মঠবাড়িয়া পৌরসভার ১৪১ কর্তা কর্মচারী বেতনহীন ১৭ মাস!

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৬৬ জন কর্মকর্তা ও ৭৫ জন কর্মচারী ১৭ মাসের বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দুর্বিসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারা, পৌর নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, রোলার ও ট্যাক ভাড়াসহ ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন নিয়ে টালবাহানা করায় তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আবার চাকরি ছেড়ে দেয়ার চিন্তাাভাবনা করছেন। ১৯৭৭ সালের পৌর অধ্যাদেশে রাজস্ব আয় থেকে প্রথমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার কথা বলা হলেও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস সে নিয়ম মানছেন না। পৌর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে মঠবাড়িয়া পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর একজন সচিব, একজন প্রকৌশলীসহ ৩০ জন কর্মকর্তা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। ২০১০ সালে এটি দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার পর বিপুলসংখ্যক লোক নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে পৌর সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৬৬ জন কর্মকর্তা ও ৭৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মচারী বৈশি^ক করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও বেতন পাচ্ছেন না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নগর ৯ (নগর উন্নয়ন-২) শায়লা ফারজানা মঠবাড়িয়ার পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের সঙ্গে গত ২৫ আগস্ট ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কথা বলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১৭ মাসের বেতন পরিশোধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিসেম্বর এর মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে প্রথম শ্রেণী থেকে পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণীতে নামিয়ে দেয়ার কথা জানান। পৌর সচিব মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৩ মহররম ১৪৪২, ২৫ ভাদ্র ১৪২৭

মঠবাড়িয়া পৌরসভার ১৪১ কর্তা কর্মচারী বেতনহীন ১৭ মাস!

প্রতিনিধি, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৬৬ জন কর্মকর্তা ও ৭৫ জন কর্মচারী ১৭ মাসের বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দুর্বিসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারা, পৌর নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, রোলার ও ট্যাক ভাড়াসহ ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন নিয়ে টালবাহানা করায় তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আবার চাকরি ছেড়ে দেয়ার চিন্তাাভাবনা করছেন। ১৯৭৭ সালের পৌর অধ্যাদেশে রাজস্ব আয় থেকে প্রথমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার কথা বলা হলেও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস সে নিয়ম মানছেন না। পৌর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে মঠবাড়িয়া পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর একজন সচিব, একজন প্রকৌশলীসহ ৩০ জন কর্মকর্তা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। ২০১০ সালে এটি দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার পর বিপুলসংখ্যক লোক নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে পৌর সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৬৬ জন কর্মকর্তা ও ৭৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মচারী বৈশি^ক করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও বেতন পাচ্ছেন না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নগর ৯ (নগর উন্নয়ন-২) শায়লা ফারজানা মঠবাড়িয়ার পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের সঙ্গে গত ২৫ আগস্ট ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কথা বলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১৭ মাসের বেতন পরিশোধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিসেম্বর এর মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে প্রথম শ্রেণী থেকে পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণীতে নামিয়ে দেয়ার কথা জানান। পৌর সচিব মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।