান মো. শাহজাহান (বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরে নিযুক্ত), মেসার্স হিমায়ন সি-ফুডস এর প্রোপ্রাইটর ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার সিকদার মহল এলাকার জানে আলমের স্ত্রী দিলরুবা হাসান এবং মেসার্স মোহনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর ও শহরের ঝাউতলা গাড়িরমাঠ এলাকার মাস্টার শফিকুর রহমানের ছেলে সেলিম রেজা।
গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
এর আগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আফিফ আল মাহমুদ ভুঁইয়া গত ২৯ জুলাই কুতুবদিয়া থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। দুদকের তফসীলভুক্ত বিধায় অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
গত ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই দশ দিনে ঠিকাদার দিলরুবা হাসান ও সেলিম রেজার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর এলএসডি থেকে ৩০২.৬৭৯ মে. টন চাল বড়ঘোপ খাদ্য গোদামে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ১৯০.৪৪২ মে. টন সরকারি চাল গোদাম থেকে আত্মসাৎ করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ।
তিনি জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০.৪৪২ মে. টন সরকারি চাল, যার বাজার মূল্য ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৭ টাকা। আত্মসাৎ করেছেন। যা দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনদের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০.৪৪২ মে. টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কুতুবদিয়া বড়ঘোপ খাদ্য গুদামের খ-কালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী মো. শাহজাহান মিন্টু, নিরাপত্তা প্রহরী নিজাম উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরের স্প্রেম্যান মো. শাহজাহান (বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরে নিযুক্ত), মেসার্স হিমায়ন সি-ফুডস এর প্রোপ্রাইটর ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার সিকদার মহল এলাকার জানে আলমের স্ত্রী দিলরুবা হাসান এবং মেসার্স মোহনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর ও শহরের ঝাউতলা গাড়িরমাঠ এলাকার মাস্টার শফিকুর রহমানের ছেলে সেলিম রেজা।
গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
এর আগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আফিফ আল মাহমুদ ভুঁইয়া গত ২৯ জুলাই কুতুবদিয়া থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। দুদকের তফসীলভুক্ত বিধায় অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
গত ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই দশ দিনে ঠিকাদার দিলরুবা হাসান ও সেলিম রেজার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর এলএসডি থেকে ৩০২.৬৭৯ মে. টন চাল বড়ঘোপ খাদ্য গোদামে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ১৯০.৪৪২ মে. টন সরকারি চাল গোদাম থেকে আত্মসাৎ করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ।
তিনি জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০.৪৪২ মে. টন সরকারি চাল, যার বাজার মূল্য ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৭ টাকা। আত্মসাৎ করেছেন। যা দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনদের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।