সাংবাদিকতার মুখোশ পরে নানা অপকর্ম লোপার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে কৌশলে ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার কথিত সাংবাদিক লোপা তালুকদার সাংবাদিকতার মুখোশ পরে নানা অপকর্মে জড়িত।

পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকার মেয়ে লোপা তালুকদার নিজ এলাকায়ও ছিল আলোচিত। বেপরোয়া চলাফেরা, মাদক সেবনসহ নানা অকর্মের কারণে তাকে নিয়ে জেলা বিভিন্ন মহলে ছিলো বিতর্ক। হত্যা মামলায় আসামি হয়ে সাংবাদিকতায় নাম জড়ান লোপা। আর সাংবাদিকতার আড়ালে পটুয়াখালী থেকেই অপকর্ম শুরু হয় তার। কৌশলে ঢাকায় এসে সাংবাদিক পরিচয়ে নিজের অবস্থান তৈরী করে নানারকম জালিয়াতীও করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, অপহরণকারী লোপাার এমন কাজ খুব সন্দেহজনক। ঢাকায় তার কোন বাসস্থান নেই। তবে কেন সে পথশিশুকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গেলেন। এখানে অবশ্যই তার অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। পথশিশু অপহরণের এ ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমরা তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তার এলাকা পটুয়াখালীতে আমরা খোঁজ নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিল। ২০১৩ সালে সেটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে অপরিচিত দু’জন নারীর সঙ্গে ফুচকা খাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল জিনিয়া। ট্রাকচালক স্বামী দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর সাত বছর আগে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে টিএসসি এলাকায় আসেন গৃহবধূ সেনুরা। দুই মেয়ে সিনথিয়া (৭), জিনিয়া (৯) ও ছেলে পলাশকে (১৭) নিয়ে টিএসসি এলাকায় থাকেন তিনি। মায়ের সংসারে জোগান দিতে ফুলবিক্রি করে জিনিয়া ও সিনথিয়া। ভাই পলাশ একটা চায়ের দোকানে কাজ করে। ফুল বিক্রির সুবাধে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেন জিনিয়া।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। অপহরণের সাতদিন পর গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে ডিবির রমনা বিভাগ। উপ কমিশনার এইচএম আজিমুল হকের তত্ত্বাবধানে একটি টিম শিশু জিনিয়াকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লোপাা তালুকদার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে। পরদিন অপহরণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার দু’দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগে রাজধানীর ‘মোতালেব প্লাজার’ পেছনে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন লোপাা তালুকদার। বছর খানেক আগে ওই বাসা থেকে তার এক ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে তিনি পটুয়াখালীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। লোপাার দাবি, তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। বর্তমানে ঢাকায় তার কোন বাসস্থান নেই। তার বর্তমান স্বামী কাতার থেকে ফিরে আসেন। গত ২৮ আগস্ট তার স্বামী ও মেয়ের চিকিৎসা করাতে ঢাকার একটি হোটেলে উঠেন তিনি। সেখানে থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন। জিজ্ঞাসাবাদে লোপাা জানায়, মায়ায় পড়ে সে পথশিশু জিনিয়াকে তার সঙ্গে নিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জে তার মায়ের কাছে এক কাজের মেয়ে থাকে। সেখানে জিনিয়াকে নিয়ে রাখেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় লোপাা তালুকদার ও তার ভাইসহ পরিবারের ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গলাচিপায় তার বাসায় শাহিনুর নামে এক নারী কাজ করতেন। তার স্বামী ও ভাই ওই গৃহকর্মীর ওপর নিয়মিত যৌন নিপীড়ন চালাত। পরবর্তীতে শাহিনুর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর লোপাা, তার স্বামী, বাবা ও দুই ভাই মিলে শাহিনুর ও তার শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ট্রলারে তুলে শ্বাসরোধে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে নদীতে ফেলে দেন। এ ঘটনায় লোপাাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা হয়। তদন্তে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ ও সত্যতার ভিত্তিতে পুলিশ আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় সহযোগী কয়েকজন আসামির সাজা হয়। পরে ২০১৩ সালে ওই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি লোপা ও তার স্বজনরা রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদালত ওই মামলায় রেহাই পান। পটুয়াখালীর একটি সূত্র জানায়, লোপাা কখনও মূল ধারার সাংবাদিক ছিল না। হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর সে সাংবাদিকায় নিজের নাম জড়ান। বরিশালের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় পটুয়াখালী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন লোপাা তালুকদার। ওই পত্রিকার পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মাদক সেবন,সহ নানা অপকর্ম শুরু হয় লোপাার। বেপরোয়াভাবে চলাফেরার কারণে আলোচনায় আসেন লোপাা।

ডিবি জানায়, লোপাা তালুকদার নিজেকে আওয়ামী পেশাজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন। নাম সর্বস্ব ভুঁইফোড় ‘অগ্নি টিভি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোপাা অসংখ্য মানুষের কাছে ‘সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র’ বিক্রি করেও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিপোর্টার বানানোর কথা বলে মফস্বল এলাকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া নিজেকে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক পরিচয়ের প্রভার দেখিয়ে অনেক মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রেলওয়েতে চাকরি দেয়ার নামে সম্প্রতি পটুয়াখালীর দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও খবর
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মুজিববর্ষেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটির অবৈধ বিলবোর্ড ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদ
আইওএমকে ২০ লাখ ইউরো দিয়েছে জার্মানি
আশুলিয়ায় পরিকল্পনা হোসনী দালানে হামলা
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন ৪১২ প্রবাসী
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন ৪১২ প্রবাসী
বাড়তি দামেই সবজি পিয়াজেও চড়া
মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলীর করোনা পজিটিভ
জামায়াতের কেন্দ্রীয় ৩ নেতা গ্রেফতার
আরও ৪ জঙ্গি গ্রেফতার
একটি প্রবাহমান নদী নৌচলাচলে অযোগ্য হওয়ার পথে
হবিগঞ্জে কিশোর গ্যাং-এর আধিপত্য
ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৫
গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চাই পরিকল্পিত পদক্ষেপ

