একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি শুরু

অনলাইনে ক্লাস আগামী মাসে

কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর গতকাল থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মনোনীত কলেজে ভর্তি হতে পারবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে একাদশের শ্রেণী কার্যক্রম। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস চলবে অনলাইনে।

গতকাল সকাল থেকেই ভর্তির জন্য কলেজগুলোতে ভিড় জমায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও ভিড় করেন কলেজে। এবার তিন ধাপে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করে। ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজে গিয়ে ভর্তি হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ও ভর্তি ফিসহ সাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে।

উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। গতবছর এ খাতে তিন হাজার টাকা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ফি কমিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪০ শতাংশ কমিয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে যথাক্রমে ১৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে হবে।

এবার মোট তিন ধাপে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। বাকি শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কারিগরি শিক্ষায় চলে আসে।

১ অক্টোবর একাদশের পাঠ্যবই বিক্রি :

করোনা পরিস্থিতিতে অক্টোবরের প্রথম দিন বাজারে একাদশের পাঠ্যবই বিক্রি উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কেবল অনলাইনে এই ক্লাস চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গেলে স্বাভাবিক ক্লাস শুরু হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন, ‘যারা যেসব কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত তারা সেসব কলেজে গিয়ে এখন ভর্তি হচ্ছে। গতকাল থেকে ভর্তি শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত সরকারের নির্দেশনা মেনে ভর্তি হতে হবে। এরপর আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনেই এই ক্লাস চলবে।’

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি শুরু

অনলাইনে ক্লাস আগামী মাসে

কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর গতকাল থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মনোনীত কলেজে ভর্তি হতে পারবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে একাদশের শ্রেণী কার্যক্রম। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস চলবে অনলাইনে।

গতকাল সকাল থেকেই ভর্তির জন্য কলেজগুলোতে ভিড় জমায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও ভিড় করেন কলেজে। এবার তিন ধাপে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করে। ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজে গিয়ে ভর্তি হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ও ভর্তি ফিসহ সাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে।

উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। গতবছর এ খাতে তিন হাজার টাকা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ফি কমিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪০ শতাংশ কমিয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে যথাক্রমে ১৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে হবে।

এবার মোট তিন ধাপে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। বাকি শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কারিগরি শিক্ষায় চলে আসে।

১ অক্টোবর একাদশের পাঠ্যবই বিক্রি :

করোনা পরিস্থিতিতে অক্টোবরের প্রথম দিন বাজারে একাদশের পাঠ্যবই বিক্রি উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কেবল অনলাইনে এই ক্লাস চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গেলে স্বাভাবিক ক্লাস শুরু হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন, ‘যারা যেসব কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত তারা সেসব কলেজে গিয়ে এখন ভর্তি হচ্ছে। গতকাল থেকে ভর্তি শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত সরকারের নির্দেশনা মেনে ভর্তি হতে হবে। এরপর আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনেই এই ক্লাস চলবে।’