শ্রমিক নেতা নামধারী সিলেটের কুখ্যাত চাঁদাবাজ আবু সরকারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলা এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবু সরকার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিলেট জেলায় সর্বত্র ট্রাক থেকে বিভিন্ন হারে নামে বেনামে চাঁদাবাজি হয়ে আসছে। এমনকি ভোলাগঞ্জ, তামাবিল, জাফলং থেকে বিভিন্ন জেলা আগত গাড়িগুলো লোড নিলে ওভারলোডের কথা বলে গাড়ি আটকিয়ে আবু সরকারসহ অন্য শ্রমিক নেতারা নির্দিষ্ট হারে চাঁদাবাজি করছেন। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন জেলার গাড়ি সিলেট আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় এবং ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা যেহেতু গাড়িগুলো সিলেট আসার ওপর নির্ভরশীল তাই বাধ্য হয়ে ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাহেদুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আবু সরকারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১১জনকে আসামি করে উল্লেখিত ধারাগুলোর প্রাথমিকভাবে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ্য করে। সে হিসেবে রোববার আদালত এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানাকে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু রোববার আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, শাহেদুর রহমান কর্তৃক উপরোক্ত চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করায় আবু সরকারসহ তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় গত ১১ আগস্ট ২০২০ইং তারিখে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় শাহেদ গংরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন।
সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং- চট্ট ২১৫৯ এর সভাপতি আবু সরকারের নানা অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, সিলেট
শ্রমিক নেতা নামধারী সিলেটের কুখ্যাত চাঁদাবাজ আবু সরকারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলা এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবু সরকার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিলেট জেলায় সর্বত্র ট্রাক থেকে বিভিন্ন হারে নামে বেনামে চাঁদাবাজি হয়ে আসছে। এমনকি ভোলাগঞ্জ, তামাবিল, জাফলং থেকে বিভিন্ন জেলা আগত গাড়িগুলো লোড নিলে ওভারলোডের কথা বলে গাড়ি আটকিয়ে আবু সরকারসহ অন্য শ্রমিক নেতারা নির্দিষ্ট হারে চাঁদাবাজি করছেন। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন জেলার গাড়ি সিলেট আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় এবং ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা যেহেতু গাড়িগুলো সিলেট আসার ওপর নির্ভরশীল তাই বাধ্য হয়ে ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাহেদুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আবু সরকারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১১জনকে আসামি করে উল্লেখিত ধারাগুলোর প্রাথমিকভাবে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ্য করে। সে হিসেবে রোববার আদালত এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানাকে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু রোববার আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, শাহেদুর রহমান কর্তৃক উপরোক্ত চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করায় আবু সরকারসহ তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় গত ১১ আগস্ট ২০২০ইং তারিখে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় শাহেদ গংরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন।
সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং- চট্ট ২১৫৯ এর সভাপতি আবু সরকারের নানা অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।