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

সাংবাদিকতার মুখোশ পরে নানা অপকর্ম লোপার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে কৌশলে ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার কথিত সাংবাদিক লোপা তালুকদার সাংবাদিকতার মুখোশ পরে নানা অপকর্মে জড়িত।

পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকার মেয়ে লোপা তালুকদার নিজ এলাকায়ও ছিল আলোচিত। বেপরোয়া চলাফেরা, মাদক সেবনসহ নানা অকর্মের কারণে তাকে নিয়ে জেলা বিভিন্ন মহলে ছিলো বিতর্ক। হত্যা মামলায় আসামি হয়ে সাংবাদিকতায় নাম জড়ান লোপা। আর সাংবাদিকতার আড়ালে পটুয়াখালী থেকেই অপকর্ম শুরু হয় তার। কৌশলে ঢাকায় এসে সাংবাদিক পরিচয়ে নিজের অবস্থান তৈরী করে নানারকম জালিয়াতীও করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, অপহরণকারী লোপাার এমন কাজ খুব সন্দেহজনক। ঢাকায় তার কোন বাসস্থান নেই। তবে কেন সে পথশিশুকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গেলেন। এখানে অবশ্যই তার অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। পথশিশু অপহরণের এ ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমরা তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তার এলাকা পটুয়াখালীতে আমরা খোঁজ নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিল। ২০১৩ সালে সেটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে অপরিচিত দু’জন নারীর সঙ্গে ফুচকা খাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল জিনিয়া। ট্রাকচালক স্বামী দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর সাত বছর আগে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে টিএসসি এলাকায় আসেন গৃহবধূ সেনুরা। দুই মেয়ে সিনথিয়া (৭), জিনিয়া (৯) ও ছেলে পলাশকে (১৭) নিয়ে টিএসসি এলাকায় থাকেন তিনি। মায়ের সংসারে জোগান দিতে ফুলবিক্রি করে জিনিয়া ও সিনথিয়া। ভাই পলাশ একটা চায়ের দোকানে কাজ করে। ফুল বিক্রির সুবাধে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেন জিনিয়া।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। অপহরণের সাতদিন পর গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে ডিবির রমনা বিভাগ। উপ কমিশনার এইচএম আজিমুল হকের তত্ত্বাবধানে একটি টিম শিশু জিনিয়াকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লোপাা তালুকদার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে। পরদিন অপহরণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার দু’দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগে রাজধানীর ‘মোতালেব প্লাজার’ পেছনে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন লোপাা তালুকদার। বছর খানেক আগে ওই বাসা থেকে তার এক ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে তিনি পটুয়াখালীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। লোপাার দাবি, তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। বর্তমানে ঢাকায় তার কোন বাসস্থান নেই। তার বর্তমান স্বামী কাতার থেকে ফিরে আসেন। গত ২৮ আগস্ট তার স্বামী ও মেয়ের চিকিৎসা করাতে ঢাকার একটি হোটেলে উঠেন তিনি। সেখানে থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন। জিজ্ঞাসাবাদে লোপাা জানায়, মায়ায় পড়ে সে পথশিশু জিনিয়াকে তার সঙ্গে নিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জে তার মায়ের কাছে এক কাজের মেয়ে থাকে। সেখানে জিনিয়াকে নিয়ে রাখেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় লোপাা তালুকদার ও তার ভাইসহ পরিবারের ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গলাচিপায় তার বাসায় শাহিনুর নামে এক নারী কাজ করতেন। তার স্বামী ও ভাই ওই গৃহকর্মীর ওপর নিয়মিত যৌন নিপীড়ন চালাত। পরবর্তীতে শাহিনুর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর লোপাা, তার স্বামী, বাবা ও দুই ভাই মিলে শাহিনুর ও তার শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ট্রলারে তুলে শ্বাসরোধে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে নদীতে ফেলে দেন। এ ঘটনায় লোপাাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা হয়। তদন্তে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ ও সত্যতার ভিত্তিতে পুলিশ আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় সহযোগী কয়েকজন আসামির সাজা হয়। পরে ২০১৩ সালে ওই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি লোপা ও তার স্বজনরা রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদালত ওই মামলায় রেহাই পান। পটুয়াখালীর একটি সূত্র জানায়, লোপাা কখনও মূল ধারার সাংবাদিক ছিল না। হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর সে সাংবাদিকায় নিজের নাম জড়ান। বরিশালের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় পটুয়াখালী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন লোপাা তালুকদার। ওই পত্রিকার পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মাদক সেবন,সহ নানা অপকর্ম শুরু হয় লোপাার। বেপরোয়াভাবে চলাফেরার কারণে আলোচনায় আসেন লোপাা।

ডিবি জানায়, লোপাা তালুকদার নিজেকে আওয়ামী পেশাজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন। নাম সর্বস্ব ভুঁইফোড় ‘অগ্নি টিভি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোপাা অসংখ্য মানুষের কাছে ‘সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র’ বিক্রি করেও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিপোর্টার বানানোর কথা বলে মফস্বল এলাকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া নিজেকে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক পরিচয়ের প্রভার দেখিয়ে অনেক মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রেলওয়েতে চাকরি দেয়ার নামে সম্প্রতি পটুয়াখালীর দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।