৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়ালো ডিএসই’র প্রধান সূচক

আগেরদিন কিছুটা পতন হলেও গতকাল সব সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১১ মাস পর সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের দিন থেকে কিছুটা কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯.৬০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১১.২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচকটি দীর্ঘ ১১ মাস ১৬ দিন বা ১৯৫ কার্যদিবস পর ৫ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগে ডিএসইর এই সূচকটি ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর গতকালের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এদিন ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.০৮ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৩৩ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ৬.২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৫৮.৫২, ১৭৪০.২৩ ও ১০১৬.২৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। এদিন ডিএসইতে ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯০টির বা ৫৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১১৭টির বা ৩২.৮৫ শতাংশের এবং ৪৯টি বা ১৩.৭৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গতকাল অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৪.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৯.২৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দর। এদিন সিএসইতে ২৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৮৫ লাখ ৭ হাজার ৪৬৮টি শেয়ার ৭২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সামিট পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যাংক এশিয়ার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।

এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৯ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মার ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ৩২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, সী পার্লের ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকার, রেনেটার ২ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার অলিম্পিকের ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ২৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১ লাখ টাকার, বেক্সিমকোর ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার এবং বিডি ফাইন্যান্সের ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭

৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়ালো ডিএসই’র প্রধান সূচক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

আগেরদিন কিছুটা পতন হলেও গতকাল সব সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১১ মাস পর সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের দিন থেকে কিছুটা কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯.৬০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১১.২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচকটি দীর্ঘ ১১ মাস ১৬ দিন বা ১৯৫ কার্যদিবস পর ৫ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগে ডিএসইর এই সূচকটি ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর গতকালের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এদিন ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.০৮ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৩৩ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ৬.২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৫৮.৫২, ১৭৪০.২৩ ও ১০১৬.২৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। এদিন ডিএসইতে ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯০টির বা ৫৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১১৭টির বা ৩২.৮৫ শতাংশের এবং ৪৯টি বা ১৩.৭৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গতকাল অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৪.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৯.২৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দর। এদিন সিএসইতে ২৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৮৫ লাখ ৭ হাজার ৪৬৮টি শেয়ার ৭২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সামিট পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যাংক এশিয়ার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।

এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৯ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মার ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ৩২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, সী পার্লের ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকার, রেনেটার ২ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার অলিম্পিকের ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ২৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১ লাখ টাকার, বেক্সিমকোর ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার এবং বিডি ফাইন্যান্সের ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।