শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনতে নোটিস

বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নোটিসটি পাঠানো হয়। নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল ডাক রেজিস্ট্রারযোগে নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন।

নোটিসে বলা হয়, তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আমরা এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি এবং যে শক্তির ওপর ভর করে আমরা দাঁড়াচ্ছি সেটা হলো মূলত বৈদেশিক রেমিট্যান্স। দেশের মানুষ যারা বিদেশের মাটিতে শ্রম দিচ্ছেন, তাদের ঘাম ঝরানো পয়সা দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল করছে এবং তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে সেই সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুবিধা আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ ভোগ করছে এবং আমরা আমাদের আয়েশি জীবনযাপন করতে পারছি। যে খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই শ্রমিকদের প্রতি একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে।

মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, সাধারণত বিদেশে কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মারা গেলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের মরদেহ সংশ্লিষ্ট দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রি ভিসা বা অন্য কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক মারা গেলে সে যে দেশের নাগরিক সেই দেশকেই তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতোপূর্বে আমাদের দেশে এ ধরনের শ্রমিকদের যারা বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের লাশ বিমান বাংলাদেশ বিনা খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করে আসছিল।

আইনজীবী জানান, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে আর মরদেহ বহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেক্ষেত্রে বিদেশে কোন শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারের খরচে মরদেহ দেশে আনতে হবে। যারা অর্থনীতিকে সচল রাখছে, তারা কোন দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবে না, একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই এই নোটিস পাঠিয়ে বলা হয়েছে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবেন অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর
উড়োজাহাজ ত্রুটির কারণে
অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মসৃণ কাদের
স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের আহ্বান ইউজিসির
স্বাস্থ্যখাতে হারানো অর্জন ফিরিয়ে আনতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে ডিজি
রংপুর ছাত্রলীগ সভাপতি রনিকে বহিষ্কারের দাবি
৪০ কি.মি. দূরত্বের বাসভাড়া ৩৫০ টাকা আদায় ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার-এর
ব্যাটারি-ইঞ্জিনচালিত রিকশা-ভ্যান সড়কে পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা মেয়র ঢাকা দক্ষিণ
স্বাস্থ্যের আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদ
১৯৫ কোটি টাকা পাচার করে সম্রাট
ভুয়া বিলে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ
শিক্ষক-নারী-শিশু পেটানো সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
পাট-পাটশিল্প ও পাটচাষি রক্ষায় সংহতি সমাবেশ
পারিবারিক কলহে ৩ খুন
পারিবারিক কলহে ৩ খুন

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

বিদেশে মৃত

শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনতে নোটিস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নোটিসটি পাঠানো হয়। নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল ডাক রেজিস্ট্রারযোগে নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন।

নোটিসে বলা হয়, তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আমরা এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি এবং যে শক্তির ওপর ভর করে আমরা দাঁড়াচ্ছি সেটা হলো মূলত বৈদেশিক রেমিট্যান্স। দেশের মানুষ যারা বিদেশের মাটিতে শ্রম দিচ্ছেন, তাদের ঘাম ঝরানো পয়সা দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল করছে এবং তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে সেই সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুবিধা আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ ভোগ করছে এবং আমরা আমাদের আয়েশি জীবনযাপন করতে পারছি। যে খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই শ্রমিকদের প্রতি একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে।

মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, সাধারণত বিদেশে কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মারা গেলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের মরদেহ সংশ্লিষ্ট দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রি ভিসা বা অন্য কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক মারা গেলে সে যে দেশের নাগরিক সেই দেশকেই তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতোপূর্বে আমাদের দেশে এ ধরনের শ্রমিকদের যারা বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের লাশ বিমান বাংলাদেশ বিনা খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করে আসছিল।

আইনজীবী জানান, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে আর মরদেহ বহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেক্ষেত্রে বিদেশে কোন শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারের খরচে মরদেহ দেশে আনতে হবে। যারা অর্থনীতিকে সচল রাখছে, তারা কোন দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবে না, একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই এই নোটিস পাঠিয়ে বলা হয়েছে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবেন অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।