স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের আহ্বান ইউজিসির

সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি দ্রুত এ নিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে রেজিস্ট্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বেশকিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছেও অভিযোগ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।

গতকাল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসি’র অডিটোরিয়ামে এপিএ’র এই মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ও আগামীকাল বাকি ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করে সরকার। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেয়া বক্তব্যে ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বেশকিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উচিত দ্রুত স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া।’

স্থায়ী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘রেজিস্ট্রার বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় উপাচার্যকে সহযোগিতা করেন। একজন কর্মঠ ও দক্ষ রেজিস্ট্রারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুই নির্ভরশীল।’ এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে এবং বিদ্যমান আইন যথাথথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের কাজ হবে সঠিক তথ্য উপাচার্যদের কাছে তুলে ধরা।

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার সার্বিক অগ্রগতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেয়া, কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং অধ্যাপক ড. আবু তাহের বক্তব্য রাখেন। কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আরও খবর
উড়োজাহাজ ত্রুটির কারণে
অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মসৃণ কাদের
শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনতে নোটিস
স্বাস্থ্যখাতে হারানো অর্জন ফিরিয়ে আনতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে ডিজি
রংপুর ছাত্রলীগ সভাপতি রনিকে বহিষ্কারের দাবি
৪০ কি.মি. দূরত্বের বাসভাড়া ৩৫০ টাকা আদায় ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার-এর
ব্যাটারি-ইঞ্জিনচালিত রিকশা-ভ্যান সড়কে পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা মেয়র ঢাকা দক্ষিণ
স্বাস্থ্যের আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদ
১৯৫ কোটি টাকা পাচার করে সম্রাট
ভুয়া বিলে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ
শিক্ষক-নারী-শিশু পেটানো সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
পাট-পাটশিল্প ও পাটচাষি রক্ষায় সংহতি সমাবেশ
পারিবারিক কলহে ৩ খুন
পারিবারিক কলহে ৩ খুন

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

সব পাবলিক ভার্সিটিতে

স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের আহ্বান ইউজিসির

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি দ্রুত এ নিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে রেজিস্ট্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বেশকিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছেও অভিযোগ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।

গতকাল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসি’র অডিটোরিয়ামে এপিএ’র এই মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ও আগামীকাল বাকি ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করে সরকার। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেয়া বক্তব্যে ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বেশকিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উচিত দ্রুত স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া।’

স্থায়ী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘রেজিস্ট্রার বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় উপাচার্যকে সহযোগিতা করেন। একজন কর্মঠ ও দক্ষ রেজিস্ট্রারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুই নির্ভরশীল।’ এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে এবং বিদ্যমান আইন যথাথথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের কাজ হবে সঠিক তথ্য উপাচার্যদের কাছে তুলে ধরা।

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার সার্বিক অগ্রগতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেয়া, কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং অধ্যাপক ড. আবু তাহের বক্তব্য রাখেন। কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।