আশুলিয়ায় পরিকল্পনা হোসনী দালানে হামলা

১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট য় বিচার চলছে

দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার লক্ষ্য নিয়ে জঙ্গিরা রাজধানীর হোসনী দালানে আশুরার মিছিলে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। ২০১৫ সালে ২৪ অক্টোবর রাত ১টা ৪৯ মিনিটের সময় ভয়াবহ এ হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় একজনের মৃত্যু ও ১১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রথমকে চকবাজার থানা পুলিশ, পরে গোয়েন্দা পুলিশের জঙ্গি দমন ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধ টিম পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোম ডিসপোজাল টিমের কর্মকতারা তদন্ত করে ঘটনার নেপথ্য কাহিনী উদ্ঘাটন করেছে। তারা এ ঘটনায় জঙ্গি মাসুদ রানা ওরফে সুমনসহ ১০ জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে।

মামলার অভিযুক্ত ১০ আসামি হলোÑ মাসুদ রানা ওরফে সুমন, কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফ, আবু সাঈদ ওরফে সাঈদ ওরফে সালমান। আরমান ওরফে মনির। জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসায়াব। রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজিব। চাঁন মিয়া, ওমর ফারুক ওরফে মানিক। হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল মিয়া। তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধচারণকারী কিছু কিছু উগ্রপন্থি গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিচয়ে জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল জেহাদসহ (হুজ্জি) বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন নানাভাবে তাদের জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলাসহ বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করার মিশন হিসেবে পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। হোসনি দালানের ইমামবাড়ায় হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি (জামায়াতুল মুজাহিদীন) সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে সাক্ষী প্রমাণ ও তদন্তে জানা গেছে। জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের মিশন শুরু করে। তারা নানাভাবে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় জঙ্গি হামলা চালায়।

হোসনি দালানের ইমামবাড়ায় হামলার ঘটনায় জঙ্গিরা ২০১৫ সালে রমজানের ঈদের ছুটির সময় আশুলিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আলবাদী ওরফে হুজ্জা ও হিরণ ওরফে কামালের নেতৃত্বে এ মামলার অভিযুক্ত আসামিরা মহররম মাসে তাজিয়া মিছিলে হামলা করে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেয়। তারা তাজিয়া মিছিলের দিন তিনটি দলে ভাগ হয়ে বোমা হামলা করবে বলে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। জঙ্গিদের একটি গ্রুপ বোমা হামলা করবে। অন্য গ্রুপ চাকু দিয়ে হত্যা করবে। আরেক গ্রুপ গ্রুপ ছবি তুলবে। এভাবে তারা পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর তারা বিভিন্ন দল ও উপদলে ভাগ হয়ে পুরনো ঢাকার হোসনি দালানসহ আশপাশে বাসা ভাড়া নেয়। অভিযুক্ত আসামিরা ইমামবাড়া বোমা হামলা করার জন্য বোমা ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করে। তারা ফেরিওয়ালাসহ অন্যান্য সাজে সজ্জিত হয়ে হোসনি দালান ইমামবাড়া এলাকা রেকি করতে (আগাম হামলার স্থল পরিদর্শন) যায়। তারা সবাই ছদ্মনাম ব্যবহার করে। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি মাসুদ রানা সুমন, হিরণ ওরফে কামাল ও আলবানী হুজ্জাদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অভিযুক্তরা ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে বোমা ও আগ্নেয়আস্ত্র নিয়ে তাজিয়া মিছিলের দর্শনার্থী সেজে ইমামবাড়ায় ঢোকে। তারা ইমামবাড়ার আশপাশে ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। রাত ১টা ৪৯ মিনিটের সময় শিয়া সম্প্রদায়ের শোক মিছিলের পূর্ব প্রস্তুতি শেষ হলে সবাই সেখান থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতির সময় জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা দেশে তৈরি পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরমধ্যে ৩টি হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলেও দুইটি হ্যান্ড গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থাকে। বিস্ফোরণের পরপর লোকজনের ছুটাছুটির সময় ছদ্মবেশে থাকা অপর জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা বোমা নিক্ষেপ না করে এবং অস্ত্রের ব্যবহার না করে দ্রুত হোসনি দালান ইমামবাড়া থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তারা দলবদ্ধভাবে একই এলাকায় হামলা চালালেও কেউ কারও আসল নাম ঠিকানা জানে না। তবে তারা তাদের দলের এক ধাপ উপরের নেতার আসল নামও জানে না। অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ হামলার মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সরোয়ার খান মুঠোফোনে বলেন, মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। মামলার ১০ আসামির মধ্যে ২ জন নাবালক। তাদের বিচার শিশু আদালতে হবে। আর অপর ৮ জন সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যের দিন ধার্য আছে।

আরও খবর
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মুজিববর্ষেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটির অবৈধ বিলবোর্ড ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদ
আইওএমকে ২০ লাখ ইউরো দিয়েছে জার্মানি
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন ৪১২ প্রবাসী
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন ৪১২ প্রবাসী
বাড়তি দামেই সবজি পিয়াজেও চড়া
মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলীর করোনা পজিটিভ
জামায়াতের কেন্দ্রীয় ৩ নেতা গ্রেফতার
আরও ৪ জঙ্গি গ্রেফতার
সাংবাদিকতার মুখোশ পরে নানা অপকর্ম লোপার
একটি প্রবাহমান নদী নৌচলাচলে অযোগ্য হওয়ার পথে
হবিগঞ্জে কিশোর গ্যাং-এর আধিপত্য
ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৫
গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চাই পরিকল্পিত পদক্ষেপ

