শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

লেনদেন ১৩শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ডিএসইতে

গতকাল সূচকের বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন সূচকের সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩শ’ কোটি টাকা। আর শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৮ হাজার ৭১ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮২.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪.০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.১৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১৬.৬৫ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ১৪.১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭০.৬৬, ১৭৫৬.৮৮ ও ১০৩০.৩৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট যা আগের দিন থেকে ৩০৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ২৯.৭৮ শতাংশ বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকায়। লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৭ লাখ ৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ গতকাল ডিএসইতে বাজার মূলধন ৫ হাজার ৭১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বা ১.৫০ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২৬টির বা ৬৩.৩০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১০৬টির বা ২৯.৭০ শতাংশের এবং ২৫টি বা ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৩৯.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৪.৫১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭৭টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। গতকাল সিএসইতে ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৬৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ গতকাল সিএসইতে বাজার মূলধন ২ হাজার ৩৫৮ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা ০.৭৬০ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩১১টি শেয়ার ৫৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১২ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯৩ লাখ ৮১ হাজার টাকার এসকে ট্রিমসের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের।

এছাড়া সামিট পাওয়ারের ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকার, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, প্রাইম ফাইন্যান্সের ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার, পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার, প্রাইম ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকার এবং এপোলো ইস্পাতের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

লেনদেন ১৩শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ডিএসইতে

image

গতকাল সূচকের বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন সূচকের সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩শ’ কোটি টাকা। আর শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৮ হাজার ৭১ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮২.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪.০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.১৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১৬.৬৫ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ১৪.১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭০.৬৬, ১৭৫৬.৮৮ ও ১০৩০.৩৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট যা আগের দিন থেকে ৩০৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ২৯.৭৮ শতাংশ বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকায়। লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৭ লাখ ৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ গতকাল ডিএসইতে বাজার মূলধন ৫ হাজার ৭১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বা ১.৫০ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২৬টির বা ৬৩.৩০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১০৬টির বা ২৯.৭০ শতাংশের এবং ২৫টি বা ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৩৯.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৪.৫১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭৭টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। গতকাল সিএসইতে ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৬৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ গতকাল সিএসইতে বাজার মূলধন ২ হাজার ৩৫৮ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা ০.৭৬০ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩১১টি শেয়ার ৫৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১২ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯৩ লাখ ৮১ হাজার টাকার এসকে ট্রিমসের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের।

এছাড়া সামিট পাওয়ারের ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকার, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, প্রাইম ফাইন্যান্সের ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার, পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার, প্রাইম ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকার এবং এপোলো ইস্পাতের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।