কাঁঠাল বাগানে আইনজীবীর রহস্যজনক মৃত্যু

রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসায় আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ (৩৩) নামের এক ব্যারিস্টারের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণ আইনজীবীকে শুক্রবার ভোরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনজীবির নিজের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর শ্বশুর পক্ষের দাবি সে ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, কাঁঠালবাগানে ফ্রি স্কুল স্ট্রিল রোডের ১৬৩ নম্বর বাসায় আসিফ নামের এক ব্যারিস্টার নয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মারা যাওয়ার খবর পান তারা। আসিফের বাব মার অভিযোগ হলো আসিফকে হত্যা করা হয়েছে। আর শশুর পক্ষের অভিযোগ সে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানাযাবে। ওসি জানান, তরুণ আইনজীবী আসিফ সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ি এলাকার সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। তিনি সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবাও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। তিনি পরিবারসহ মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের, রোড ১৭, সি ব্লকে থাকতেন।

আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদের দাবি, চার বছর আগে আসিফ তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে বিয়ে করেন। তবে আসিফের পরিবার এটি মেনে নেয়নি। এজন্য আসিফ কাঁঠালবাগানে তাদের বাড়িতেই (শ্বশুর বাড়ি) থাকতেন। তাদের কোন সন্তান নেই। তিনি আরও দাবি করেন আসিফ ও সাবরিনার মাঝে মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। আসিফ মাদকাসক্ত ছিলেন। চার মাস রিহ্যাবেও ছিলেন। রাতেও (বৃহস্পতিবার) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এক পর্যায়ে আসিফ নয় তলার বারান্দা থেকে রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভোরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে আসিফের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, আসিফ সুপ্রমকোর্টের ব্যারিস্টার এবং মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজারও ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকই ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে আসিফে মৃতদেহ দেখতে পান। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে।

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

কাঁঠাল বাগানে আইনজীবীর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসায় আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ (৩৩) নামের এক ব্যারিস্টারের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণ আইনজীবীকে শুক্রবার ভোরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনজীবির নিজের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর শ্বশুর পক্ষের দাবি সে ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, কাঁঠালবাগানে ফ্রি স্কুল স্ট্রিল রোডের ১৬৩ নম্বর বাসায় আসিফ নামের এক ব্যারিস্টার নয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মারা যাওয়ার খবর পান তারা। আসিফের বাব মার অভিযোগ হলো আসিফকে হত্যা করা হয়েছে। আর শশুর পক্ষের অভিযোগ সে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানাযাবে। ওসি জানান, তরুণ আইনজীবী আসিফ সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ি এলাকার সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। তিনি সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবাও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। তিনি পরিবারসহ মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের, রোড ১৭, সি ব্লকে থাকতেন।

আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদের দাবি, চার বছর আগে আসিফ তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে বিয়ে করেন। তবে আসিফের পরিবার এটি মেনে নেয়নি। এজন্য আসিফ কাঁঠালবাগানে তাদের বাড়িতেই (শ্বশুর বাড়ি) থাকতেন। তাদের কোন সন্তান নেই। তিনি আরও দাবি করেন আসিফ ও সাবরিনার মাঝে মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। আসিফ মাদকাসক্ত ছিলেন। চার মাস রিহ্যাবেও ছিলেন। রাতেও (বৃহস্পতিবার) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এক পর্যায়ে আসিফ নয় তলার বারান্দা থেকে রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভোরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে আসিফের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, আসিফ সুপ্রমকোর্টের ব্যারিস্টার এবং মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজারও ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকই ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে আসিফে মৃতদেহ দেখতে পান। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে।