টাঙ্গাইলে চলতি বছরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায়ধীন সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে প্রায় পৌনে তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সম্প্রতি মাত্র ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। ১১টি উপজেলার ৩২৮টি কাঁচাপাকা রাস্তা, ৭৩টি ব্রিজ ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সূত্রমতে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৩৮টি রাস্তা ও তিনটি ব্রিজ-কালভার্ট, বাসাইলে ৪০টি রাস্তা ও ৭টি ব্রিজ-কালভার্ট, সখীপুরে ৮টি রাস্তা ও ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট, মির্জাপুরে ২৫টি রাস্তা ও ১১টি ব্রিজ-কালভার্ট, দেলদুয়ারে ৭১টি রাস্তা ও ১৩টি ব্রিজ-কালভার্ট, ভূঞাপুরে ২৫টি রাস্তা ও দুইটি ব্রিজ-কালভার্ট, নাগরপুরে ৩৬টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, কালিহাতীতে ১৯টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, ঘাটাইলে ৩৪টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, গোপালপুরে ১০টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, ধনবাড়ী উপজেলায় ২২টি রাস্তা ও ৭টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক হিসেবে এর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ২৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা। টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম টিনিউজকে জানান, বন্যায় জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলার প্রায় এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৩২৮টি কাঁচাপাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৭৩টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্টের ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় পৌনে তিনশ’ কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিছু প্রকল্পও পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্টের সংস্কার বা মেরামত করতে ‘একটি পূর্নবাসন প্রকল্প’ প্রণয়ন করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই টাকা দিয়েই জরুরি সংস্কার বা মেরামতের কাজ দ্রুতই শুরু করবেন।
বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে চলতি বছরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায়ধীন সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে প্রায় পৌনে তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সম্প্রতি মাত্র ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। ১১টি উপজেলার ৩২৮টি কাঁচাপাকা রাস্তা, ৭৩টি ব্রিজ ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সূত্রমতে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৩৮টি রাস্তা ও তিনটি ব্রিজ-কালভার্ট, বাসাইলে ৪০টি রাস্তা ও ৭টি ব্রিজ-কালভার্ট, সখীপুরে ৮টি রাস্তা ও ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট, মির্জাপুরে ২৫টি রাস্তা ও ১১টি ব্রিজ-কালভার্ট, দেলদুয়ারে ৭১টি রাস্তা ও ১৩টি ব্রিজ-কালভার্ট, ভূঞাপুরে ২৫টি রাস্তা ও দুইটি ব্রিজ-কালভার্ট, নাগরপুরে ৩৬টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, কালিহাতীতে ১৯টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, ঘাটাইলে ৩৪টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, গোপালপুরে ১০টি রাস্তা ও পাঁচটি ব্রিজ-কালভার্ট, ধনবাড়ী উপজেলায় ২২টি রাস্তা ও ৭টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক হিসেবে এর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ২৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা। টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম টিনিউজকে জানান, বন্যায় জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলার প্রায় এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৩২৮টি কাঁচাপাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৭৩টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্টের ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় পৌনে তিনশ’ কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিছু প্রকল্পও পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্টের সংস্কার বা মেরামত করতে ‘একটি পূর্নবাসন প্রকল্প’ প্রণয়ন করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই টাকা দিয়েই জরুরি সংস্কার বা মেরামতের কাজ দ্রুতই শুরু করবেন।