স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কাউন্টারে বিক্রয় করা হবে রেলওয়ে টিকিট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সারাদেশের কাউন্টারে পাওয়া যাবে ২৫ শতাংশ টিকিট। বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রয় করা হবে অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপস। এছাড়া আগামী ১০, ১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রেলওয়ে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে আরও ৮৪টি ট্রেন চলাচল শুরু হবে। করোনাভাইরাসের কারণে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে গত ৩১ মে থেকে ১৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে। বাকি ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাস ৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে চালু করা হয় যাত্রীবাহী ট্রেন। এতদিন ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসে বিক্রয় করা হতো। অনলাইনে টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই যাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ শতাংশের অর্ধেক ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে। গত সোমবার রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা ২৫ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে এবং বাকি অর্ধেক ২৫ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে ইস্যু করা যাবে। কোনো স্টেশনের অনুকূলে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীতে বর্তমান নিয়মে বিক্রয়কৃত মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের সংখ্যা ৬টির বেশি হলে কাউন্টার, অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিটের সংখ্যা অনধিক ৬টি হলে তা শুধু অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সংরক্ষিত থাকা ২ শতাংশ আসন বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে। কাউন্টার ও অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় বিক্রি না হওয়া টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা আগে যেকোন মাধ্যম থেকে ইস্যু করা যাবে। প্রতিদিন সকাল টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রয় করা হবে। এছাড়া সকাল ৬টা থেকে মাবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে টিকিট বিক্রয় শুরু হবে। করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে। এরপর গত ২৭ আগস্ট থেকে ১৮ জোড়া ও ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নাগাদ আরও ৮৪টি ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এই ৮৪টি ট্রেনসহ চালু ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২১৮টিতে। বাকি আরও ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কাউন্টারে বিক্রয় করা হবে রেলওয়ে টিকিট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সারাদেশের কাউন্টারে পাওয়া যাবে ২৫ শতাংশ টিকিট। বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রয় করা হবে অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপস। এছাড়া আগামী ১০, ১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রেলওয়ে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে আরও ৮৪টি ট্রেন চলাচল শুরু হবে। করোনাভাইরাসের কারণে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে গত ৩১ মে থেকে ১৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে। বাকি ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাস ৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে চালু করা হয় যাত্রীবাহী ট্রেন। এতদিন ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসে বিক্রয় করা হতো। অনলাইনে টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই যাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ শতাংশের অর্ধেক ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে। গত সোমবার রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা ২৫ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে এবং বাকি অর্ধেক ২৫ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে ইস্যু করা যাবে। কোনো স্টেশনের অনুকূলে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীতে বর্তমান নিয়মে বিক্রয়কৃত মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের সংখ্যা ৬টির বেশি হলে কাউন্টার, অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিটের সংখ্যা অনধিক ৬টি হলে তা শুধু অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সংরক্ষিত থাকা ২ শতাংশ আসন বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে। কাউন্টার ও অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় বিক্রি না হওয়া টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা আগে যেকোন মাধ্যম থেকে ইস্যু করা যাবে। প্রতিদিন সকাল টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রয় করা হবে। এছাড়া সকাল ৬টা থেকে মাবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে টিকিট বিক্রয় শুরু হবে। করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে। এরপর গত ২৭ আগস্ট থেকে ১৮ জোড়া ও ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নাগাদ আরও ৮৪টি ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এই ৮৪টি ট্রেনসহ চালু ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২১৮টিতে। বাকি আরও ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।