অন্ধকারে আলো ছড়ানো বিরল প্রজাতির মাশরুমের সন্ধান

ভারতের গোয়া অঞ্চলে নতুন ধরনের মাশরুমের সন্ধান পাওয়া গেছে; যা রাতের অন্ধকারে আলো ছড়ায় ঠিক জোনাকির মতো। গোয়ার পানাজি থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত মহাদেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকায় দেখা যাওয়া নতুন প্রজাতির মাশরুমের নাম দেয়া হয়েছে ‘বায়ো-লুমিনিসেন্ট’ মাশরুম। পাহাড়ের উপর ফোটা মাশরুমগুলো দিনের বেলায় আর পাঁচটা সাধারণ মাশরুমের মতোই দেখায় এটিকে এবং রাত হলেই তা থেকে আলো নির্গত হয়। নীলচে সবুজ অথবা বেগুনি রঙের আলো দেখতে পাওয়া যায়। আশপাশের পুরো এলাকা আলোকিত করে দেয় মাশরুমগুলো। ডিসকভারি।

সাধারণত বর্ষাকালের জুলাই-অক্টোবর বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলো দেখা যায়। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, এটি মাইসেনা প্রজাতির মাশরুমের একটি প্রকার। রাতের অন্ধকারে নিজেদের বিষাক্ত প্রাণীদের থেকে দূরে রাখতেই এভাবে বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলো থেকে আলো নির্গত হয়। মাশরুমগুলোর সংখ্যাও এভাবে বাড়তে থাকে। বহুদিন ধরে এ মাশরুম মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। বিভিন্ন খাবারে মাশরুম ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু মাশরুমের রান্নাও করা হয়ে থাকে বিভিন্ন দেশে। নিরামিষভোজীদের অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য মাশরুম। সময়ের সঙ্গে তার জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। কৃত্রিমভাবে মাশরুম চাষের প্রথাও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সব ধরনের মাশরুম খাওয়ার জন্য নয়। বন্য এলাকায় এমন অনেক মাশরুম থাকে যার মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এ ধরনের মাশরুম পেটে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলো বিষাক্ত নাকি বিষাক্ত নয়Ñ তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। রাতের অন্ধকারে কীভাবে আলো নির্গত হয় সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

অন্ধকারে আলো ছড়ানো বিরল প্রজাতির মাশরুমের সন্ধান

image

ভারতের গোয়া অঞ্চলে নতুন ধরনের মাশরুমের সন্ধান পাওয়া গেছে; যা রাতের অন্ধকারে আলো ছড়ায় ঠিক জোনাকির মতো। গোয়ার পানাজি থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত মহাদেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকায় দেখা যাওয়া নতুন প্রজাতির মাশরুমের নাম দেয়া হয়েছে ‘বায়ো-লুমিনিসেন্ট’ মাশরুম। পাহাড়ের উপর ফোটা মাশরুমগুলো দিনের বেলায় আর পাঁচটা সাধারণ মাশরুমের মতোই দেখায় এটিকে এবং রাত হলেই তা থেকে আলো নির্গত হয়। নীলচে সবুজ অথবা বেগুনি রঙের আলো দেখতে পাওয়া যায়। আশপাশের পুরো এলাকা আলোকিত করে দেয় মাশরুমগুলো। ডিসকভারি।

সাধারণত বর্ষাকালের জুলাই-অক্টোবর বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলো দেখা যায়। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, এটি মাইসেনা প্রজাতির মাশরুমের একটি প্রকার। রাতের অন্ধকারে নিজেদের বিষাক্ত প্রাণীদের থেকে দূরে রাখতেই এভাবে বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলো থেকে আলো নির্গত হয়। মাশরুমগুলোর সংখ্যাও এভাবে বাড়তে থাকে। বহুদিন ধরে এ মাশরুম মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। বিভিন্ন খাবারে মাশরুম ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু মাশরুমের রান্নাও করা হয়ে থাকে বিভিন্ন দেশে। নিরামিষভোজীদের অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য মাশরুম। সময়ের সঙ্গে তার জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। কৃত্রিমভাবে মাশরুম চাষের প্রথাও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সব ধরনের মাশরুম খাওয়ার জন্য নয়। বন্য এলাকায় এমন অনেক মাশরুম থাকে যার মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এ ধরনের মাশরুম পেটে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলো বিষাক্ত নাকি বিষাক্ত নয়Ñ তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। রাতের অন্ধকারে কীভাবে আলো নির্গত হয় সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা।