পিয়াজ নিয়ে কারসাজি বন্ধ হবে কবে?

পিয়াজ নিয়ে ক্রেতাদের গত বছরের দগদগে ক্ষত না শুকাতেই আবারও পিয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সন্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজে ৩০-৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শাকসবজির বাড়তি দরের সঙ্গে পিয়াজের বাড়তি দামে রীতিমতো ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটা কারসাজি ছাড়া আর কিছুই না। গত বছর ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করায় দেশে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষাই নেয়নি, নিলে আর এ অবস্থা হতো না। এ নিয়ে গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- কী কারণে পিয়াজের দাম আবার বেড়েছে?

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাজারে পিয়াজের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। মূলত অসৎ ও অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের জন্য নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তারা একেক সময় একেক অজুহাত দাঁড় করায়। যেমন এখন আবার পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে। বন্যার অজুহাতে নিত্যপণের দাম বাড়ানো হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অজুহাতের শেষ নেই। কীভাবে জনসাধারণের পকেট কেটে অতিরিক্ত মুনাফা করা যায়, সেদিকে তাদের মনোযোগ বেশি।

এই অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকার আজপর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং নিয়ন্ত্রণ করারও চেষ্টা করেনি। ফলে প্রতি বছর ওরা দাম বাড়ায়। এটা হচ্ছে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি। কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় হঠাৎ পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ে অতীতে অনেক পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, অনেক লেখালেখি হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। বলা হচ্ছে- টিসিবি খোলাবাজারে পিয়াজ বিক্রি করবে। সরকার অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে টিসিবিতে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে কার্যত মজুতদার মুনাফাখোরী ব্যবসায়ীদেরই আস্কারা দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

যতদিন পর্যন্ত না সরকার অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে- ততদিন নিত্যপণ্য নিয়ে এরকম অরাজকতা চলতেই থাকবে। আর এর খেসারত দিতে হবে সাধারণ জনগণকে।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

পিয়াজ নিয়ে কারসাজি বন্ধ হবে কবে?

পিয়াজ নিয়ে ক্রেতাদের গত বছরের দগদগে ক্ষত না শুকাতেই আবারও পিয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সন্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজে ৩০-৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শাকসবজির বাড়তি দরের সঙ্গে পিয়াজের বাড়তি দামে রীতিমতো ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটা কারসাজি ছাড়া আর কিছুই না। গত বছর ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করায় দেশে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষাই নেয়নি, নিলে আর এ অবস্থা হতো না। এ নিয়ে গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- কী কারণে পিয়াজের দাম আবার বেড়েছে?

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাজারে পিয়াজের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। মূলত অসৎ ও অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের জন্য নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তারা একেক সময় একেক অজুহাত দাঁড় করায়। যেমন এখন আবার পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে। বন্যার অজুহাতে নিত্যপণের দাম বাড়ানো হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অজুহাতের শেষ নেই। কীভাবে জনসাধারণের পকেট কেটে অতিরিক্ত মুনাফা করা যায়, সেদিকে তাদের মনোযোগ বেশি।

এই অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকার আজপর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং নিয়ন্ত্রণ করারও চেষ্টা করেনি। ফলে প্রতি বছর ওরা দাম বাড়ায়। এটা হচ্ছে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি। কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় হঠাৎ পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ে অতীতে অনেক পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, অনেক লেখালেখি হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। বলা হচ্ছে- টিসিবি খোলাবাজারে পিয়াজ বিক্রি করবে। সরকার অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে টিসিবিতে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে কার্যত মজুতদার মুনাফাখোরী ব্যবসায়ীদেরই আস্কারা দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

যতদিন পর্যন্ত না সরকার অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে- ততদিন নিত্যপণ্য নিয়ে এরকম অরাজকতা চলতেই থাকবে। আর এর খেসারত দিতে হবে সাধারণ জনগণকে।