নোয়াখালীর ‘কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক সমন্বিত কার্যালয় নোয়াখালী।
গতকাল বিকেল ৪টায় দুদক সমন্বিত কার্যালয় নোয়াখালী সূত্র ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, ওই সমিতির সভাপতি মো. সহিদ উল্যা, সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন ও মমিনুল হককে সদস্য করে বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের করালিয়া এলাকায় সমিতির নিজস্ব ১৫ শতক জমি বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়। কর্মকর্তারা গত ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে বসুরহাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল নং-৪৬৬৮ অনুযায়ী প্রতি শতক ভূমি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকা দরে ২৫ জন গ্রহীতার কাছে ১৫ শতক জমি ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করে। কিন্তু ওই কর্মকর্তারা জমি বিক্রির ক্ষেত্রে সমিতির স্বার্থ না দেখে ওই তিন কর্মকর্তা ও দুই দালাল পরস্পর যোগসাজশে সমিতির সদস্যদের বাজার দরের চেয়ে কমে প্রতি শতক ভূমির দর ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা শোনায়। যাতে ১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রয় মূল্য দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে।
বিক্রয় কমিটির ওই কর্মকর্তারা সমিতির মূল্যবান জমি বিক্রির বিষয়ে সমবায় বিধি মোতাবেক জাতীয় বা স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রচার করেনি এবং সমিতির ১৩ জন সদস্যের অনুমতি বা সমবায় বিভাগ হতে জমি বিক্রির অনুমিতি গ্রহণ করেনি। তাই দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় ওই তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর সুপারিশ করে নোয়াখালী দুদক তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক সমবায় সমিতি লি. ১৯৭৩ সালে ৪৫ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের করালিয়া নামক স্থানে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে নিজস্ব ভবনে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গত ১২ মে ২০১৮ তারিখে বিশেষ সাধারণ সভায় সমিতি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্তির পরেও বিষয়টি সন্দেহ হলে সমিতির সদস্য শহীদ উল্যাহ (সদস্য নং- ২৭) দুদক নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করে। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান করে এ পরিমাণ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি মো. শহিদ উল্যাহ দাবি করেন, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। যার প্রত্যেকটির প্রমাণপত্র তাদের সংরক্ষণে রয়েছে।
সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর ‘কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক সমন্বিত কার্যালয় নোয়াখালী।
গতকাল বিকেল ৪টায় দুদক সমন্বিত কার্যালয় নোয়াখালী সূত্র ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, ওই সমিতির সভাপতি মো. সহিদ উল্যা, সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন ও মমিনুল হককে সদস্য করে বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের করালিয়া এলাকায় সমিতির নিজস্ব ১৫ শতক জমি বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়। কর্মকর্তারা গত ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে বসুরহাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল নং-৪৬৬৮ অনুযায়ী প্রতি শতক ভূমি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকা দরে ২৫ জন গ্রহীতার কাছে ১৫ শতক জমি ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করে। কিন্তু ওই কর্মকর্তারা জমি বিক্রির ক্ষেত্রে সমিতির স্বার্থ না দেখে ওই তিন কর্মকর্তা ও দুই দালাল পরস্পর যোগসাজশে সমিতির সদস্যদের বাজার দরের চেয়ে কমে প্রতি শতক ভূমির দর ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা শোনায়। যাতে ১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রয় মূল্য দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে।
বিক্রয় কমিটির ওই কর্মকর্তারা সমিতির মূল্যবান জমি বিক্রির বিষয়ে সমবায় বিধি মোতাবেক জাতীয় বা স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রচার করেনি এবং সমিতির ১৩ জন সদস্যের অনুমতি বা সমবায় বিভাগ হতে জমি বিক্রির অনুমিতি গ্রহণ করেনি। তাই দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় ওই তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর সুপারিশ করে নোয়াখালী দুদক তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক সমবায় সমিতি লি. ১৯৭৩ সালে ৪৫ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের করালিয়া নামক স্থানে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে নিজস্ব ভবনে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গত ১২ মে ২০১৮ তারিখে বিশেষ সাধারণ সভায় সমিতি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্তির পরেও বিষয়টি সন্দেহ হলে সমিতির সদস্য শহীদ উল্যাহ (সদস্য নং- ২৭) দুদক নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করে। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান করে এ পরিমাণ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি মো. শহিদ উল্যাহ দাবি করেন, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। যার প্রত্যেকটির প্রমাণপত্র তাদের সংরক্ষণে রয়েছে।