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

পাঁচ বছর আগে আশুরা মিছিলে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে

আশুলিয়ায় পরিকল্পনা হোসনী দালানে হামলা

১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট য় বিচার চলছে

বাকী বিল্লাহ ও মাহবুবুল হক

দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার লক্ষ্য নিয়ে জঙ্গিরা রাজধানীর হোসনী দালানে আশুরার মিছিলে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। ২০১৫ সালে ২৪ অক্টোবর রাত ১টা ৪৯ মিনিটের সময় ভয়াবহ এ হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় একজনের মৃত্যু ও ১১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রথমকে চকবাজার থানা পুলিশ, পরে গোয়েন্দা পুলিশের জঙ্গি দমন ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধ টিম পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোম ডিসপোজাল টিমের কর্মকতারা তদন্ত করে ঘটনার নেপথ্য কাহিনী উদ্ঘাটন করেছে। তারা এ ঘটনায় জঙ্গি মাসুদ রানা ওরফে সুমনসহ ১০ জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে।

মামলার অভিযুক্ত ১০ আসামি হলোÑ মাসুদ রানা ওরফে সুমন, কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফ, আবু সাঈদ ওরফে সাঈদ ওরফে সালমান। আরমান ওরফে মনির। জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসায়াব। রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজিব। চাঁন মিয়া, ওমর ফারুক ওরফে মানিক। হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল মিয়া। তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধচারণকারী কিছু কিছু উগ্রপন্থি গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিচয়ে জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল জেহাদসহ (হুজ্জি) বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন নানাভাবে তাদের জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলাসহ বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করার মিশন হিসেবে পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। হোসনি দালানের ইমামবাড়ায় হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি (জামায়াতুল মুজাহিদীন) সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে সাক্ষী প্রমাণ ও তদন্তে জানা গেছে। জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের মিশন শুরু করে। তারা নানাভাবে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় জঙ্গি হামলা চালায়।

হোসনি দালানের ইমামবাড়ায় হামলার ঘটনায় জঙ্গিরা ২০১৫ সালে রমজানের ঈদের ছুটির সময় আশুলিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আলবাদী ওরফে হুজ্জা ও হিরণ ওরফে কামালের নেতৃত্বে এ মামলার অভিযুক্ত আসামিরা মহররম মাসে তাজিয়া মিছিলে হামলা করে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেয়। তারা তাজিয়া মিছিলের দিন তিনটি দলে ভাগ হয়ে বোমা হামলা করবে বলে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। জঙ্গিদের একটি গ্রুপ বোমা হামলা করবে। অন্য গ্রুপ চাকু দিয়ে হত্যা করবে। আরেক গ্রুপ গ্রুপ ছবি তুলবে। এভাবে তারা পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর তারা বিভিন্ন দল ও উপদলে ভাগ হয়ে পুরনো ঢাকার হোসনি দালানসহ আশপাশে বাসা ভাড়া নেয়। অভিযুক্ত আসামিরা ইমামবাড়া বোমা হামলা করার জন্য বোমা ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করে। তারা ফেরিওয়ালাসহ অন্যান্য সাজে সজ্জিত হয়ে হোসনি দালান ইমামবাড়া এলাকা রেকি করতে (আগাম হামলার স্থল পরিদর্শন) যায়। তারা সবাই ছদ্মনাম ব্যবহার করে। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি মাসুদ রানা সুমন, হিরণ ওরফে কামাল ও আলবানী হুজ্জাদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অভিযুক্তরা ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে বোমা ও আগ্নেয়আস্ত্র নিয়ে তাজিয়া মিছিলের দর্শনার্থী সেজে ইমামবাড়ায় ঢোকে। তারা ইমামবাড়ার আশপাশে ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। রাত ১টা ৪৯ মিনিটের সময় শিয়া সম্প্রদায়ের শোক মিছিলের পূর্ব প্রস্তুতি শেষ হলে সবাই সেখান থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতির সময় জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা দেশে তৈরি পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরমধ্যে ৩টি হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলেও দুইটি হ্যান্ড গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থাকে। বিস্ফোরণের পরপর লোকজনের ছুটাছুটির সময় ছদ্মবেশে থাকা অপর জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা বোমা নিক্ষেপ না করে এবং অস্ত্রের ব্যবহার না করে দ্রুত হোসনি দালান ইমামবাড়া থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তারা দলবদ্ধভাবে একই এলাকায় হামলা চালালেও কেউ কারও আসল নাম ঠিকানা জানে না। তবে তারা তাদের দলের এক ধাপ উপরের নেতার আসল নামও জানে না। অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ হামলার মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সরোয়ার খান মুঠোফোনে বলেন, মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। মামলার ১০ আসামির মধ্যে ২ জন নাবালক। তাদের বিচার শিশু আদালতে হবে। আর অপর ৮ জন সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যের দিন ধার্য আছে।