কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

বগুড়ার শেরপুরে সদস্যদের সঞ্চয়ের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ‘একতা উন্নয়ন সংস্থ’া’ নামের একটি সমিতি উধাও হয়ে গেছে। প্রায় দুই শতাধিক সদস্যদের নিকট থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেন সংস্থাটি। ফলে সঞ্চয়ের টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। গত রোববার স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ ডক্টরস কমপ্লেক্সের দ্বিতীয়তলায় অবস্থিত সংস্থার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া একাধিক ভুক্তভোগী সদস্য এই অভিযোগ করেন। সমিতির সদস্য মো. সোহেলসহ একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েকবছর ধরে ‘একতা উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ঋণদান ও সঞ্চয় সমিতি চালু করা হয়। সরকারি কোন নিবন্ধন না নিয়ে সদস্য ভর্তি ও তাদের নিকট থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মানছুরুর রহমান ও সদস্য সচিব তারই স্ত্রী মোছা. নাজনীন আকতার। পরবর্তীতে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহক সংগ্রহ করে তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক সঞ্চয়ী বই খুলে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তারা। কিন্তু গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার পরিবর্তে তাদের সঞ্চয়ের উক্ত পরিমাণ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মানছুরুর রহমান। তবে সমিতির সদস্য সচিব তার স্ত্রী নাজনীন আকতার বাসায় অবস্থান করলেও তিনি অসুস্থ থাকার অজুহাত দেখিয়ে কারও সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করছেন না। ভুক্তভোগী সদস্য মো. সোহেল বলেন, তিনি একাই একাধিক বই খুলে দুই লাখ আট হাজার সাতশত টাকা সঞ্চয় জমা করেছেন। একইভাবে টুকু মিয়া, সামছুল হক, সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই সদস্য হিসেবে সঞ্চয় জমা রেখেছেন। কিন্তু কেউ টাকা ফেরত পাননি। তাদের সবারই সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে আত্মসাত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে একতা উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মানছুরুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পলাতক থাকায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তারই স্ত্রী এবং ওই সংগঠনের সদস্য সচিব নাজনীন আকতার তার স্বামী উধাও হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সদস্যদের কিছু কিছু করে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সমিতির সব সদস্যদেরই সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে করোনার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুরে সদস্যদের সঞ্চয়ের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ‘একতা উন্নয়ন সংস্থ’া’ নামের একটি সমিতি উধাও হয়ে গেছে। প্রায় দুই শতাধিক সদস্যদের নিকট থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেন সংস্থাটি। ফলে সঞ্চয়ের টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। গত রোববার স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ ডক্টরস কমপ্লেক্সের দ্বিতীয়তলায় অবস্থিত সংস্থার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া একাধিক ভুক্তভোগী সদস্য এই অভিযোগ করেন। সমিতির সদস্য মো. সোহেলসহ একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েকবছর ধরে ‘একতা উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ঋণদান ও সঞ্চয় সমিতি চালু করা হয়। সরকারি কোন নিবন্ধন না নিয়ে সদস্য ভর্তি ও তাদের নিকট থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মানছুরুর রহমান ও সদস্য সচিব তারই স্ত্রী মোছা. নাজনীন আকতার। পরবর্তীতে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহক সংগ্রহ করে তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক সঞ্চয়ী বই খুলে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তারা। কিন্তু গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার পরিবর্তে তাদের সঞ্চয়ের উক্ত পরিমাণ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মানছুরুর রহমান। তবে সমিতির সদস্য সচিব তার স্ত্রী নাজনীন আকতার বাসায় অবস্থান করলেও তিনি অসুস্থ থাকার অজুহাত দেখিয়ে কারও সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করছেন না। ভুক্তভোগী সদস্য মো. সোহেল বলেন, তিনি একাই একাধিক বই খুলে দুই লাখ আট হাজার সাতশত টাকা সঞ্চয় জমা করেছেন। একইভাবে টুকু মিয়া, সামছুল হক, সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই সদস্য হিসেবে সঞ্চয় জমা রেখেছেন। কিন্তু কেউ টাকা ফেরত পাননি। তাদের সবারই সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে আত্মসাত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে একতা উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মানছুরুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পলাতক থাকায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তারই স্ত্রী এবং ওই সংগঠনের সদস্য সচিব নাজনীন আকতার তার স্বামী উধাও হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সদস্যদের কিছু কিছু করে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সমিতির সব সদস্যদেরই সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে করোনার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।