স্বাস্থ্যবিধি অমান্যে কমেও কমছে না করোনা

কিশোরগঞ্জে ইদানিং করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। তবে আরও কমে আসতে পারত, যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলত। করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ১০ ভাগের মতো মানুষ মাস্ক ছাড়া বাইরে ঘুরে বেড়াতো। পরবর্তীতে এই সংখ্যা ২০ ভাগ ৩০ ভাগে উঠেছিল। কিন্তু এখন অন্তত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষই মাস্ক পরছে না। যে কারণে করোনা সংক্রমণ কমে আসলেও নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত সারা জেলায় ২,৬৫২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ৪৬ জন, আর সুস্থ হয়েছে ২৪৬১ জন। কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষেরই মাস্ক নেই। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো নাজুক।

বিশেষ করে ৪০ এর ভেতর যাদের বয়স, এদেরই মাস্কবিহীন বেশি দেখা যায়। সরকার জীবনযাত্রার প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেয়ার পর থেকে সর্বত্রই মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা দূরে থাক, মাস্কই ব্যবহার করছে না। অথচ স্বাস্থ্যবিধির যত রকমের নির্দেশনা রয়েছে, এর মধ্যে মাস্কের ব্যবহারকে সবাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও, প্রচারণা চালালেও, এমনকি ‘মাস্ক ইজ মাস্ট’ নীতি বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও মানুষ নিয়ম লংঘন করেই চলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি সবাই মাস্ক পরে, রোগি নিজেও মাস্ক পরে, তাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে শূণ্যের কাছাকাছি। অথচ এসব কথায় কেউ কর্ণপাত করছে না। আবার যাদের মাস্ক রয়েছে, তাদেরও সিংহভাগই ঠিকমত মাস্ক পরে না। কেউ মাস্ক থুতনি পর্যন্ত নামিয়ে রাখে। আবার অনেকে মুখ ঢেকে নাকটা খোলা রাখে। এটা আরো বিপজ্জনক। কারণ, কেবল নাক খোলা থাকলে তখন মুখে কোন শ্বাস-প্রশ্বাস না চালিয়ে মানুষ নাক দিয়ে পুরো শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা চালিয়ে থাকে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিবেগ অনেক বেড়ে যায়। ফলে সেসময় মানুষের ভাইরাস টেনে নেয়ার ক্ষমতা যেমন বেড়ে যায়, ভাইরাস নিঃসরণের ক্ষমতাও বেড়ে যায়। এর ফলে তার আশপাশের মানুষের ঝুঁকিও তখন অনেক বেড়ে যায়। কাজেই সকল মানুষের মাস্কের ব্যবহার এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে করোনাকে বিদায় জানানো যাবে না বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

স্বাস্থ্যবিধি অমান্যে কমেও কমছে না করোনা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

image

কিশোরগঞ্জে ইদানিং করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। তবে আরও কমে আসতে পারত, যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলত। করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ১০ ভাগের মতো মানুষ মাস্ক ছাড়া বাইরে ঘুরে বেড়াতো। পরবর্তীতে এই সংখ্যা ২০ ভাগ ৩০ ভাগে উঠেছিল। কিন্তু এখন অন্তত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষই মাস্ক পরছে না। যে কারণে করোনা সংক্রমণ কমে আসলেও নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত সারা জেলায় ২,৬৫২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ৪৬ জন, আর সুস্থ হয়েছে ২৪৬১ জন। কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষেরই মাস্ক নেই। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো নাজুক।

বিশেষ করে ৪০ এর ভেতর যাদের বয়স, এদেরই মাস্কবিহীন বেশি দেখা যায়। সরকার জীবনযাত্রার প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেয়ার পর থেকে সর্বত্রই মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা দূরে থাক, মাস্কই ব্যবহার করছে না। অথচ স্বাস্থ্যবিধির যত রকমের নির্দেশনা রয়েছে, এর মধ্যে মাস্কের ব্যবহারকে সবাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও, প্রচারণা চালালেও, এমনকি ‘মাস্ক ইজ মাস্ট’ নীতি বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও মানুষ নিয়ম লংঘন করেই চলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি সবাই মাস্ক পরে, রোগি নিজেও মাস্ক পরে, তাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে শূণ্যের কাছাকাছি। অথচ এসব কথায় কেউ কর্ণপাত করছে না। আবার যাদের মাস্ক রয়েছে, তাদেরও সিংহভাগই ঠিকমত মাস্ক পরে না। কেউ মাস্ক থুতনি পর্যন্ত নামিয়ে রাখে। আবার অনেকে মুখ ঢেকে নাকটা খোলা রাখে। এটা আরো বিপজ্জনক। কারণ, কেবল নাক খোলা থাকলে তখন মুখে কোন শ্বাস-প্রশ্বাস না চালিয়ে মানুষ নাক দিয়ে পুরো শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা চালিয়ে থাকে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিবেগ অনেক বেড়ে যায়। ফলে সেসময় মানুষের ভাইরাস টেনে নেয়ার ক্ষমতা যেমন বেড়ে যায়, ভাইরাস নিঃসরণের ক্ষমতাও বেড়ে যায়। এর ফলে তার আশপাশের মানুষের ঝুঁকিও তখন অনেক বেড়ে যায়। কাজেই সকল মানুষের মাস্কের ব্যবহার এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে করোনাকে বিদায় জানানো যাবে না বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।