৩০ টাকা কেজিতে টিসিবির পিয়াজ বিক্রি শুরু

সম্প্রতি ভারতে পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির খবরে দেশের বাজারেও এ পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে গত বছরের মতো পিয়াজের বাজারে যেন অস্থিরতা দেখা না দেয় তাই পণ্যটির বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে আজ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এই দামে পিয়াজ বিক্রি করছে সরকার। টিসিবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলমান করোনাভাইরাস মহামারী ও বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে তিনটি পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। মাত্র কয়েক দিনে কেজিতে পিয়াজের দাম প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় উঠেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পিয়াজের পাশাপাশি চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া আগামী ১ অক্টোবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি কেজি পিয়াজ পাওয়া যাবে ৩০ টাকায়। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি কিনতে পারবেন। এছাড়া প্রতি কেজি চিনি পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়। মসুর ডাল ৫০ টাকা কেজিতে। একজন ক্রেতা সার্বোচ্চ দুই কেজি করে নিতে পারবেন। এছাড়াও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটারে পাওয়া যাবে। একজন ক্রেতা দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার নিতে পারবেন।

দেশব্যাপী ২৭৫ জন ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে সাতটি, ময়মনসিংহে পাঁচটি, রাজশাহীতে পাঁচটি, খুলনায় সাতটি, বরিশালে পাঁচটি, সিলেটে পাঁচটি, বগুড়ায় পাঁচটি, কুমিল্লায় পাঁচটি, ঝিনাইদহে তিনটি ও মাদারীপুরে তিনটি করে মোট ১০০টি ট্রাক থাকবে। অন্যান্য জেলার প্রতিটিতে দুটি করে ১০৪টি এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলার জন্য পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত পাঁচটি করে মোট ৬০টি ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়া বন্যাকবলিত জেলা তথা ময়মনসিংহে চারটি, রংপুরে চারটি, বগুড়ায় তিনটি, মাদারীপুরে অতিরিক্ত দুটি করে ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিদিনের পণ্য বিক্রির স্থান ও ডিলারদের ফোন নম্বর টিবিবি’র ওয়েবসাইটে (িি.িঃপন.মড়া.নফ) ওইদিনই বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আপলোড করা হবে।

ঢাকা নগরীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয়ের সম্ভাব্য স্থানগুলো হলো- সচিবালয় গেট, যাত্রাবাড়ী বাজার, ইত্তেফাক মোড়, শান্তিনগর বাজার, শাহজাহানপুর বাজার, খামারবাড়ী ফার্মগেট, মিরপুর-১৪ কচুক্ষেত, মিরপুর-১ মাজার রোড, শ্যামলী মোড়/ন্যাম গার্ডেন, উত্তরা আবদুল্লাহপুর, ভিকারুন্নেসা ১০নং গেট/ইস্টার্ন হাউজিং গেট, বেগুনবাড়ী, মতিঝিল সরকারি কলোনি, ভাষানটেক বাজার, মধ্য বাড্ডা, পলাশী/ছাপড়া মসজিদ, জিগাতলা/ধানমন্ডি সরকারি কলোনি, রামপুরা বাজার, মাদারটেক/নন্দীপাড়া/কৃষিব্যাংকের সামনে, আদাবর বা মনসুরাবাদ, বাংলা কলেজ, শাহ সাহেব মাঠ আজিমপুর বটতলা, আশকোনা হাজী ক্যাম্প, বাসাবো বাজার, আজমপুর, ডিসি অফিস, সাতারকুল, বাংলাদেশ ব্যাংক, মিরপুর-২/১২, মাতুয়াল/সিদ্ধিরগঞ্জ, ইসিবি/কালসি, গাবতলী/টেকনিক্যাল, কাপ্তানবাজার, সোয়ারীঘাট/নবাবগঞ্জ সেকশন, বনশ্রী বাজার, কলমিলতা বাজার, কারওয়ান বাজার, দিলকুশা, মেরাদিয়া বাজার, নিপ্পন বটতলা, খিলগাঁও তালতলা, মুগদা, নিউমার্কেট, টঙ্গী বাজার, শনির আখড়া, বছিলা, কামরাঙ্গীর চর লোহার পুল, সারুলিয়া বাজার, টঙ্গী বাজার, ৬০ ফিট ভাঙ্গা মসজিদ, গোপীবাগ খোকন কমিউনিটি সেন্টার, গুলশান ভাটারা বাজার, সাভার বাজার, আনন্দ সিনেমা হল, মগবাজার ফরচুন মার্কেট, হাতিরপুল বাজার, মালিবাগ বাজার, উত্তর বাড্ডা ও খিলক্ষেত বাজার। এদিকে পিয়াজ আমদানি ও বিক্রয়ের জন্য টিসিবি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম প্রতি টনের মূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয় ভারত। ৩০ সেপ্টেম্বর রপ্তানিই নিষিদ্ধ করে। এরপর দেশের বাজারে পিয়াজের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। তখন মায়ানমার, চীন, মিসর ও পাকিস্তান থেকে নানা রঙের পিয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার। বিমানেও দেশে আসে পিয়াজ।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৩ মহররম ১৪৪২, ২৫ ভাদ্র ১৪২৭

