বিধিবহির্ভূত কাজে বিল প্রদানের অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগে কোন কার্যাদেশ ছাড়াই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদার বিল উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করেই বিল উত্তোলন করায় এ অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরেও নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে উক্ত কাজের বিল ছাড় করেছেন। গত ২৫ জুন ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে বিনা কার্যাদেশে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ সম্পন্ন করে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-নলছিটি-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তার ৯ম অংশ থেকে ১০ম অংশ পর্যন্ত বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করে এবং কোন কার্যাদেশ ছাড়াই সম্পন্ন করেছেন। এ ঠিকাদার উক্ত কাজের বিল দাখিলের চেষ্টাও করছেন। কিন্তু কাজের শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার অথবা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোন প্রতিনিধি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। না জানিয়েই অগোচরে কাজ শেষ করে এখন বিল উত্তোলনের চেষ্টা করছে ঠিকাদার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী রুটিন মেইনটেন্যান্স ব্যতীত ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন বিটুমিনের কাজ না করানোর। সেখানে গত ১৫ জুন এর মাঝে এ কাজের কোন কার্যাদেশ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছে পৌছেনি। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করে বিনা কার্যাদেশে ঠিকাদার আমিনুল হক যে কাজ সম্পন্ন করেছেন তাও বিধি বহির্ভূতভাবে মন্ত্রণালয়ের বেধে দেয়া সময়ের বাইরে (১৫ জুনের পরে) সম্পন্ন করেছেন।

তৎকালীন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-নলছিটি-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তার ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ৯ম অংশ থেকে ১০ম অংশ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক বিনা কার্যাদেশে সম্পন্ন করেছেন। যা বিধি বহির্ভূত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। গত ২৫ জুন অবহিত করার পরে ৫ জুলাই হেডকোর্য়ার্টারে বদলির আদেশ হওয়ায় সেখানে কর্মরত আছি। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না দেখে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ঠিকাদার ভালভাবেই কাজটি সম্পন্ন করেছেন, তাই তাকে সমুদয় বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কার্যাদেশ ছাড়া কোন কাজ হয় না। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর পারফরমেন্স (কর্মতৎপরতা) ভাল না থাকায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। দাপ্তরিক কিছু বিষয় থাকে, এজন্য তাকে এ কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার আমিনুল হক’র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগ

বিধিবহির্ভূত কাজে বিল প্রদানের অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগে কোন কার্যাদেশ ছাড়াই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদার বিল উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করেই বিল উত্তোলন করায় এ অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরেও নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে উক্ত কাজের বিল ছাড় করেছেন। গত ২৫ জুন ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে বিনা কার্যাদেশে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ সম্পন্ন করে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-নলছিটি-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তার ৯ম অংশ থেকে ১০ম অংশ পর্যন্ত বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করে এবং কোন কার্যাদেশ ছাড়াই সম্পন্ন করেছেন। এ ঠিকাদার উক্ত কাজের বিল দাখিলের চেষ্টাও করছেন। কিন্তু কাজের শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার অথবা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোন প্রতিনিধি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। না জানিয়েই অগোচরে কাজ শেষ করে এখন বিল উত্তোলনের চেষ্টা করছে ঠিকাদার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী রুটিন মেইনটেন্যান্স ব্যতীত ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন বিটুমিনের কাজ না করানোর। সেখানে গত ১৫ জুন এর মাঝে এ কাজের কোন কার্যাদেশ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছে পৌছেনি। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করে বিনা কার্যাদেশে ঠিকাদার আমিনুল হক যে কাজ সম্পন্ন করেছেন তাও বিধি বহির্ভূতভাবে মন্ত্রণালয়ের বেধে দেয়া সময়ের বাইরে (১৫ জুনের পরে) সম্পন্ন করেছেন।

তৎকালীন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-নলছিটি-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তার ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ৯ম অংশ থেকে ১০ম অংশ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক বিনা কার্যাদেশে সম্পন্ন করেছেন। যা বিধি বহির্ভূত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। গত ২৫ জুন অবহিত করার পরে ৫ জুলাই হেডকোর্য়ার্টারে বদলির আদেশ হওয়ায় সেখানে কর্মরত আছি। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না দেখে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ঠিকাদার ভালভাবেই কাজটি সম্পন্ন করেছেন, তাই তাকে সমুদয় বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কার্যাদেশ ছাড়া কোন কাজ হয় না। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর পারফরমেন্স (কর্মতৎপরতা) ভাল না থাকায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। দাপ্তরিক কিছু বিষয় থাকে, এজন্য তাকে এ কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার আমিনুল হক’র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।