বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মুজিববর্ষেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুকে মুজিববর্ষে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জনতার প্রত্যাশার সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে সভায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান খান, কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মুক্তিযাদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক খান, জাতীয় মুক্তিযাদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ড. মোমেন বলেন, বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমি, স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী একসঙ্গে কাজ করছি। সরকারিভাবে এসব প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতাও আমাদের লাগবে। আমরা যদি ১৬ ডিসেম্বরের আগে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারের কাছে দিতে পারি তাহলে খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথ আরও সুগম হবে।

তিনি বলেন, রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি। সে মিথ্য তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রান্ট হয়েছে। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ইমিগ্রেন্ট রিভিউ হচ্ছে। আশা করছি, তাকে মুজিববর্ষে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, করোনার ভ্যাকসিন যেখান থেকেই পাওয়া যায়, তা আনা হবে। দেশের মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এনামুল হক শামীম বলেন, ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বা পাকিস্তানের জাতির জনক জিন্নাহ কংগ্রেস বা মুসলিম লীগ সৃষ্টি করেননি। তারা সেখানে যোগ দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এখান থেকে ভিন্ন। তিনি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না।

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মুজিববর্ষেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুকে মুজিববর্ষে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জনতার প্রত্যাশার সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে সভায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান খান, কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মুক্তিযাদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক খান, জাতীয় মুক্তিযাদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ড. মোমেন বলেন, বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমি, স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী একসঙ্গে কাজ করছি। সরকারিভাবে এসব প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতাও আমাদের লাগবে। আমরা যদি ১৬ ডিসেম্বরের আগে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারের কাছে দিতে পারি তাহলে খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথ আরও সুগম হবে।

তিনি বলেন, রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি। সে মিথ্য তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রান্ট হয়েছে। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ইমিগ্রেন্ট রিভিউ হচ্ছে। আশা করছি, তাকে মুজিববর্ষে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, করোনার ভ্যাকসিন যেখান থেকেই পাওয়া যায়, তা আনা হবে। দেশের মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এনামুল হক শামীম বলেন, ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বা পাকিস্তানের জাতির জনক জিন্নাহ কংগ্রেস বা মুসলিম লীগ সৃষ্টি করেননি। তারা সেখানে যোগ দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এখান থেকে ভিন্ন। তিনি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না।