শাকপুরা-দাশের দিঘী সড়কে গর্তে গর্তে মৃত্যুফাঁদ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা-দাশের দিঘী সড়কটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে মাঝখানে বড় বড় গর্ত ডোবা আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে এসব গর্তে জমে থাকা পানিতে প্রায় ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।

সরজমিনে দেখা গেছে উপজেলার শাকপুরা-দাশের দিঘী সংযোগ সড়কটি প্রায় অংশজুড়ে বিভিন্ন খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। সড়কজুড়ে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কগুলো কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে যান চলাচল ও পায়ে হেঁেট চলার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের নগরীতে আসা যাওয়া খুবই অবর্ণনীয়। প্রতিদিন এ সড়কে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি জনগণ নগরীসহ বিভিন্ন জায়গার যাতায়াত করেন। এ সড়কে একসময় লোকাল বাস সার্ভিস চলাচল করলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিএনজি টেম্পু ও টেক্সীসহ বিভিন্ন যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের। কাদা পানি মাড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হয় এসব ছোট ছোট যানবাহনে।

স্থানীয় মো. আনিস, মো. সোহেল জানান, সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে দশ মিনিটের পথ লাগে এক ঘন্টা। ফলে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার শ্রম ঘন্টা। শাকপুরা-দাশের দিঘী সংযোগ সড়কটির বেহাল দশা নিয়ে সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ওয়াসার নির্মাণ কাজ চলার কারণে সড়কের আরও বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী সড়ক সংস্কারের জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করে। তবে স্থানীয়রা বলছেন সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়া ও নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে তা দ্রুত নষ্ট হয়েছে। এজন্য ঠিকাদারদের দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

শাকপুরা-দাশের দিঘী সড়কে গর্তে গর্তে মৃত্যুফাঁদ

প্রতিনিধি, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম)

image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা-দাশের দিঘী সড়কটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে মাঝখানে বড় বড় গর্ত ডোবা আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে এসব গর্তে জমে থাকা পানিতে প্রায় ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।

সরজমিনে দেখা গেছে উপজেলার শাকপুরা-দাশের দিঘী সংযোগ সড়কটি প্রায় অংশজুড়ে বিভিন্ন খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। সড়কজুড়ে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কগুলো কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে যান চলাচল ও পায়ে হেঁেট চলার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের নগরীতে আসা যাওয়া খুবই অবর্ণনীয়। প্রতিদিন এ সড়কে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি জনগণ নগরীসহ বিভিন্ন জায়গার যাতায়াত করেন। এ সড়কে একসময় লোকাল বাস সার্ভিস চলাচল করলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিএনজি টেম্পু ও টেক্সীসহ বিভিন্ন যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের। কাদা পানি মাড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হয় এসব ছোট ছোট যানবাহনে।

স্থানীয় মো. আনিস, মো. সোহেল জানান, সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে দশ মিনিটের পথ লাগে এক ঘন্টা। ফলে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার শ্রম ঘন্টা। শাকপুরা-দাশের দিঘী সংযোগ সড়কটির বেহাল দশা নিয়ে সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ওয়াসার নির্মাণ কাজ চলার কারণে সড়কের আরও বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী সড়ক সংস্কারের জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করে। তবে স্থানীয়রা বলছেন সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়া ও নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে তা দ্রুত নষ্ট হয়েছে। এজন্য ঠিকাদারদের দায়ী করছেন এলাকাবাসী।