কুষ্টিয়ায় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে অন্যের সম্পত্তি বিক্রি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে পুলিশ তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আড়ুয়াপাড়া এলাকার খন্দকার আবুল হোসেনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে মিন্টু খন্দকার, কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়ার আতিয়ারের ছেলে মিলন হোসেন ও তার দুই বোন ছোনোয়ারা খাতুন ও জাহানারা খাতুন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আশরাফুজ্জামান সুজনের নেতৃত্বে একটি জালিয়াত চক্র কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর মৌজার প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ২২ শতক জমির ভুয়া মালিক সেজে মাত্র ৭৭ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দেন। তবে ওই জমির প্রকৃত মালিক শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ ও তার বোনেরা। জালিয়াত চক্রটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে রাতারাতি অন্যের জমির মালিক বনে যান। চক্রটি এখানেই থেমে থাকেনি, তারা শহরের এনএস রোডে আব্দুল ওয়াদুদের দোতলা বাড়িসহ কয়েকটি টাকা মূল্যের সম্পত্তিও একই কৌশলে বিক্রির চেষ্টা করছিল। পুলিশ জানায়, চক্রটি শহরের মজমপুর, চৌড়হাস ও বাহাদুরখালী মৌজার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে আত্মসাতের চেষ্টা করে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে জালিয়াত চক্রের সদস্যদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।
এ চক্রের অন্যতম পালের গোদা বিলুপ্ত হওয়া কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যের জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রোববার রাতে শহর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে অন্যের সম্পত্তি বিক্রি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে পুলিশ তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আড়ুয়াপাড়া এলাকার খন্দকার আবুল হোসেনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে মিন্টু খন্দকার, কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়ার আতিয়ারের ছেলে মিলন হোসেন ও তার দুই বোন ছোনোয়ারা খাতুন ও জাহানারা খাতুন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আশরাফুজ্জামান সুজনের নেতৃত্বে একটি জালিয়াত চক্র কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর মৌজার প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ২২ শতক জমির ভুয়া মালিক সেজে মাত্র ৭৭ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দেন। তবে ওই জমির প্রকৃত মালিক শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ ও তার বোনেরা। জালিয়াত চক্রটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে রাতারাতি অন্যের জমির মালিক বনে যান। চক্রটি এখানেই থেমে থাকেনি, তারা শহরের এনএস রোডে আব্দুল ওয়াদুদের দোতলা বাড়িসহ কয়েকটি টাকা মূল্যের সম্পত্তিও একই কৌশলে বিক্রির চেষ্টা করছিল। পুলিশ জানায়, চক্রটি শহরের মজমপুর, চৌড়হাস ও বাহাদুরখালী মৌজার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে আত্মসাতের চেষ্টা করে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে জালিয়াত চক্রের সদস্যদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।
এ চক্রের অন্যতম পালের গোদা বিলুপ্ত হওয়া কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যের জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রোববার রাতে শহর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।