১ অক্টোবর থেকে রাজধানীর ঝুলন্ত তার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করবে ডিএনসিসি ৩

আগামী ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীর সব ঝুলন্ত তার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গুলশান থেকে ঝুলন্ত তার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সার্ভিস প্রোভাইডাররা অতি মুনাফার জন্য এগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেয়। এই শহরকে নোংরা করে।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি দাশ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ এবং স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি’র মেয়র, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের রাষ্ট্রদূত পার্কে একটি করে গাছের চারা রোপণ করেন এবং পরে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে পার্কটি ঘুরে দেখেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি’র মেয়র বলেন, এই পার্ক উন্নয়নে ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই পার্ক দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই পার্কের সম্পদ আমাদের সবার, এখানে কিছু নষ্ট করা যাবে না। সবাই মিলে এটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমরা এই শহরে সুন্দরভাবে থাকতে চাই। কিন্তু কেউ কেউ নিজের স্বার্থে সবার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। অনেকে বড় বড় হাউজিং করছেন, ব্যানার-সাইনবোর্ড দিয়ে ব্যবসা করছেন। ব্যবসা করেন ভালো কথা, কিন্তু সেটারও ট্যাক্স দিতে হবে। ঢাকা শহরকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি, আমরা ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি, বর্জ্য অপসারণের কাজ করছি। কিন্তু ট্যাক্স দেব না, এটা হতে পারে না। এটি হতে দেয়া যাবে না।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে মেয়র আতিক বলেন, ঢাকার পার্ক, খেলার মাঠ উন্নয়নে আনিস ভাইয়ের একটি স্বপ্ন ছিল। তার প্রতিটি স্বপ্নকে আমরা একে একে সফল করব। এই পার্কে ১৭শ’ গাছ আছে। কোন গাছ কাটা হয়নি। জনগণকে, স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে এই পার্কের ডিজাইন করা হয়েছে। এই পার্কে ইনডোর জিমনেশিয়াম আছে। আউটডোরেও জিমনেশিয়াম আছে। এই পার্কের ভেতরে একটি কফিশপও আছে। এই পার্কে এলে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে। গোস্বা নিবারণের জন্য ঘরে থাকতে হবে না, এই পার্কে আসলেই হবে। এখানে একটি মুজিব কর্নার রয়েছে, একটি লাইব্রেরি আছে সেখানে।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যত ধরনের অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আছে সেগুলো অপসারণ করা হবে। কাল এবং পরশু দিনের মধ্যে অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদির অনুমোদন নিয়ে নিন। যারা অনুমোদন নেবেন তাদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ভাঙা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে সব বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড, যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, মাসলম্যান হোন না কেন ভেঙে দেয়া হবে যদি অনুমোদন না নেন।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৩ মহররম ১৪৪২, ২৫ ভাদ্র ১৪২৭

১ অক্টোবর থেকে রাজধানীর ঝুলন্ত তার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করবে ডিএনসিসি ৩

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আগামী ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীর সব ঝুলন্ত তার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গুলশান থেকে ঝুলন্ত তার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সার্ভিস প্রোভাইডাররা অতি মুনাফার জন্য এগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেয়। এই শহরকে নোংরা করে।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি দাশ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ এবং স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি’র মেয়র, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের রাষ্ট্রদূত পার্কে একটি করে গাছের চারা রোপণ করেন এবং পরে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে পার্কটি ঘুরে দেখেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি’র মেয়র বলেন, এই পার্ক উন্নয়নে ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই পার্ক দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই পার্কের সম্পদ আমাদের সবার, এখানে কিছু নষ্ট করা যাবে না। সবাই মিলে এটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমরা এই শহরে সুন্দরভাবে থাকতে চাই। কিন্তু কেউ কেউ নিজের স্বার্থে সবার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। অনেকে বড় বড় হাউজিং করছেন, ব্যানার-সাইনবোর্ড দিয়ে ব্যবসা করছেন। ব্যবসা করেন ভালো কথা, কিন্তু সেটারও ট্যাক্স দিতে হবে। ঢাকা শহরকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি, আমরা ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি, বর্জ্য অপসারণের কাজ করছি। কিন্তু ট্যাক্স দেব না, এটা হতে পারে না। এটি হতে দেয়া যাবে না।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে মেয়র আতিক বলেন, ঢাকার পার্ক, খেলার মাঠ উন্নয়নে আনিস ভাইয়ের একটি স্বপ্ন ছিল। তার প্রতিটি স্বপ্নকে আমরা একে একে সফল করব। এই পার্কে ১৭শ’ গাছ আছে। কোন গাছ কাটা হয়নি। জনগণকে, স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে এই পার্কের ডিজাইন করা হয়েছে। এই পার্কে ইনডোর জিমনেশিয়াম আছে। আউটডোরেও জিমনেশিয়াম আছে। এই পার্কের ভেতরে একটি কফিশপও আছে। এই পার্কে এলে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে। গোস্বা নিবারণের জন্য ঘরে থাকতে হবে না, এই পার্কে আসলেই হবে। এখানে একটি মুজিব কর্নার রয়েছে, একটি লাইব্রেরি আছে সেখানে।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যত ধরনের অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আছে সেগুলো অপসারণ করা হবে। কাল এবং পরশু দিনের মধ্যে অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদির অনুমোদন নিয়ে নিন। যারা অনুমোদন নেবেন তাদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ভাঙা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে সব বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড, যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, মাসলম্যান হোন না কেন ভেঙে দেয়া হবে যদি অনুমোদন না নেন।