রাজধানীর পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মামুন আল মোজাহিদ ওরফে সুমন (২৪), আল আমীন ওরফে আবু জিয়াদ (২৬), মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে রোকন ওরফে আবু তারিক (২৪) ও সারোয়ার হোসেন রাহাত (২৩)। গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা আজমপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সবাই নব্য জেএমবির একটি স্লিপার সেলের সদস্য বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
সিটিটিসি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার অহিদুজ্জামান নূর জানান, জঙ্গি নাইমুজ্জামানের নেতৃত্বে নব্য জেএমবির একটি সেল সিঙ্গেল অ্যাটাকের পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য নাইমুজ্জামান অনলাইনের মাধ্যমে সামরিক শাখার সদস্যদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ ও হামলার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ঢাকার পল্টনে ও নওগাঁয় একটি মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। নব্য জেএমবির এই সেলটি সিলেটের শাহজালাল মাজারেও বোমা নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু ওই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি। এরা পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায়ও জড়িত।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত চার জঙ্গির বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বরমি এলাকায়। সুমন ইংরেজি সাহিত্যে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। জঙ্গিদের এই গ্রুপটি গাজীপুরে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। গত ২৪ জুলাই রাতে পল্টনে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে হঠাৎ একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে পল্টন থানা পুলিশের একটি চেকপোস্ট ছিল। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। এই ঘটনায় ১২ আগস্ট সিলেট থেকে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি ইউনিট।
শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মামুন আল মোজাহিদ ওরফে সুমন (২৪), আল আমীন ওরফে আবু জিয়াদ (২৬), মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে রোকন ওরফে আবু তারিক (২৪) ও সারোয়ার হোসেন রাহাত (২৩)। গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা আজমপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সবাই নব্য জেএমবির একটি স্লিপার সেলের সদস্য বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
সিটিটিসি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার অহিদুজ্জামান নূর জানান, জঙ্গি নাইমুজ্জামানের নেতৃত্বে নব্য জেএমবির একটি সেল সিঙ্গেল অ্যাটাকের পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য নাইমুজ্জামান অনলাইনের মাধ্যমে সামরিক শাখার সদস্যদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ ও হামলার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ঢাকার পল্টনে ও নওগাঁয় একটি মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। নব্য জেএমবির এই সেলটি সিলেটের শাহজালাল মাজারেও বোমা নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু ওই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি। এরা পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায়ও জড়িত।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত চার জঙ্গির বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বরমি এলাকায়। সুমন ইংরেজি সাহিত্যে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। জঙ্গিদের এই গ্রুপটি গাজীপুরে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। গত ২৪ জুলাই রাতে পল্টনে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে হঠাৎ একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে পল্টন থানা পুলিশের একটি চেকপোস্ট ছিল। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। এই ঘটনায় ১২ আগস্ট সিলেট থেকে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি ইউনিট।