অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক থাকলে ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনার

দেশের প্রচলিত আইন শতভাগ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করলে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। কোন পুলিশ সদস্যের আচরণগত কারণে যেন আমাদের (পুলিশের) ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গতকাল সকালে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) মাসিক অপরাধ সভায় একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কমিশনার বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কোন অপরাধীর সম্পর্ক থেকে থাকে তবে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিশনার বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এখন আমাদের পুরোদমে কাজ করতে হবে। আমাদের যে ডাটাব্যাজ আছে তাতে অপরাধীদের সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোন অফিসার যদি তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে তদন্তকার্য থেকে বিরত রাখা হবে। মাদকসেবীদের বিষয়ে কমিশনার বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। মাদক সেবীদের চিহ্নিত করে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও মাদকসেবীরা সংশোধন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় আগস্ট (২০২০) মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। সভায় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
সিটি মেয়রদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে
পাঁচ কেজির উপরে ড্রোন উড়াতে অনুমতি লাগবে
পার্বত্য এলাকায় সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে : কাদের
ঢাকা আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী
ভুটানের সঙ্গে পিটিএ করবে বাংলাদেশ
লালমনিরহাট কারাগারে হামলার হুমকি জঙ্গিদের
অবৈধ নির্মাণসামগ্রী উচ্ছেদ অভিযান ও নিলাম
ডক্টরস ফর হেলথ-এর উদ্যোগে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ
যশোরে নিহত তিন কিশোরের পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ নয় : হাইকোর্ট
এক পুলিশ ও চার সৈনিকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বোয়ালখালীর সাবেক ওসি হিমাংশুসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ধর্ষণচেষ্টার মামলা না তোলায় কিশোরীর বাবাকে অপহরণ
লাশ আটকে রেখে অতিরিক্ত বিল আদায়
শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করানোর ভিডিও ভাইরাল
যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে মেয়র আইভী

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক থাকলে ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

দেশের প্রচলিত আইন শতভাগ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করলে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। কোন পুলিশ সদস্যের আচরণগত কারণে যেন আমাদের (পুলিশের) ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গতকাল সকালে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) মাসিক অপরাধ সভায় একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কমিশনার বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কোন অপরাধীর সম্পর্ক থেকে থাকে তবে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিশনার বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এখন আমাদের পুরোদমে কাজ করতে হবে। আমাদের যে ডাটাব্যাজ আছে তাতে অপরাধীদের সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোন অফিসার যদি তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে তদন্তকার্য থেকে বিরত রাখা হবে। মাদকসেবীদের বিষয়ে কমিশনার বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। মাদক সেবীদের চিহ্নিত করে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও মাদকসেবীরা সংশোধন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় আগস্ট (২০২০) মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। সভায় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।