রাজধারীর খিলক্ষেত থানার ডাকাতির মামলায় পুলিশের এসআই ও চার সৈনিকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাবেক এসআই মোসাদ্দেক হোসেন, ল্যান্স করপোরাল মনিরুল ইসলাম রিপন, সৈনিক লিটন হাওলাদার, সৈনিক সাজ্জাদ হোসেন ও সৈনিক লুৎফর রহমান খান। ঘটনার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা র্যাবে কর্মরত ছিলেন। আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা লিটন ও মোসাদ্দেককে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত মামলার সাত আসামির মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আলম খান ও সমুয়েল বৈদ্যকে খালাস দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় জেকে সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের হিসাবরক্ষক মো. সেলিম, প্রকৌশলী হানিফ, চালক নুরুল হক একটি কাভার্ডভ্যানে করে কোম্পানির ১৮ লাখ নয় হাজার ২০০ টাকা নিয়ে বনানীর সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। বনানী ১৩ নম্বর রোডের মাথায় ?‘লোটাস কামাল ভবন’-এর কাছে র্যাবের পোশাক পরিহিত একজন মোটরসাইকেলে এসে কাভার্ডভ্যানের গতিরোধ করেন। এ সময় র্যাব সদস্য বলেন, গাড়িতে অবৈধ জিনিস আছে, চেক করতে হবে। পরে সেখানে র্যাবের পোশাক পরিহিত আরও ৪/৫ জন উপস্থিত হয়ে চালক নুরুলকে কাভার্ডভ্যানের দরজা খুলতে বলেন। চালক দরজা খুলে দিলে র্যাব সদস্যরা হিসাবরক্ষক মো. সেলিম ও প্রকৌশলী হানিফকে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে উঠিায়। পরে র্যাব কার্যালয়ে না নিয়ে ভাসানটেক থানার মাটিকাটা এলাকায় নিয়ে টাকার ব্যাগটি রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানের জেকে সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে এই ডাকাতির মামলা করেন।
মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭
আদালত বার্তা পরিবেশক
রাজধারীর খিলক্ষেত থানার ডাকাতির মামলায় পুলিশের এসআই ও চার সৈনিকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাবেক এসআই মোসাদ্দেক হোসেন, ল্যান্স করপোরাল মনিরুল ইসলাম রিপন, সৈনিক লিটন হাওলাদার, সৈনিক সাজ্জাদ হোসেন ও সৈনিক লুৎফর রহমান খান। ঘটনার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা র্যাবে কর্মরত ছিলেন। আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা লিটন ও মোসাদ্দেককে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত মামলার সাত আসামির মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আলম খান ও সমুয়েল বৈদ্যকে খালাস দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় জেকে সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের হিসাবরক্ষক মো. সেলিম, প্রকৌশলী হানিফ, চালক নুরুল হক একটি কাভার্ডভ্যানে করে কোম্পানির ১৮ লাখ নয় হাজার ২০০ টাকা নিয়ে বনানীর সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। বনানী ১৩ নম্বর রোডের মাথায় ?‘লোটাস কামাল ভবন’-এর কাছে র্যাবের পোশাক পরিহিত একজন মোটরসাইকেলে এসে কাভার্ডভ্যানের গতিরোধ করেন। এ সময় র্যাব সদস্য বলেন, গাড়িতে অবৈধ জিনিস আছে, চেক করতে হবে। পরে সেখানে র্যাবের পোশাক পরিহিত আরও ৪/৫ জন উপস্থিত হয়ে চালক নুরুলকে কাভার্ডভ্যানের দরজা খুলতে বলেন। চালক দরজা খুলে দিলে র্যাব সদস্যরা হিসাবরক্ষক মো. সেলিম ও প্রকৌশলী হানিফকে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে উঠিায়। পরে র্যাব কার্যালয়ে না নিয়ে ভাসানটেক থানার মাটিকাটা এলাকায় নিয়ে টাকার ব্যাগটি রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানের জেকে সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে এই ডাকাতির মামলা করেন।