চ্যানেল আইতে টেলিফিল্ম ‘আগুনের মেয়ে’

চ্যানেল আইতে আজ ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে প্রচার হবে টেলিফ্লি¥ ‘ধাগুনের মেয়ে’। এ টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দীন সুমন এবং পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। রুপসিয়া বিল। আদতে এটি একটি চর। চরের মানুষের সংখ্যাও খুব একটা বেশি না। অনগ্রসর জনপদ। কাজেই এই অঞ্চলের একটি মেয়ে প্রায় দুক্রোশ দূরে সদরের কাছাকাছি একটি স্কুলে পড়ে তা কম আশ্চর্যের কথা না। কিন্তু এ চরের মোখলেস মাঝির মেয়ে জুলেখা সেই আশ্চর্য কাজটিই করে বেড়াচ্ছে। নিমসা জুনাবালী স্কুলে সে ক্লাস নাইনে পড়ে। এই নদীর পাড়েই জুলেখারা একসময় কুকসুন্দি গ্রামে থাকত। কিন্তু নদীর ভাঙনে সেই গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়াতে তারা এখন এই চরে আশ্রয় নিয়েছে। সবকিছু বিলীন হয়ে গেলেও বিলীন হয়ে যায়নি জুলেখার স্কুলে যাওয়া। আর শখ করে চাচার কাছে শেখা ফুটবল খেলা। তার চাচা ঢাকায় থাকে। সেখানে ফুটবল খেলত একসময় সেকেন্ড ডিভিশানে। কিন্তু পা ভেঙে যাওয়াতে পরে আর ফুটবল খেলা হয়নি তার। কিন্তু তার ভাস্তিকে সে শিখিয়েছিল ফুটবল খেলা। তার ভাস্তি তা ধরে রেখেছে। ভাস্তি ফুটবল খেলে। স্কুলের মেয়ের ফুটবল দলের সে ক্যাপ্টেন। কিন্তু তা স্কুল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। মাঝে মাঝে সদর বা অন্য জেলার সঙ্গে ফুটবল খেলা হলে স্কুলের পক্ষ থেকে ফুটবল খেলে জুলেখা। চরের জালমহালের মালিক কুতুব ব্যাপারী জুলেখাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু জুলেখা তো রাজি না তার বাবাও রাজি না। মাঝে মাঝে জাল নৌকা দিতে চায় না কুতুব। গড়িমসি করে। বাবাকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে বিয়ের কথা। কিন্তু বাবা প্রতিবাদ করতে পারে না। খালি মুখ শুকনো করে বলে এখনো তো ছোট। এদিকে নদীতে ট্রলার চালায় উসমান। সে পছন্দ করে জুলেখাকে। অল্প বয়সী জোয়ান তাগড়া যুবক। জুলেখাকেও তাকে পছন্দ করে। মাঝে মাঝে লোক চক্ষুর আড়ালে তারা চলে যায় দূরে কোথাও। দুজনেরই ভালোবাসার কথা নদীর জলে কলকল ধ্বনির সুর তোলা। আন্ত জেলা স্কুল নারী ফুটবল খেলায় জুলেখার দল চ্যাম্পিয়ন হয়। সেখানে জুলেখা অনেক ভালো নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। তার সেদিনেরইে খেলার কলাকৌশল আর বল নিয়ে কারিশমা ভিডিও করে সেখানের কিছু ছেলে। তাই সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

চ্যানেল আইতে টেলিফিল্ম ‘আগুনের মেয়ে’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

চ্যানেল আইতে আজ ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে প্রচার হবে টেলিফ্লি¥ ‘ধাগুনের মেয়ে’। এ টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দীন সুমন এবং পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। রুপসিয়া বিল। আদতে এটি একটি চর। চরের মানুষের সংখ্যাও খুব একটা বেশি না। অনগ্রসর জনপদ। কাজেই এই অঞ্চলের একটি মেয়ে প্রায় দুক্রোশ দূরে সদরের কাছাকাছি একটি স্কুলে পড়ে তা কম আশ্চর্যের কথা না। কিন্তু এ চরের মোখলেস মাঝির মেয়ে জুলেখা সেই আশ্চর্য কাজটিই করে বেড়াচ্ছে। নিমসা জুনাবালী স্কুলে সে ক্লাস নাইনে পড়ে। এই নদীর পাড়েই জুলেখারা একসময় কুকসুন্দি গ্রামে থাকত। কিন্তু নদীর ভাঙনে সেই গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়াতে তারা এখন এই চরে আশ্রয় নিয়েছে। সবকিছু বিলীন হয়ে গেলেও বিলীন হয়ে যায়নি জুলেখার স্কুলে যাওয়া। আর শখ করে চাচার কাছে শেখা ফুটবল খেলা। তার চাচা ঢাকায় থাকে। সেখানে ফুটবল খেলত একসময় সেকেন্ড ডিভিশানে। কিন্তু পা ভেঙে যাওয়াতে পরে আর ফুটবল খেলা হয়নি তার। কিন্তু তার ভাস্তিকে সে শিখিয়েছিল ফুটবল খেলা। তার ভাস্তি তা ধরে রেখেছে। ভাস্তি ফুটবল খেলে। স্কুলের মেয়ের ফুটবল দলের সে ক্যাপ্টেন। কিন্তু তা স্কুল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। মাঝে মাঝে সদর বা অন্য জেলার সঙ্গে ফুটবল খেলা হলে স্কুলের পক্ষ থেকে ফুটবল খেলে জুলেখা। চরের জালমহালের মালিক কুতুব ব্যাপারী জুলেখাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু জুলেখা তো রাজি না তার বাবাও রাজি না। মাঝে মাঝে জাল নৌকা দিতে চায় না কুতুব। গড়িমসি করে। বাবাকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে বিয়ের কথা। কিন্তু বাবা প্রতিবাদ করতে পারে না। খালি মুখ শুকনো করে বলে এখনো তো ছোট। এদিকে নদীতে ট্রলার চালায় উসমান। সে পছন্দ করে জুলেখাকে। অল্প বয়সী জোয়ান তাগড়া যুবক। জুলেখাকেও তাকে পছন্দ করে। মাঝে মাঝে লোক চক্ষুর আড়ালে তারা চলে যায় দূরে কোথাও। দুজনেরই ভালোবাসার কথা নদীর জলে কলকল ধ্বনির সুর তোলা। আন্ত জেলা স্কুল নারী ফুটবল খেলায় জুলেখার দল চ্যাম্পিয়ন হয়। সেখানে জুলেখা অনেক ভালো নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। তার সেদিনেরইে খেলার কলাকৌশল আর বল নিয়ে কারিশমা ভিডিও করে সেখানের কিছু ছেলে। তাই সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।