দখলে দখলে অস্তিত্ব সংকটে পাহাড় : নিভৃতে কাঁদে রায়

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদণ্ডীস্থ খেদামুড়া পাহাড়টি দিনের পর দিন দখলদারদের উৎপাত বেড়ে চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ওই পাহাড়টিতে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট প্রায় ৪ একর বিশিষ্ট সরকারি এই পাহাড়টির টিলা অংশ কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করে স্থাপনা তৈরি ও জায়গা বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার অভিযোগে বিগত ২০১১ সালে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক/ইনভেস্টিগেটর বাদী হয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিদের শাস্তি প্রদান করে আদালত। পাহাড়টি পুনঃ ফিরে দেয়ার জন্যও উচ্চ আদালত নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনার পর বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন থেকে কর্তনকৃত পাহাড়ের অংশ বিশেষ ভরাট কার্যক্রমও চালানো হয় এবং ভরাটকৃত খেদামুড়া নামক ওই পাহাড়ি এলাকায় সর্ব-সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষেধ করা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে ভূমিদস্যুরা পুনরায় ওই পাহাড়টি দখলে নিয়ে বসতবাড়ি ও স্থাপনা এবং চাষাবাদ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এছাড়াও পাহাড়ের অংশ বিশেষ বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদণ্ডী খেদামুড়া পাহাড়ির চতুর্পাশে ভূমিদস্যুরা বসতভিটা নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। আরও নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি করার জন্য পাহাড়ে টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গা গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। এদিকে খেদামুড়া পাহাড়টি ভূমিদস্যুরা পুনরায় দখলে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি সরজমিনে পরিদর্শনে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান ও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদণ্ডী খেদামুড়া পাহাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এই পাহাড় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সুতরাং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই পাহাড়ে সকল ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। তারপরেও কেউ যদি সরকারি এই পাহাড় দখল করে বসতভিটা কিংবা কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালায় তবে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

দখলে দখলে অস্তিত্ব সংকটে পাহাড় : নিভৃতে কাঁদে রায়

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

image

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদণ্ডীস্থ খেদামুড়া পাহাড়টি দিনের পর দিন দখলদারদের উৎপাত বেড়ে চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ওই পাহাড়টিতে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট প্রায় ৪ একর বিশিষ্ট সরকারি এই পাহাড়টির টিলা অংশ কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করে স্থাপনা তৈরি ও জায়গা বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার অভিযোগে বিগত ২০১১ সালে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক/ইনভেস্টিগেটর বাদী হয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিদের শাস্তি প্রদান করে আদালত। পাহাড়টি পুনঃ ফিরে দেয়ার জন্যও উচ্চ আদালত নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনার পর বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন থেকে কর্তনকৃত পাহাড়ের অংশ বিশেষ ভরাট কার্যক্রমও চালানো হয় এবং ভরাটকৃত খেদামুড়া নামক ওই পাহাড়ি এলাকায় সর্ব-সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষেধ করা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে ভূমিদস্যুরা পুনরায় ওই পাহাড়টি দখলে নিয়ে বসতবাড়ি ও স্থাপনা এবং চাষাবাদ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এছাড়াও পাহাড়ের অংশ বিশেষ বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদণ্ডী খেদামুড়া পাহাড়ির চতুর্পাশে ভূমিদস্যুরা বসতভিটা নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। আরও নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি করার জন্য পাহাড়ে টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গা গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। এদিকে খেদামুড়া পাহাড়টি ভূমিদস্যুরা পুনরায় দখলে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি সরজমিনে পরিদর্শনে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান ও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদণ্ডী খেদামুড়া পাহাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এই পাহাড় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সুতরাং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই পাহাড়ে সকল ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। তারপরেও কেউ যদি সরকারি এই পাহাড় দখল করে বসতভিটা কিংবা কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালায় তবে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।