কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে আগামীতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইনে কাভার করলে কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে। তাদের জায়গায় সঠিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এই স্বতন্ত্র পরিচালকদের যে উদ্দেশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেটা এখনও পূরণ হয়নি। গতকাল শেয়ারবাজার নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। সারাক্ষণ শুধু সেকেন্ডারি মার্কেট না থাকলে হবে না। আমাদের এই মার্কেটটাকে অনেক বড় করতে হবে। দৈনিক ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেন কোন লেনদেন না। এই লেনদেন দ্রুত ৩-৫ হাজার কোটিতে নেয়ার জন্য কাজ করতে হবে। আমরা ইক্যুইটি ভিত্তিক শেয়ারবাজার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। গত সাড়ে ৩ মাসে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটে এবং পারপিচুয়াল বন্ড এবং ৮৫০ কোটি টাকার জিরো কূপন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছি। এতে বাজারের সব কিছু বৃদ্ধি পাবে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি একা কিছু করতে পারবে না। এখানে একটি টিম হয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। আমরা ব্যবসাটাকে সহজ করে দিতে চাই। এই সহজ করতে গিয়ে কিছু দুষ্ট লোক যদি নিয়মনীতি না মেনে অপকর্মে লিপ্ত হয় এবং ওই জাতীয় ২-৫ শতাংশ মানুষের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না। সেই সুযোগ ইনশাআল্লাহ আর হবে না। এ নিয়ে আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারি। এ ব্যাপারে আপনাদেরও নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে যেন করে কাউকে ক্ষতি করে বা চালাকি করে টাকা পয়সা নিয়ে যেতে না পারে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা যদি শতভাগ সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে কেন একজন আমাদের কথায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নেবে। কেন তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ শেয়ারবাজারে নিয়ে আসবে। যদি আমরা তাদের অর্থের নিরাপত্তা দিতে না পারি, রিটার্ন দিতে না পারি, তাহলে কেন তারা আমাদের কথায় আসবে। সুতরাং আমরা যদি কাউকে আস্থায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে তারা বিনিয়োগে আসবে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে আগামিতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইনে কাভার করলে কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে। তাদের জায়গায় সঠিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এই স্বতন্ত্র পরিচালকদের যে উদ্দেশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেটা এখনও পূরণ হয়নি। আমরা এই সপ্তাহে স্বতন্ত্র পরিচালকদের অনলাইনে আবেদন নেয়া শুরু করব। যারা যোগ্য হবেন, তাদের নেয়া হবে। বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা নেয়ার পরে যেসব কোম্পানির কার্যক্রম ঠিকভাবে চলছে না, যারা হঠাৎ করে বন্ধ করে চলে গেছেন, যাদের অফিস তালা মারা, যারা বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর চেষ্টা করেছেন, সেসব কোম্পানির পর্ষদ আমাদের ভেঙে দিতে হতে পারে। সেখানে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যা বাড়িয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। নতুন করে কাউকে আর এই সুযোগ দিতে চাই না। কাউকে জরিমানা করতে আমাদের ভালো লাগে না। তারপরেও করতে হয়। এর মাধ্যমে আমরা বাজারে একটা ম্যাসেজ দিতে চাই যে, ভবিষ্যতে অন্যায় করে কেউ ছাড় পাবে না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা আগামী দিনে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে যাবে। তার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি থাইল্যান্ড, ভারত ও সিঙ্গাপুরের কথা চিন্তা করি, সেই তুলনায় আমাদের মার্কেট মূল্য-আয় অনুপাত (পিই) অনেক কম। সেই তুলনায় আমাদের মার্কেট অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নতুন কমিশনের নেতৃত্ব আমাদের সেই জায়গায় আশান্বিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে নেতিবাচক অবস্থা দেখে আমাদের যে হতাশা তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা কিছুটা আলোর আশা দেখতে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও নতুন কমিশনের সঠিক নেতৃত্ব আমাদের আলোর মুখ দেখাচ্ছে। এছাড়া এরইমধ্যে বাজারে নতুন গতি দেখছি।

বাজারের গতি বাড়াতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন তিনি। এরমধ্যে বাজারে প্রবাসিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিএসইসির উদ্যোগ নিতে পারেন বলে জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রবাসীরা যেভাবে বিনিয়োগ করে, সেটা এলে জটিল প্রক্রিয়া। শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারীরা ফরেন কারেন্সি ডিল করতে পারলে প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ সহজলভ্য হবে। ভালো স্টকের সাপ্লাই নিয়ে অনেক সময় আলোচনা করা হয়। এখানে কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হচ্ছে না।

এর কারণ বিবেচনা করা দরকার। আগে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান ১০ শতাংশ ছিল। তবে সেটা কমিয়ে ৭.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে চাইলে টেক্সসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। না হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে পাব না। সেক্ষেত্রে আমরা শেয়ারবাজার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রায় পাব না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির শুরুতে একটি কোম্পানির দর বেশি হয়ে যায়। পরবর্তীতে কমে যায়। শুরুতে সাপ্লাই কম থাকলেও পরবর্তীতে তা বেড়ে যায়। এ বিষয়টি কমিশন দেখবে বলে আশা করি। আর্থিক হিসাব নিয়ে অনেক সময় সমালোচনা শোনা যায়। অনেক কোম্পানির আর্থিক হিসাব বিশ্বাস করা যায় না। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে সব কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টের জন্য একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি করা দরকার। যেখান থেকে শুধুমাত্র একটি কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট পাওয়া যাবে। এ বিষয়টি করা গেলে একই কোম্পানির কয়েকটি আর্থিক হিসাব তৈরি করা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে আর্থিক হিসাবের কারসাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেইন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমান।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৩ মহররম ১৪৪২, ২৫ ভাদ্র ১৪২৭

কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

image

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে আগামীতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইনে কাভার করলে কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে। তাদের জায়গায় সঠিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এই স্বতন্ত্র পরিচালকদের যে উদ্দেশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেটা এখনও পূরণ হয়নি। গতকাল শেয়ারবাজার নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। সারাক্ষণ শুধু সেকেন্ডারি মার্কেট না থাকলে হবে না। আমাদের এই মার্কেটটাকে অনেক বড় করতে হবে। দৈনিক ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেন কোন লেনদেন না। এই লেনদেন দ্রুত ৩-৫ হাজার কোটিতে নেয়ার জন্য কাজ করতে হবে। আমরা ইক্যুইটি ভিত্তিক শেয়ারবাজার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। গত সাড়ে ৩ মাসে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটে এবং পারপিচুয়াল বন্ড এবং ৮৫০ কোটি টাকার জিরো কূপন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছি। এতে বাজারের সব কিছু বৃদ্ধি পাবে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি একা কিছু করতে পারবে না। এখানে একটি টিম হয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। আমরা ব্যবসাটাকে সহজ করে দিতে চাই। এই সহজ করতে গিয়ে কিছু দুষ্ট লোক যদি নিয়মনীতি না মেনে অপকর্মে লিপ্ত হয় এবং ওই জাতীয় ২-৫ শতাংশ মানুষের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না। সেই সুযোগ ইনশাআল্লাহ আর হবে না। এ নিয়ে আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারি। এ ব্যাপারে আপনাদেরও নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে যেন করে কাউকে ক্ষতি করে বা চালাকি করে টাকা পয়সা নিয়ে যেতে না পারে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা যদি শতভাগ সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে কেন একজন আমাদের কথায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নেবে। কেন তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ শেয়ারবাজারে নিয়ে আসবে। যদি আমরা তাদের অর্থের নিরাপত্তা দিতে না পারি, রিটার্ন দিতে না পারি, তাহলে কেন তারা আমাদের কথায় আসবে। সুতরাং আমরা যদি কাউকে আস্থায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে তারা বিনিয়োগে আসবে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে আগামিতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইনে কাভার করলে কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে। তাদের জায়গায় সঠিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এই স্বতন্ত্র পরিচালকদের যে উদ্দেশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেটা এখনও পূরণ হয়নি। আমরা এই সপ্তাহে স্বতন্ত্র পরিচালকদের অনলাইনে আবেদন নেয়া শুরু করব। যারা যোগ্য হবেন, তাদের নেয়া হবে। বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা নেয়ার পরে যেসব কোম্পানির কার্যক্রম ঠিকভাবে চলছে না, যারা হঠাৎ করে বন্ধ করে চলে গেছেন, যাদের অফিস তালা মারা, যারা বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর চেষ্টা করেছেন, সেসব কোম্পানির পর্ষদ আমাদের ভেঙে দিতে হতে পারে। সেখানে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যা বাড়িয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। নতুন করে কাউকে আর এই সুযোগ দিতে চাই না। কাউকে জরিমানা করতে আমাদের ভালো লাগে না। তারপরেও করতে হয়। এর মাধ্যমে আমরা বাজারে একটা ম্যাসেজ দিতে চাই যে, ভবিষ্যতে অন্যায় করে কেউ ছাড় পাবে না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা আগামী দিনে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে যাবে। তার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি থাইল্যান্ড, ভারত ও সিঙ্গাপুরের কথা চিন্তা করি, সেই তুলনায় আমাদের মার্কেট মূল্য-আয় অনুপাত (পিই) অনেক কম। সেই তুলনায় আমাদের মার্কেট অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নতুন কমিশনের নেতৃত্ব আমাদের সেই জায়গায় আশান্বিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে নেতিবাচক অবস্থা দেখে আমাদের যে হতাশা তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা কিছুটা আলোর আশা দেখতে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও নতুন কমিশনের সঠিক নেতৃত্ব আমাদের আলোর মুখ দেখাচ্ছে। এছাড়া এরইমধ্যে বাজারে নতুন গতি দেখছি।

বাজারের গতি বাড়াতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন তিনি। এরমধ্যে বাজারে প্রবাসিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিএসইসির উদ্যোগ নিতে পারেন বলে জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রবাসীরা যেভাবে বিনিয়োগ করে, সেটা এলে জটিল প্রক্রিয়া। শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারীরা ফরেন কারেন্সি ডিল করতে পারলে প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ সহজলভ্য হবে। ভালো স্টকের সাপ্লাই নিয়ে অনেক সময় আলোচনা করা হয়। এখানে কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হচ্ছে না।

এর কারণ বিবেচনা করা দরকার। আগে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান ১০ শতাংশ ছিল। তবে সেটা কমিয়ে ৭.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে চাইলে টেক্সসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। না হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে পাব না। সেক্ষেত্রে আমরা শেয়ারবাজার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রায় পাব না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির শুরুতে একটি কোম্পানির দর বেশি হয়ে যায়। পরবর্তীতে কমে যায়। শুরুতে সাপ্লাই কম থাকলেও পরবর্তীতে তা বেড়ে যায়। এ বিষয়টি কমিশন দেখবে বলে আশা করি। আর্থিক হিসাব নিয়ে অনেক সময় সমালোচনা শোনা যায়। অনেক কোম্পানির আর্থিক হিসাব বিশ্বাস করা যায় না। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে সব কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টের জন্য একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি করা দরকার। যেখান থেকে শুধুমাত্র একটি কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট পাওয়া যাবে। এ বিষয়টি করা গেলে একই কোম্পানির কয়েকটি আর্থিক হিসাব তৈরি করা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে আর্থিক হিসাবের কারসাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেইন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমান।