বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিলসহ ৩ বিল পাস

জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল, ২০২০সহ তিনটি বিল পাস হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের ৩য় কার্যদিবসে কণ্ঠভোটে বিলগুলো পাস হয়। অপর দুটি বিল হচ্ছে, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট বিল, ২০২০ এবং গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০২০। বিল তিনটির মধ্যে প্রথম দুটি বিল পাসের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। আর শেষে উল্লেখিত বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল দেশের প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন, গবেষণার ফলাফল বাণিজ্যিকীকরণ এবং আমদানিকৃত প্রযুক্তি গ্রহণ, আত্মীকরণ ও অভিযোজন করতে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। বিলে গবেষণাসহ এসব ক্ষেত্রে সমন্বয়, সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল গঠনের বিধান করা হয়। বিলে কাউন্সিলের গঠন প্রণালী কার্যাবলী, দায়িত্ব, ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দষ্ট বিধান করা হয়। গতকাল জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। গত ১৫ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল আইন হিসেবে প্রবর্তন করা হলে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে। এছাড়া প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট বিল

এ বিলটিতে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা, গবেষণা সেবাসহ এ সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম গ্রহণে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। নতুন এই আইনের অধীনে গবেষণাগার হলে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে বিদেশে যেতে তো হবেই না, বরং অন্য কোন দেশ এখান থেকে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে পারবে। গতকাল জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়ফেস ওসমান ‘বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল-২০২০’ পাসের প্রস্তাব করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আইনটি প্রবর্তন হলে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য রাসায়নিক পরিমাপ সেবার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

রাসায়নিকের পরিমাপ পরীক্ষা করার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অধীনে সর্বোচ্চ জাতীয় রেফারেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস- ডিআরআইসিএম চালু করা হয়। বাংলাদেশে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানে গবেষণায় সর্বপ্রথম ও একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউট এটি। ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানবিষয়ক সব গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। নতুন আইনে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংবিধিবদ্ধ ইনস্টিটিউটে রূপান্তরিত হবে, যার প্রধান হবেন মহাপরিচালক। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব। এই প্রতিষ্ঠান পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাণ সেবা দেবে। এছাড়া প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং ও ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন সেবা দেবে। নতুন প্রতিষ্ঠান রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল

এ বিলটিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও এর সন্নিহিত এলাকার সমন্বয়ে আধুনিক, সুপরিকল্পিত শিল্প ও পর্যটন নগরী গড়তে একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান করা হয়েছে। বিলে এ কর্তৃপক্ষের গঠন প্রণালী, কার্যক্রম, ক্ষমতা, দায়িত্বসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ বিল পাসের প্রস্তাব করেন। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। বিলে বলা আছে, পরিকল্পনার বাইরে কেউ জমি ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘বিলটি আইন হিসেবে প্রণয়ন হলে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় একটি আধুনিক নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।’

সংসদের বৈঠক মুলতবি

সংসদের বৈঠক আজ ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মুলতবি ঘোষণা করেন।

আরও খবর
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতির চাঁদা বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
জেসিসি ষষ্ঠ বৈঠক হবে ভার্চুয়ালি এ মাসের শেষে
১০০ উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন নিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও ইইডি বিরোধ
আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পরিস্থিতি দেশে নেই কাদের
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির সাবেক দুই এমডির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
এলজিইডি’র পৌনে তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত
নিখোঁজের ৭ দিন পর পথশিশু জিনিয়াকে না’গঞ্জে উদ্ধার
ক্রসফায়ার-গুমের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় বাম ঐক্য
রনির নেতৃত্বে ৬ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে রংপুর ছাত্রলীগ
মারমা কিশোরী ধর্ষণ ঘটনায়
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে নাভিশ্বাস
ভাইকে হত্যা করে ঘরেই মাটিচাপা দেয় বড় ভাই
৪০ হাজার গ্রাহকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিলসহ ৩ বিল পাস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল, ২০২০সহ তিনটি বিল পাস হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের ৩য় কার্যদিবসে কণ্ঠভোটে বিলগুলো পাস হয়। অপর দুটি বিল হচ্ছে, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট বিল, ২০২০ এবং গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০২০। বিল তিনটির মধ্যে প্রথম দুটি বিল পাসের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। আর শেষে উল্লেখিত বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল দেশের প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন, গবেষণার ফলাফল বাণিজ্যিকীকরণ এবং আমদানিকৃত প্রযুক্তি গ্রহণ, আত্মীকরণ ও অভিযোজন করতে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। বিলে গবেষণাসহ এসব ক্ষেত্রে সমন্বয়, সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল গঠনের বিধান করা হয়। বিলে কাউন্সিলের গঠন প্রণালী কার্যাবলী, দায়িত্ব, ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দষ্ট বিধান করা হয়। গতকাল জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। গত ১৫ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল আইন হিসেবে প্রবর্তন করা হলে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে। এছাড়া প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট বিল

এ বিলটিতে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা, গবেষণা সেবাসহ এ সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম গ্রহণে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। নতুন এই আইনের অধীনে গবেষণাগার হলে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে বিদেশে যেতে তো হবেই না, বরং অন্য কোন দেশ এখান থেকে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে পারবে। গতকাল জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়ফেস ওসমান ‘বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল-২০২০’ পাসের প্রস্তাব করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আইনটি প্রবর্তন হলে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য রাসায়নিক পরিমাপ সেবার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

রাসায়নিকের পরিমাপ পরীক্ষা করার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অধীনে সর্বোচ্চ জাতীয় রেফারেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস- ডিআরআইসিএম চালু করা হয়। বাংলাদেশে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানে গবেষণায় সর্বপ্রথম ও একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউট এটি। ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানবিষয়ক সব গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। নতুন আইনে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংবিধিবদ্ধ ইনস্টিটিউটে রূপান্তরিত হবে, যার প্রধান হবেন মহাপরিচালক। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব। এই প্রতিষ্ঠান পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাণ সেবা দেবে। এছাড়া প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং ও ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন সেবা দেবে। নতুন প্রতিষ্ঠান রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল

এ বিলটিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও এর সন্নিহিত এলাকার সমন্বয়ে আধুনিক, সুপরিকল্পিত শিল্প ও পর্যটন নগরী গড়তে একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান করা হয়েছে। বিলে এ কর্তৃপক্ষের গঠন প্রণালী, কার্যক্রম, ক্ষমতা, দায়িত্বসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ বিল পাসের প্রস্তাব করেন। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। বিলে বলা আছে, পরিকল্পনার বাইরে কেউ জমি ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘বিলটি আইন হিসেবে প্রণয়ন হলে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় একটি আধুনিক নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।’

সংসদের বৈঠক মুলতবি

সংসদের বৈঠক আজ ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মুলতবি ঘোষণা করেন।