নবজাতকের মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় নিহত হলেন মা-বাবাসহ ৬ জন। তারা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে নিহন হন যাত্রীরা। গতকাল বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই ঝালকাঠী সদর উপজেলার বাউকাঠী গ্রামে বাসিন্দা। নবজাতকের মৃতদেহ নিয়ে তারা ঢাকা থেকে বাউকাঠীতে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান।
নিহতদের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা আলমগীরের পরিচয় জানা গেছে। অন্যদের পরিচয় এখন জানা যায়নি। জানা গেছে, দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের নারী সদস্য দুইদিন আগে ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। পরে নবজাতক অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। মৃতদেহটি নিয়ে নবজাতকের বাবা-মাসহ পরিবারের আরও ৫/৬ জন সদস্য অ্যাম্বুলেন্সে ঝালকাঠীর বাউকাঠী গ্রামের দিকে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনাস্থল আটিপাড়ার বাসিন্দা সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ বলেন, উজিরপুরের আটিপাড়া নামক এলাকায় একটি যাত্রী বাসকে অতিক্রম করতে চেয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সটি (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১১৭১৩)। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মেসার্স গাজী রাইস মিল নামক একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে পিছনে থাকা মায়া ট্রাভেলস নামক যাত্রীবাহী বাস (খুলনা মেট্রো ব-১১০-১৭১) কাভার্ড ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ছিটকে সড়কের পাশে গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। জুনায়েদ জানান, তিনিসহ অন্যরা ৬ জনের মৃতদেহ দেখতে পান।
বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
নবজাতকের মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় নিহত হলেন মা-বাবাসহ ৬ জন। তারা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে নিহন হন যাত্রীরা। গতকাল বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই ঝালকাঠী সদর উপজেলার বাউকাঠী গ্রামে বাসিন্দা। নবজাতকের মৃতদেহ নিয়ে তারা ঢাকা থেকে বাউকাঠীতে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান।
নিহতদের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা আলমগীরের পরিচয় জানা গেছে। অন্যদের পরিচয় এখন জানা যায়নি। জানা গেছে, দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের নারী সদস্য দুইদিন আগে ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। পরে নবজাতক অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। মৃতদেহটি নিয়ে নবজাতকের বাবা-মাসহ পরিবারের আরও ৫/৬ জন সদস্য অ্যাম্বুলেন্সে ঝালকাঠীর বাউকাঠী গ্রামের দিকে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনাস্থল আটিপাড়ার বাসিন্দা সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ বলেন, উজিরপুরের আটিপাড়া নামক এলাকায় একটি যাত্রী বাসকে অতিক্রম করতে চেয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সটি (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১১৭১৩)। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মেসার্স গাজী রাইস মিল নামক একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে পিছনে থাকা মায়া ট্রাভেলস নামক যাত্রীবাহী বাস (খুলনা মেট্রো ব-১১০-১৭১) কাভার্ড ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ছিটকে সড়কের পাশে গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। জুনায়েদ জানান, তিনিসহ অন্যরা ৬ জনের মৃতদেহ দেখতে পান।