টাঙ্গাইলে জোড়া খুন, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইলের অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার- ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন স্বপন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শয়ান মিয়া।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় ২৭ জন সাক্ষীকে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হত্যার পর লাশ গুম করায় প্রত্যেক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই টাঙ্গাইলের রসুলপুরের বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাদের লাশ বস্তায় ভরে বাসার বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অনিল কুমারের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অনিল কুমারের সৎভাই স্বপন কুমারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

টাঙ্গাইলে জোড়া খুন, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত বার্তা পরিবেশক

টাঙ্গাইলের অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার- ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন স্বপন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শয়ান মিয়া।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় ২৭ জন সাক্ষীকে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হত্যার পর লাশ গুম করায় প্রত্যেক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই টাঙ্গাইলের রসুলপুরের বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাদের লাশ বস্তায় ভরে বাসার বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অনিল কুমারের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অনিল কুমারের সৎভাই স্বপন কুমারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।