৩০ টাকা কেজিতে টিসিবির পিয়াজ বিক্রি শুরু

image

সম্প্রতি ভারতে পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির খবরে দেশের বাজারেও এ পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে গত বছরের মতো পিয়াজের বাজারে যেন অস্থিরতা দেখা না দেয় তাই পণ্যটির বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে আজ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এই দামে পিয়াজ বিক্রি করছে সরকার। টিসিবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলমান করোনাভাইরাস মহামারী ও বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে তিনটি পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। মাত্র কয়েক দিনে কেজিতে পিয়াজের দাম প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় উঠেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পিয়াজের পাশাপাশি চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া আগামী ১ অক্টোবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি কেজি পিয়াজ পাওয়া যাবে ৩০ টাকায়। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি কিনতে পারবেন। এছাড়া প্রতি কেজি চিনি পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়। মসুর ডাল ৫০ টাকা কেজিতে। একজন ক্রেতা সার্বোচ্চ দুই কেজি করে নিতে পারবেন। এছাড়াও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটারে পাওয়া যাবে। একজন ক্রেতা দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার নিতে পারবেন।

দেশব্যাপী ২৭৫ জন ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে সাতটি, ময়মনসিংহে পাঁচটি, রাজশাহীতে পাঁচটি, খুলনায় সাতটি, বরিশালে পাঁচটি, সিলেটে পাঁচটি, বগুড়ায় পাঁচটি, কুমিল্লায় পাঁচটি, ঝিনাইদহে তিনটি ও মাদারীপুরে তিনটি করে মোট ১০০টি ট্রাক থাকবে। অন্যান্য জেলার প্রতিটিতে দুটি করে ১০৪টি এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলার জন্য পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত পাঁচটি করে মোট ৬০টি ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়া বন্যাকবলিত জেলা তথা ময়মনসিংহে চারটি, রংপুরে চারটি, বগুড়ায় তিনটি, মাদারীপুরে অতিরিক্ত দুটি করে ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিদিনের পণ্য বিক্রির স্থান ও ডিলারদের ফোন নম্বর টিবিবি’র ওয়েবসাইটে (িি.িঃপন.মড়া.নফ) ওইদিনই বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আপলোড করা হবে।

ঢাকা নগরীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয়ের সম্ভাব্য স্থানগুলো হলো- সচিবালয় গেট, যাত্রাবাড়ী বাজার, ইত্তেফাক মোড়, শান্তিনগর বাজার, শাহজাহানপুর বাজার, খামারবাড়ী ফার্মগেট, মিরপুর-১৪ কচুক্ষেত, মিরপুর-১ মাজার রোড, শ্যামলী মোড়/ন্যাম গার্ডেন, উত্তরা আবদুল্লাহপুর, ভিকারুন্নেসা ১০নং গেট/ইস্টার্ন হাউজিং গেট, বেগুনবাড়ী, মতিঝিল সরকারি কলোনি, ভাষানটেক বাজার, মধ্য বাড্ডা, পলাশী/ছাপড়া মসজিদ, জিগাতলা/ধানমন্ডি সরকারি কলোনি, রামপুরা বাজার, মাদারটেক/নন্দীপাড়া/কৃষিব্যাংকের সামনে, আদাবর বা মনসুরাবাদ, বাংলা কলেজ, শাহ সাহেব মাঠ আজিমপুর বটতলা, আশকোনা হাজী ক্যাম্প, বাসাবো বাজার, আজমপুর, ডিসি অফিস, সাতারকুল, বাংলাদেশ ব্যাংক, মিরপুর-২/১২, মাতুয়াল/সিদ্ধিরগঞ্জ, ইসিবি/কালসি, গাবতলী/টেকনিক্যাল, কাপ্তানবাজার, সোয়ারীঘাট/নবাবগঞ্জ সেকশন, বনশ্রী বাজার, কলমিলতা বাজার, কারওয়ান বাজার, দিলকুশা, মেরাদিয়া বাজার, নিপ্পন বটতলা, খিলগাঁও তালতলা, মুগদা, নিউমার্কেট, টঙ্গী বাজার, শনির আখড়া, বছিলা, কামরাঙ্গীর চর লোহার পুল, সারুলিয়া বাজার, টঙ্গী বাজার, ৬০ ফিট ভাঙ্গা মসজিদ, গোপীবাগ খোকন কমিউনিটি সেন্টার, গুলশান ভাটারা বাজার, সাভার বাজার, আনন্দ সিনেমা হল, মগবাজার ফরচুন মার্কেট, হাতিরপুল বাজার, মালিবাগ বাজার, উত্তর বাড্ডা ও খিলক্ষেত বাজার। এদিকে পিয়াজ আমদানি ও বিক্রয়ের জন্য টিসিবি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম প্রতি টনের মূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয় ভারত। ৩০ সেপ্টেম্বর রপ্তানিই নিষিদ্ধ করে। এরপর দেশের বাজারে পিয়াজের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। তখন মায়ানমার, চীন, মিসর ও পাকিস্তান থেকে নানা রঙের পিয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার। বিমানেও দেশে আসে পিয়াজ।