কর পরিশোধে এনবিআর’র বিশেষ ছাড়

বার্ষিক আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিলেই মিলবে ২ হাজার টাকা কর ছাড়। যত টাকা কর হবে, তা থেকে দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে কর পরিশোধ করা যাবে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এই বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এজন্য এ জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর’র শর্ত অনুযায়ী, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যখনই নেয়া হোক না কেন, প্রথমবারের মতো রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং তা অনলাইনে দিতে হবে। এর অর্থ কেউ যদি ১০ বছর আগেও টিআইএন নিয়ে থাকেন, তাতেও সমস্যা নেই। তবে দুইবার প্রথম হতে হবে। প্রথমবার রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং প্রথমবার অনলাইনে তা জমা দিতে হবে। যদি এর আগে সনাতন পদ্ধতিতে রিটার্ন দিয়ে থাকেন, তাহলে এই সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, আকবর আলীর মোট আয়ের পরিমাণ ছয় লাখ টাকা। এরমধ্যে এক লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। আকবর এ বছরই প্রথম রিটার্ন জমা দেবেন। করোনার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন। এখন তার জন্য করের হিসাবটি হবে এমন-বিদ্যমান হার অনুযায়ী তার করের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি সঞ্চয়পত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তাই বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, তার বিনিয়োগ রেয়াতের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা। এর অর্থ হলো বিনিয়োগ রেয়াত নেয়ার পর আকবরের করের পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে আকবরকে আট হাজার টাকা কর দিলেই হবে। তবে মনে রাখতে হবে, একজন করদাতা শুধু একবারই এমন করসুবিধা পাবেন। এ বছর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

কর পরিশোধে এনবিআর’র বিশেষ ছাড়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বার্ষিক আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিলেই মিলবে ২ হাজার টাকা কর ছাড়। যত টাকা কর হবে, তা থেকে দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে কর পরিশোধ করা যাবে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এই বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এজন্য এ জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর’র শর্ত অনুযায়ী, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যখনই নেয়া হোক না কেন, প্রথমবারের মতো রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং তা অনলাইনে দিতে হবে। এর অর্থ কেউ যদি ১০ বছর আগেও টিআইএন নিয়ে থাকেন, তাতেও সমস্যা নেই। তবে দুইবার প্রথম হতে হবে। প্রথমবার রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং প্রথমবার অনলাইনে তা জমা দিতে হবে। যদি এর আগে সনাতন পদ্ধতিতে রিটার্ন দিয়ে থাকেন, তাহলে এই সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, আকবর আলীর মোট আয়ের পরিমাণ ছয় লাখ টাকা। এরমধ্যে এক লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। আকবর এ বছরই প্রথম রিটার্ন জমা দেবেন। করোনার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন। এখন তার জন্য করের হিসাবটি হবে এমন-বিদ্যমান হার অনুযায়ী তার করের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি সঞ্চয়পত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তাই বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, তার বিনিয়োগ রেয়াতের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা। এর অর্থ হলো বিনিয়োগ রেয়াত নেয়ার পর আকবরের করের পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে আকবরকে আট হাজার টাকা কর দিলেই হবে। তবে মনে রাখতে হবে, একজন করদাতা শুধু একবারই এমন করসুবিধা পাবেন। এ বছর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।