যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল হালিম প্রামাণিককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বেলা ১১টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, তদন্ত কমিটির নামে ভিক্টিমকে অযাচিত প্রশ্ন করে আবারও নিপীড়ন করা হয়। অবিলম্বে অভিযুক্ত হালিম প্রামাণিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। পুনরায় এ রকম কোন ঘটনা ঘটলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে। যৌন নিপীড়ক হালিম প্রামাণিকের বিচার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। তদন্ত কমিটির নামে তিন বছর ধরে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ভূমিকায় আমরা আশ্চর্য হয়েছি। আমরা জানতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিভাবে একজন যৌন নিপীড়ক শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে?
মানববন্ধনে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল হাসান জাহিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা মেঘলা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এইচএম তানভীর, মাহবুবুর রহমান ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহাদী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তওসিব মাহমুদ সোহান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবদুল হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তখন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করেন। অভিযোগটি দুই দফা তদন্তের পর ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে তিরস্কার ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি পিছিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রী এমন শাস্তিতে অসন্তুষ্ট জানিয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিলে আবার তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অপরাধের সঙ্গে ওই শাস্তি সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ওই বছরের ভুক্তভোগী ছাত্রী আবারও ঘটনাটি তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭৭তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তৃতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। সর্বশেষ চলতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর ৮২তম সিন্ডিকেটে তাকে শাস্তি দেয়া হয়। তবে তদন্ত কমিটির অস্পষ্ট রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, জবি
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল হালিম প্রামাণিককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বেলা ১১টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, তদন্ত কমিটির নামে ভিক্টিমকে অযাচিত প্রশ্ন করে আবারও নিপীড়ন করা হয়। অবিলম্বে অভিযুক্ত হালিম প্রামাণিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। পুনরায় এ রকম কোন ঘটনা ঘটলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে। যৌন নিপীড়ক হালিম প্রামাণিকের বিচার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। তদন্ত কমিটির নামে তিন বছর ধরে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ভূমিকায় আমরা আশ্চর্য হয়েছি। আমরা জানতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিভাবে একজন যৌন নিপীড়ক শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে?
মানববন্ধনে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল হাসান জাহিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা মেঘলা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এইচএম তানভীর, মাহবুবুর রহমান ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহাদী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তওসিব মাহমুদ সোহান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবদুল হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তখন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করেন। অভিযোগটি দুই দফা তদন্তের পর ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে তিরস্কার ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি পিছিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রী এমন শাস্তিতে অসন্তুষ্ট জানিয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিলে আবার তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অপরাধের সঙ্গে ওই শাস্তি সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ওই বছরের ভুক্তভোগী ছাত্রী আবারও ঘটনাটি তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭৭তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তৃতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। সর্বশেষ চলতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর ৮২তম সিন্ডিকেটে তাকে শাস্তি দেয়া হয়। তবে তদন্ত কমিটির অস্পষ্ট রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্টরা।