চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও প্রাচুর্যময় বৈচিত্রের সমন্বয়ে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা অন্বেষণে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতির আশীর্বাদ। পাহাড়-নদী-সমুদ্র বেষ্টিত এমন নান্দনিক উপাদান পৃথিবীতে বিরল। অথচ আমরা এগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, বরং এই নান্দনিক প্রাচুর্য্যকে ধ্বংস করেছি; নদী দখল করেছি, পাহাড়কে কেটে সৌন্দর্য্যরে অঙ্গহানি করেছি। মনে রাখতে হবে উন্নয়ন বা নগরায়ন মানে শুধু ইট-পাথরের ইমারত নয়- এটা নগ্নতা। উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো সবুজায়ন ও প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় সাধন।

গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে বিশিষ্ট স্থপতি আশিক ইমরান সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রশাসক এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু দূষণ বিপজ্জনক অশনি সংকেত। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সব প্রাণীকূলের সঙ্গে সমন্বয় ও সহাবস্থানই আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পূর্বশর্ত। চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য্য সুরক্ষা করে একটি অত্যাধুনিক পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ার মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরীর অনেক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা পর্যটন খাতে। পুরোনগরীকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে যে উপাদানগুলো আছে তার সদ্ব্যবহার সম্ভব হলে পর্যটন খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয়ের উৎস সৃষ্টি হবে। তিনি মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে, পর্যটন স্পটে কটেজ ও মোটেল স্থাপনের কথাও বলেন। তিনি আরও বলেন যে, ফয়সলেক থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত বার্ড ফিডিং বানানো হবে। তিনি নগরীর সৌন্দর্য্যবর্ধনে নকশা প্রণয়নের আহ্বান জানালে স্থপতি আশিক ইমরান প্রশাসকের বক্তব্য ও নকশা প্রণয়নে সহমত পোষণ করে বলেন, যেখানে যেখানে সৌন্দর্য্যবর্ধন করা যায় সেজন্য উপযোগী নকশা প্রণয়নের কাজটি করার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারি। এ ছাড়া নতুন নতুন খেলাধুলার মাঠ তৈরি এবং এখন যেগুলো আছে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, সবুজায়নের জন্য বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি বৃক্ষনিধন বন্ধ করার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। এ সময় চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি একেএম রেজাউল করিম, স্থপতি  আবদুল্লাহ আল ওমর, স্থপতি নাজমুল লতিফ সোহাইল, স্থপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও প্রাচুর্যময় বৈচিত্রের সমন্বয়ে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা অন্বেষণে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতির আশীর্বাদ। পাহাড়-নদী-সমুদ্র বেষ্টিত এমন নান্দনিক উপাদান পৃথিবীতে বিরল। অথচ আমরা এগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, বরং এই নান্দনিক প্রাচুর্য্যকে ধ্বংস করেছি; নদী দখল করেছি, পাহাড়কে কেটে সৌন্দর্য্যরে অঙ্গহানি করেছি। মনে রাখতে হবে উন্নয়ন বা নগরায়ন মানে শুধু ইট-পাথরের ইমারত নয়- এটা নগ্নতা। উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো সবুজায়ন ও প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় সাধন।

গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে বিশিষ্ট স্থপতি আশিক ইমরান সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রশাসক এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু দূষণ বিপজ্জনক অশনি সংকেত। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সব প্রাণীকূলের সঙ্গে সমন্বয় ও সহাবস্থানই আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পূর্বশর্ত। চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য্য সুরক্ষা করে একটি অত্যাধুনিক পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ার মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরীর অনেক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা পর্যটন খাতে। পুরোনগরীকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে যে উপাদানগুলো আছে তার সদ্ব্যবহার সম্ভব হলে পর্যটন খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয়ের উৎস সৃষ্টি হবে। তিনি মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে, পর্যটন স্পটে কটেজ ও মোটেল স্থাপনের কথাও বলেন। তিনি আরও বলেন যে, ফয়সলেক থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত বার্ড ফিডিং বানানো হবে। তিনি নগরীর সৌন্দর্য্যবর্ধনে নকশা প্রণয়নের আহ্বান জানালে স্থপতি আশিক ইমরান প্রশাসকের বক্তব্য ও নকশা প্রণয়নে সহমত পোষণ করে বলেন, যেখানে যেখানে সৌন্দর্য্যবর্ধন করা যায় সেজন্য উপযোগী নকশা প্রণয়নের কাজটি করার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারি। এ ছাড়া নতুন নতুন খেলাধুলার মাঠ তৈরি এবং এখন যেগুলো আছে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, সবুজায়নের জন্য বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি বৃক্ষনিধন বন্ধ করার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। এ সময় চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি একেএম রেজাউল করিম, স্থপতি  আবদুল্লাহ আল ওমর, স্থপতি নাজমুল লতিফ সোহাইল, স্থপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।