পদ্মার বালুচর ভেঙে বিপর্যয়

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

চরম দুর্ভোগে যাত্রী, পরিবহন চালক

পদ্মার দুই পাড় ও বালু চর ভেঙে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে। এই নৌপথের লৌহজং চ্যানেলের মুখে পলি জমা হয়ে নাব্যতা সংকট তৈরি হয়েছে। নাব্যতা সংকটে এখন এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে যে, ছোট ফেরিও চলতে পারছে না। তাই গত রোববার রাত থেকে এই নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র সূত্র জানায়, ১২টি ড্রেজার দিয়ে নদী খনন কাজ চলছে। তারা আশা করছেন, দুই-এক দিনের মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালু করা যাবে বলে। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই পারের অপেক্ষমাণ শত শত বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সংবাদকে বলেন, পদ্মা নদীর দুই পার ও বালুর চর ভেঙে পলি এসে চ্যানেলের মুখে জমা হয়েছে। এতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে নাব্যতা সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দুই-তিন দিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পলি অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে ১২ ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ চলছে। আশা করছি, দুই-তিন দিনের মধ্যে নৌপথটি চালু করা যাবে। সেজন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগে ১১ দিন বন্ধ রাখার পর গত শনিবার থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আবার ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যারা এ ঘোষণা জানতেন না, ঘাটে আসার পর তাদের অনেকেই আবার ফিরে গেছেন। সীমিত আকারে চালুর দুই দিন যেতে না যেতেই রোববার রাতে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে ফেরি চলাচল আবার বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট এলাকায় মাইকিং করে বিআইডব্লিউটিসি।

এ বিষেয় বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে ঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। অনেক গাড়ি রেখে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ আর স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হচ্ছে। যারা এ ঘোষণা জানতেন না, তাদের অনেকে ঘাটে এসে আবার অনেকে ফিরে গেছেন। তবে পণ্যবাহী ট্রাক চলাকরা এখনও ঘাটেই অপেক্ষায় রয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিসি’র সূত্র জানায়, চ্যানেলে নাব্যতার অভাব থাকায় ফেরি চালানো যাচ্ছে না। এরমধ্যে লৌহজং টার্নিংয়ের কাছের লৌহজং চর ভেঙে পলি জমি যাচ্ছে চ্যানেলে। ফলে চ্যানেলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। চ্যানেলের পলি অপসারণ করা না হলে ফেরি চালানো সম্ভব না। বিআইডব্লিউটিএর পরামর্শেই ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বালুর বস্তা ফেলেও তিন নম্বর ঘাটে পদ্মার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না, ক্রমেই বিলীন হচ্ছে ঘাট ও আশপাশের জনপদ। এতে ঘাটে ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডবে ঝুঁকির মধ্যে শিমুলিয়ার নতুন তিন নম্বর ঘাট। ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার এই প্রবল স্রোতে এবং ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে শুধু বালুর বস্তা। বিলীন হয়ে যাওয়া ৪ নম্বর ঘাট এখনও চালু করা যায়নি। ফেরি চলছিল ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে। এখন সেটিও বন্ধ।

image

পদ্মার বালুচর ভেঙে বিপর্যয়ের ফলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিড বোর্ডে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে -সংবাদ

আরও খবর
লাইসেন্স ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার
শর্ত মেনে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা চীনকে ছাড়ালো বাংলাদেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়
সাবেক ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার দেখালেন আদালত
ইউএনও’র ওপর হামলায় রবিউলকে ফাঁসানো হচ্ছে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা এলএনজি নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে হবে সিপিডি
মায়ানমারের উস্কানিমূলক আচরণ, সতর্ক বিজিবি
হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

পদ্মার বালুচর ভেঙে বিপর্যয়

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

চরম দুর্ভোগে যাত্রী, পরিবহন চালক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

পদ্মার বালুচর ভেঙে বিপর্যয়ের ফলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিড বোর্ডে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে -সংবাদ

পদ্মার দুই পাড় ও বালু চর ভেঙে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে। এই নৌপথের লৌহজং চ্যানেলের মুখে পলি জমা হয়ে নাব্যতা সংকট তৈরি হয়েছে। নাব্যতা সংকটে এখন এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে যে, ছোট ফেরিও চলতে পারছে না। তাই গত রোববার রাত থেকে এই নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র সূত্র জানায়, ১২টি ড্রেজার দিয়ে নদী খনন কাজ চলছে। তারা আশা করছেন, দুই-এক দিনের মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালু করা যাবে বলে। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই পারের অপেক্ষমাণ শত শত বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সংবাদকে বলেন, পদ্মা নদীর দুই পার ও বালুর চর ভেঙে পলি এসে চ্যানেলের মুখে জমা হয়েছে। এতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে নাব্যতা সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দুই-তিন দিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পলি অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে ১২ ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ চলছে। আশা করছি, দুই-তিন দিনের মধ্যে নৌপথটি চালু করা যাবে। সেজন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগে ১১ দিন বন্ধ রাখার পর গত শনিবার থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আবার ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যারা এ ঘোষণা জানতেন না, ঘাটে আসার পর তাদের অনেকেই আবার ফিরে গেছেন। সীমিত আকারে চালুর দুই দিন যেতে না যেতেই রোববার রাতে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে ফেরি চলাচল আবার বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট এলাকায় মাইকিং করে বিআইডব্লিউটিসি।

এ বিষেয় বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে ঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। অনেক গাড়ি রেখে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ আর স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হচ্ছে। যারা এ ঘোষণা জানতেন না, তাদের অনেকে ঘাটে এসে আবার অনেকে ফিরে গেছেন। তবে পণ্যবাহী ট্রাক চলাকরা এখনও ঘাটেই অপেক্ষায় রয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিসি’র সূত্র জানায়, চ্যানেলে নাব্যতার অভাব থাকায় ফেরি চালানো যাচ্ছে না। এরমধ্যে লৌহজং টার্নিংয়ের কাছের লৌহজং চর ভেঙে পলি জমি যাচ্ছে চ্যানেলে। ফলে চ্যানেলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। চ্যানেলের পলি অপসারণ করা না হলে ফেরি চালানো সম্ভব না। বিআইডব্লিউটিএর পরামর্শেই ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বালুর বস্তা ফেলেও তিন নম্বর ঘাটে পদ্মার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না, ক্রমেই বিলীন হচ্ছে ঘাট ও আশপাশের জনপদ। এতে ঘাটে ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডবে ঝুঁকির মধ্যে শিমুলিয়ার নতুন তিন নম্বর ঘাট। ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার এই প্রবল স্রোতে এবং ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে শুধু বালুর বস্তা। বিলীন হয়ে যাওয়া ৪ নম্বর ঘাট এখনও চালু করা যায়নি। ফেরি চলছিল ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে। এখন সেটিও বন্ধ।