হোয়াইট হাউজ

আমিরাত-ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক চুক্তি আগামী সপ্তাহে

ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমিরাতের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের যুবরাজের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন জায়েদ। গত ১৩ আগস্ট দু’দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সমঝোতা ঘোষণার ১ মাস পর এ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে উপনীত হচ্ছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজে। মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরির প্রতিক্রুতি দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। হোয়াইট হাউজের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজে ঐতিহাসিক এ চুক্তি স্বাক্ষরের আয়োজন করবেন। আল-জাজিরা, নিউজউইক।

ওই কর্মকর্তা জানান, উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ। টুইটারে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, শান্তি চুক্তির ভিত্তি স্থাপনের জন্য আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের এ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এদিকে সহসাই ইসরায়েলে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী ৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই এ দূতাবাস খোলা হবে। এর পাশাপাশি একটি কনস্যুলেট খোলার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হবে। আমিরাতি পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, ইসরায়েলিরা এখন থেকে তিন থেকে পাঁচ মাস পর দেশটিতে চালু হওয়া আমাদের দূতাবাস থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ট্রাভেল ভিসা পেতে সক্ষম হবে।’ এর আগে এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আবুধাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনার সময় দূতাবাস খোলার বিষয়ে উভয়পক্ষের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। ১৯৭৯ মিসর ও ১৯৯৪ জর্ডানের পর ৩য় আরব রাষ্ট্র হিসেবে ২০২০-এর ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় আমিরাত। দু’দেশের টেলিফোন যোগাযোগ সচল করার পাশাপাশি নিয়মিত বিমান চলাচল চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজ ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্য আরব রাষ্ট্রগুলোও আমিরাতকে অনুসরণ করবে। নিউজউইককে দেয়া সাক্ষাৎকারে কুশনার আমিরাতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বহু দেশ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আমিরাতের পর উপসাগরীয় বাকি দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে ‘অনিবার্যভাবে’ চুক্তি করবে উল্লেখ করে কুশনার বলেন, এখন বিষয় হলো সেটা কতদিনের মধ্যে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

হোয়াইট হাউজ

আমিরাত-ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক চুক্তি আগামী সপ্তাহে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমিরাতের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের যুবরাজের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন জায়েদ। গত ১৩ আগস্ট দু’দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সমঝোতা ঘোষণার ১ মাস পর এ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে উপনীত হচ্ছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজে। মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরির প্রতিক্রুতি দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। হোয়াইট হাউজের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজে ঐতিহাসিক এ চুক্তি স্বাক্ষরের আয়োজন করবেন। আল-জাজিরা, নিউজউইক।

ওই কর্মকর্তা জানান, উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ। টুইটারে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, শান্তি চুক্তির ভিত্তি স্থাপনের জন্য আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের এ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এদিকে সহসাই ইসরায়েলে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী ৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই এ দূতাবাস খোলা হবে। এর পাশাপাশি একটি কনস্যুলেট খোলার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হবে। আমিরাতি পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, ইসরায়েলিরা এখন থেকে তিন থেকে পাঁচ মাস পর দেশটিতে চালু হওয়া আমাদের দূতাবাস থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ট্রাভেল ভিসা পেতে সক্ষম হবে।’ এর আগে এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আবুধাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনার সময় দূতাবাস খোলার বিষয়ে উভয়পক্ষের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। ১৯৭৯ মিসর ও ১৯৯৪ জর্ডানের পর ৩য় আরব রাষ্ট্র হিসেবে ২০২০-এর ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় আমিরাত। দু’দেশের টেলিফোন যোগাযোগ সচল করার পাশাপাশি নিয়মিত বিমান চলাচল চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজ ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্য আরব রাষ্ট্রগুলোও আমিরাতকে অনুসরণ করবে। নিউজউইককে দেয়া সাক্ষাৎকারে কুশনার আমিরাতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বহু দেশ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আমিরাতের পর উপসাগরীয় বাকি দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে ‘অনিবার্যভাবে’ চুক্তি করবে উল্লেখ করে কুশনার বলেন, এখন বিষয় হলো সেটা কতদিনের মধ্যে হবে।