জমি নিয়ে বিবাদ

বদরগঞ্জে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে বিধবার রোপা আমন ক্ষেত বিনষ্ট

রংপুরের বদরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে একাধিকবার ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে এক বিধবার রোপা আমনক্ষেত ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর এলাকার মিয়াপাড়ায়।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ওই এলাকার মনজুল হক প্রতিবেশী ছাইদুল হকের কাছ থেকে ২৫ শতক জমি কিনেন। এরপর থেকে তিনি ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু ৬ বছর আগে মনজুলের মৃত্যুর পর ছাইদুল ওই জমি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। এতে বাধা দেয়ায় মনজুলের বিধবা স্ত্রী সাগরী বেগমকে ছাইদুল নানাধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ তার ক্ষতি করার ঘোষণা দেন। এমন পরিস্থিতিতে সাগরী বেগম জানতে পারেন স্বামীর কেনা জমির দাগ নম্বর ভুল। একারণে তিনি জমির দাগ নম্বর সংশোধনের জন্য রংপুরের বদরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন(নং-১১/২০২০)। কিন্তু এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ছাইদুল। এরই অংশ হিসেবে তিনি রাতের আঁধারে রোপা আমনক্ষেতে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে আমন চারা মেরে ফেলেন। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে বিধবা সাগরী বেগম আবারো ওই জমিতে আমন চারা রোপণ করেন। তবে এবারো রাতের আঁধারে ওই জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে চারা মেরে ফেলেন ছাইদুল। বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ৭ সেপ্টেম্বর সাগরী বেগম বাধ্য হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ছাইদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

বদরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আরিফ আলী অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে ছাইদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাগরীর রোপা আমনক্ষেত মরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা’ আমার জানা নেই। এতে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে তা’ বুঝতে পারছিনা।

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

জমি নিয়ে বিবাদ

বদরগঞ্জে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে বিধবার রোপা আমন ক্ষেত বিনষ্ট

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

image

রংপুরের বদরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে একাধিকবার ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে এক বিধবার রোপা আমনক্ষেত ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর এলাকার মিয়াপাড়ায়।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ওই এলাকার মনজুল হক প্রতিবেশী ছাইদুল হকের কাছ থেকে ২৫ শতক জমি কিনেন। এরপর থেকে তিনি ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু ৬ বছর আগে মনজুলের মৃত্যুর পর ছাইদুল ওই জমি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। এতে বাধা দেয়ায় মনজুলের বিধবা স্ত্রী সাগরী বেগমকে ছাইদুল নানাধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ তার ক্ষতি করার ঘোষণা দেন। এমন পরিস্থিতিতে সাগরী বেগম জানতে পারেন স্বামীর কেনা জমির দাগ নম্বর ভুল। একারণে তিনি জমির দাগ নম্বর সংশোধনের জন্য রংপুরের বদরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন(নং-১১/২০২০)। কিন্তু এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ছাইদুল। এরই অংশ হিসেবে তিনি রাতের আঁধারে রোপা আমনক্ষেতে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে আমন চারা মেরে ফেলেন। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে বিধবা সাগরী বেগম আবারো ওই জমিতে আমন চারা রোপণ করেন। তবে এবারো রাতের আঁধারে ওই জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে চারা মেরে ফেলেন ছাইদুল। বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ৭ সেপ্টেম্বর সাগরী বেগম বাধ্য হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ছাইদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

বদরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আরিফ আলী অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে ছাইদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাগরীর রোপা আমনক্ষেত মরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা’ আমার জানা নেই। এতে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে তা’ বুঝতে পারছিনা।