ইরাক ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কমে আসছে

ইরাক থেকে আরও আমেরিকান সৈন্য সরিয়ে নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার দেশটির ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শীঘ্রই সৈন্য কমানোর বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ইরাক ছাড়াও ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য কমাবেন। আল-জাজিরা।

গত বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন দেশের যুদ্ধে নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ কারণে সৈন্য কমানোর মধ্যে দিয়ে সেই সমালোচনা কিছুটা প্রশমনের চেষ্টা করবেন তিনি। বিভিন্ন তথ্য সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে ইসলামিক এস্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাক সরকারকে সাহায্য করতে ২০১৪ সালে ইরাকে আস্তানা গড়ে তোলে মার্কিন সেনাবাহিনী। দেশটির প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সৈন্য বর্তমানে ইরাকে রয়েছে।

ইরানের এলিট ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর জোরালো হয় আমেরিকার সেনাবাহিনীকে ইরাক থেকে হটানোর আন্দোলন। গত বুধবার, যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা ৮হাজার ৬শ’ থেকে ৪ হাজার ৫শ’ তে নামিয়ে আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার, ইরাক থেকেও উল্লেখযোগ্য সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

জেনারেল কেনেথ ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা দখলদার বাহিনী হয়ে আর থাকতে চাইনা, শুধু কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রক্ষার্থে থাকতে চাই এবং আল-কায়দা ও আইসিসদের হুমকি মোকাবেলায় সেনাদের নিয়োজিত করা হবে। তিনি আরও স্বীকার করেন তালিবানরা এখনো আল কায়দার সঙ্গে চূড়ান্তভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করেনি এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭

ইরাক ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কমে আসছে

image

যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে সেনা কমানোর অফিসিয়াল ঘোষণা দিল গত বুধবার -এপি

ইরাক থেকে আরও আমেরিকান সৈন্য সরিয়ে নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার দেশটির ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শীঘ্রই সৈন্য কমানোর বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ইরাক ছাড়াও ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য কমাবেন। আল-জাজিরা।

গত বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন দেশের যুদ্ধে নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ কারণে সৈন্য কমানোর মধ্যে দিয়ে সেই সমালোচনা কিছুটা প্রশমনের চেষ্টা করবেন তিনি। বিভিন্ন তথ্য সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে ইসলামিক এস্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাক সরকারকে সাহায্য করতে ২০১৪ সালে ইরাকে আস্তানা গড়ে তোলে মার্কিন সেনাবাহিনী। দেশটির প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সৈন্য বর্তমানে ইরাকে রয়েছে।

ইরানের এলিট ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর জোরালো হয় আমেরিকার সেনাবাহিনীকে ইরাক থেকে হটানোর আন্দোলন। গত বুধবার, যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা ৮হাজার ৬শ’ থেকে ৪ হাজার ৫শ’ তে নামিয়ে আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার, ইরাক থেকেও উল্লেখযোগ্য সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

জেনারেল কেনেথ ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা দখলদার বাহিনী হয়ে আর থাকতে চাইনা, শুধু কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রক্ষার্থে থাকতে চাই এবং আল-কায়দা ও আইসিসদের হুমকি মোকাবেলায় সেনাদের নিয়োজিত করা হবে। তিনি আরও স্বীকার করেন তালিবানরা এখনো আল কায়দার সঙ্গে চূড়ান্তভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করেনি এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে।