আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ১২

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনকে ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মুমূর্ষাবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদীর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনা-৪ আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। প্রধান অতিথিকে অভ্যর্থনা জানাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীরা অপেক্ষা করছিল। অভ্যর্থনায় সামনে থাকাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈশ^রদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে পৌর আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এদিন ঘটনার পর ঈশ^রদী প্রেসক্লাবে পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। সংবাদ সন্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য ঈশ্বরদীর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, এ ঘটনা নৌকার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভ করার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়া হবে। ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্টু ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনার সঙ্গে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দীন বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শহরের গুরুত্ব স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংঘর্ষে আহতরা হলেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা, আওয়ামী লীগ নেতা আবু কালাম, মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার মালিথা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির মালিথা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব, যুবলীগ কর্মী নাজিম উদ্দিন রনি খান, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাবু, রিকশা চালক ওলিউর রহমান, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলবার হোসেন ও যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম। সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন লাবু ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে রনিকে প্রথমে পাবনা ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে

আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ১২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনকে ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মুমূর্ষাবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদীর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনা-৪ আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। প্রধান অতিথিকে অভ্যর্থনা জানাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীরা অপেক্ষা করছিল। অভ্যর্থনায় সামনে থাকাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈশ^রদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে পৌর আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এদিন ঘটনার পর ঈশ^রদী প্রেসক্লাবে পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। সংবাদ সন্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য ঈশ্বরদীর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, এ ঘটনা নৌকার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভ করার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়া হবে। ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্টু ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনার সঙ্গে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দীন বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শহরের গুরুত্ব স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংঘর্ষে আহতরা হলেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা, আওয়ামী লীগ নেতা আবু কালাম, মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার মালিথা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির মালিথা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব, যুবলীগ কর্মী নাজিম উদ্দিন রনি খান, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাবু, রিকশা চালক ওলিউর রহমান, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলবার হোসেন ও যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম। সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন লাবু ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে রনিকে প্রথমে পাবনা ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।